প্রতীকী ছবি

India Labanon: ‘অবিলম্বে লেবানন ছাড়ুন’, ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ উত্তেজনার মধ্যে নির্দেশ জারি ভারতের! কীসের আশঙ্কা?

নয়াদিল্লি: হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার পর থেকেই উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। লেবানন ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে লেবাননে বেড়াতে যেতে নিষেধ করে অ্যাডভাইজারি জারি করল ভারত, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া।

বেইরুটের ভারতীয় দূতাবাস থেকে লেবাননে থাকা ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “সতর্ক থাকুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।’’ অন্য দিকে, নাগরিকদের ‘দেশে ফিরে আসার’ পরামর্শ দিয়েছে কানাডা। বলেছে, এই মুহূর্তে “বেইরুট ঘুরে দেখার কথা চিন্তাও করবেন না।’’

আরও পড়ুন: ‘মমতার আমলে রেল দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানে যাঁরা টেবিল বাজাতেন, এখন তাঁরা…’, বেনজির আক্রমণ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং লেবাননে অবস্থানরত সকল অস্ট্রেলিয়ানকে অবিলম্বে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, খুব দ্রুত উত্তেজনা বাড়ছে। যে কোনও সময় বেইরুটের বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তেমনটা হলে অস্ট্রেলিয়ানদের দেশে ফেরানো সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন: এক মাস টানা ভাত না খেলে শরীরে কী হয়? ক্ষতি হয় না কি লাভ? জানুন বিশেষজ্ঞের মত

মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার কথা জানিয়ে বিবৃতি জারি করে ইজরায়েলি সেনা। এরপর থেকেই লেবানন ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ইজরায়েল অধিকৃত গোলান হাইটসে হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ। সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল ফুয়াদ শুকর। তারই বদলা নেয় ইজরায়েল।

বুধবার হামলাস্থল পরিদর্শন করেন লেবাননের মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিকরা। আট তলা বাড়ির ধ্বংসাবশেষের সামনে দাঁড়িয়ে ইজরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করেন তাঁরা। পাশাপাশি তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার জন্যও ইজরায়েলকে দায়ী করা হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত হামাস প্রধানকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি ইজরায়েল। সংসদ সদস্য আলি আম্মার বলেন, “শত্রুপক্ষ (ইজরায়েল) যুদ্ধ চাইছে। আমরা এর জন্য প্রস্তুত। ঈশ্বরও বোধহয় তাই চান। আমরা লড়তে রাজি।’’

ইজরায়েলের হামলার পরই বুধবার সকালে আপদকালীন বৈঠকে বসে লেবাননের মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি সাংবাদিকদের সামনে একটি লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন, “এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। হিজবুল্লাহর সঙ্গে এমন কিছু হতে পারে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।’’সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সরকার যুদ্ধ চায় না। উত্তেজনা প্রশমিত করতে কূটনৈতিক পথেই এগোবে লেবানন।