Tag Archives: Israel

প্যালেস্তাইনের সমর্থক জর্ডন কেন ইরানি হামলা রুখতে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াল? জেনে নিন বিস্তারিত

ইজরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে জর্ডন। আশ্চর্যজনকভাবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা। ইরানের ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে জডর্ন সেনাও। কিন্তু কেন? গাজায় যখন ইজরায়েল হামলা চালায়, সেই সময় নেতানিয়াহু সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিল জর্ডন সরকার। এখন তারাই ইজরায়েলের হয়ে ইরানি ড্রোন প্রতিহত করছে!

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জর্ডন জানিয়েছে, তারা আত্মরক্ষার জন্য ইরানি ড্রোন প্রতিহত করেছে। ইজরায়েলকে সাহায্য করার জন্য নয়। জডর্নের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ প্যালেস্তাইনকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু ইরানের মিত্র হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেননি। এই ঘটনাকে ‘ভারসাম্যের খেলা’ হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।

জর্ডনের প্রতিবেশি রাষ্ট্র সিরিয়া এবং ইরাক। দুটি দেশই ইরানের প্রক্সি বাহিনী হিসেবে কাজ করে। যাই হোক, ইরানের ড্রোন হামলা রুখে দেওয়ার পর জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর একটা মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইজরায়েলের সামরিক পোশাক পরে চারদিকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

ইজরায়েল-জডর্ন সম্পর্ক: ১৯৯৪ সালে দুই দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তি সাক্ষর হয়। তার আগে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে ৪ বার ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় জর্ডন। সে দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশই প্যালেস্তেনিয়ান। ১৯৯৭ সালে জডর্নের মাটিতে এক সিনিয়র হামাস কর্তাকে হত্যার চেষ্টা করে মোসাদ। ইজরায়েলি দূতাবাসে নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে জর্ডনের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে ইজরায়েলের প্রতি জর্ডনের সাধারণ মানুষ বিরূপ মনোভাবই পোষণ করে।

ইজরায়েল-জর্ডন সম্পর্কে চারটি প্রধান ইস্যু:

প্যালেস্তাইন – হাশেমাইটরা (জর্ডনের রাজপরিবার) প্যালেস্তাইন ইস্যুকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা মনে করে। তাঁদের মতে, দুই রাষ্ট্রকে এই সমস্যা মেটাতে হবে। কিন্তু নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক নীতি জর্ডনের মনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। আব্রাহাম অ্যাকর্ডের প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু ইজরায়েল তা মানছে না বলে মনে করছে তারা।

জেরুজালেম – জেরুজালেমে মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলির প্রতি জর্ডনের আগ্রহ রয়েছে। হারাম আল শরিফ বা টেম্পল মাউন্টের উপর তাঁরা সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব চায়। রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর কাছেও এটা প্রধান সমস্যা।

অর্থনীতি – জর্ডন সিরিয়া এবং ইরাক থেকে ১.৫ মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। যা অর্থনীতি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় বড়সড় হুমকি। ইতিমধ্যে তারা জল ও জ্বালানি ঘাটতির সঙ্গে যুঝছে। জর্ডনের দীর্ঘস্থায়ী জল সমস্যা ইজরায়েল-জর্ডন শান্তি চুক্তির মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। ইয়ারমুক নদীর জল বণ্টনে রাজি হয় দুই দেশ। কিন্তু জর্ডনে ২০২১ সালের এপ্রিলে খরার সময়, নেতানিয়াহু প্রাথমিকভাবে অতিরিক্ত জল সরবরাহ করতে অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: কে থাকল দলে আর কে পড়ল বাদ? টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে মহাচমক! জানুন বিস্তারিত

নিরাপত্তা – জর্ডন এবং ইজরায়েল, উগ্র ইসলামিক গোষ্ঠীগুলির হুমকির মুখে জর্জরিত উভয় দেশই। জর্ডন ইরানের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না। দ্য জেরুজালেম স্ট্র্যাটেজিক ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিরিয়ায় ইরানি উপস্থিতির সম্প্রসারণ হিসাবে জর্ডন সক্রিয়ভাবে তার মাটিতে ইরানের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করে। ইরাক এবং সিরিয়ার সঙ্গে সীমানা থাকায়, জর্ডন আইএসআইএসের থেকেও হুমকি পাচ্ছে।

Israel: ‘আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরা নেব’, ইরানের হামলার পর মিত্রদেশের পরামর্শ উড়িয়ে দিলেন নেতানিয়াহু

তেহেরান: ইরানের হামলার পর ফুঁসছে ইজরায়েল। প্রতিশোধ এখন সময়ের অপেক্ষা। মিত্রদেশগুলির সংযম রক্ষার আবেদন উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর সাফ কথা, “আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরা নেব”।

গাজার যুদ্ধ এখনও থামেনি। গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে না বলে-কয়ে ইরানের হামলা তাতিয়ে দিয়েছে ইজরায়েলকে। এই হামলার যোগ্য জবাব দিতে কোমর বাঁধছে নেতানিয়াহুর দেশ।

হামলার পর থেকেই ইজরায়েলের মিত্রদেশগুলি সংযমী থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার ব্রিটেন এবং জার্মান বিদেশমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। যদিও ইরানের উপরও কূটনৈতিক চাপ ছিল। ইজরায়েলি ভূখণ্ডে ‘সামান্য’ আক্রমণ হলেও তার ‘বিশাল এবং কঠোর’ প্রতিক্রিয়া আসবে বলে ইরানের রাষ্ট্রপতিকে সতর্ক করা হয়েছিল।

এদিকে বুধবার ইরান সমর্থিত লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ফের উত্তর ইজরায়েলের রকেট এবং ড্রোন হামলা চালায়। ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জন ইজরায়েলি সেনা জখম। এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। পালটা লেবাননে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, বুধবার তিনি দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাঁদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, ইজরায়েল মিত্রদেশগুলির ‘পরামর্শ’ শুনলেও প্রতিক্রিয়া কীভাবে জানাবে, সেটা নিজেই ঠিক করবে।

আরও পড়ুন: ইরানের আক্রমণ, ইজরায়েলের ‘ম্যাজিক অস্ত্র’, ভিডিও দেখলে চমকে উঠবেন

নেতানিয়াহু বলেন, “আমি পরিস্কার করে দিতে চাই, আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নেব। ইজরায়েল আত্মরক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তা করবে”। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইজরায়েল অন্ততপক্ষে মিত্রদেশ আমেরিকার সমর্থন ছাড়া ইরানকে সরাসরি আক্রমণ করবে না বলেই মনে হচ্ছে। তবে ইজরায়েল ইরানের সিনিয়র কমান্ডার বা অন্যান্য দেশে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলিকে আক্রমণ করতে পারে। কিংবা সাইবার হানা শুরু করাও অসম্ভব নয়।

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান তখন কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে উভয় পক্ষের কোনও ভুল পদক্ষেপে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি রয়েছে ষোলো আনা। অন্য দিকে, ইরানের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বাইডেন সরকার। ইরানের হামলার নিন্দাও করেছে তারা।

Iran-Israel: পাল্টা দেওয়ার সময় এসে গেল, এবার ইরানে হামলা ইজরায়েলের! নিশানায় আসলে যা, শুনেই চমকে উঠছে বিশ্ব

তেহেরান: এবার আসরে ইজরায়েল। দিন কয়েক আগেই ইরানের হামলার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা প্রত্যাঘাত করল ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।

বদলা হিসেবে গত শনিবার ইজরায়েলে নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ইজরায়েল। যদিও পাশে থাকলেও আমেরিকা ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইজরায়েলকে পাল্টা হামলা না চালানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েল এই আহ্বান উপেক্ষা করে স্থানীয় সময় আজ, শুক্রবার ভোরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল।

আরও পড়ুন: ভোট শুরুর সকালেই বড় ঘটনা! মৃত্যু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের! চর্চায় ‘সেই’ মাথাভাঙ্গা

জানা গিয়েছে, একটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র শুক্রবার ভোরে ইরানের একটি টার্গেট করা স্থানে আঘাত হেনেছে বলে এবিসি নিউজ জানিয়েছে। এছাড়া সিরিয়া ও ইরাকেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ইরানি মিডিয়ার খবরে ইসফাহান বিমানবন্দরের কাছে হামলার কথা জানিয়েছে। ইরান দেশের বেশ কয়েকটি স্থানের বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।

আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরানে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স নিউজে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসফাহান শহরে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যদিও তার কারণ খোলসা করা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের হিটলিস্টে রয়েছে ইসাফাহান। কারণ, সেখানেই ইরানের বেশ কয়েকটি পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। তেল আভিভের দাবি, শক্তি উৎপাদনের আড়ালে ওই কেন্দ্রগুলিতে পারমানবিক বোমা বানাচ্ছে তেহরান।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় আইডিএফ। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। পালটা ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলকে নিশানা করে ড্রোন ও ক্ষেপণান্ত্র ছুড়ে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর। এবার পাল্টা আসরে ইজরায়েল।

Iran Israel conflict: যুদ্ধের মুখে ইরান-ইজরায়েল! ভারতের সবথেকে বড় চিন্তা কী, জানেন?

নয়াদিল্লি: ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন হানার পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে৷ একদিকে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেনের মতো দেশগুলি যেখানে ইজরায়েলের পক্ষে, সেখানে চিন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইয়েমেনের মতো শক্তিগুলি আবার ইরানকে সমর্থন করছে৷

এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল প্রত্যাঘাত করলে ইরানের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ বাঁধলে ভারতেরও কিন্তু চিন্তার থাকছে!

আরও পড়ুন: সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোটের আগে পরেও কড়া নজরদারি! কী কী ব্যবস্থা কমিশনের?

ইজরায়েলে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় বাস করেন৷ অন্যদিকে ইরানেও প্রায় হাজার দশেক ভারতীয় বিভিন্ন কারণে রয়েছেন বলে খবর৷ যুদ্ধ বাঁধলে এই ভারতীয়দের নিরাপত্তাই নয়াদিল্লির কাছে অন্যতম বড় চিন্তার কারণ৷
ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ বাঁধলে উপসাগরীয় অঞ্চলের সব দেশেই কমবেশি প্রভাব পড়বে৷ বলা ভাল, এই বিবাদে উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশই জড়িয়ে পড়তে পারে৷ উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে প্রায় ৯০ লক্ষ ভারতীয় এই মুহূ্র্তে বসবাস করেন৷ উদ্বেগ তৈরি হবে তাঁদের নিয়েও৷ কারণ ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ বাঁধলে ওই দুই দেশ ছাড়াও উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে৷ ফলে লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের রুটি-রুজিতে টান পড়তে পারে৷

পাশাপাশি ইরান এবং ইজরায়েল, এই দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের সম্পর্ক ভাল৷ ফলে এই মুহূর্তে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করাও ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ ভারত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পক্ষে হলেও পৃথিবীর বহু শক্তিধর দেশই ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে কার্যত দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে৷

এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে ইরানের পক্ষে রয়েছে, রাশিয়া, চিন, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, লেবানন, কাতার এবং তুরস্ক৷ অন্যদিকে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ইতালি, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ৷ সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলার প্রতিশোধ নিতে গত শনিবার ইজরায়েল লক্ষ্য করে প্রায় তিনশো ড্রোন হামলা চালায় ইরান৷ যদিও এই ড্রোনগুলির অধিকাংশ ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ইজরায়েল এবং তার সঙ্গী দেশগুলি৷

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের এই হামলার পাল্টা জবাব যদি ইজরায়েল দেয় এবং আমেরিকাও তাতে অংশ নেয়, সেক্ষেত্রে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷ এই পরিস্থিতিতে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত নিয়ে গোটা বিশ্বেই আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে৷

Israel vs Iran: ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী ও সৈন্য…ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কে বেশি শক্তিশালী? যুদ্ধ হলে কী হতে পারে?

ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ লাগল বলে। ইতিমধ্যেই ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য ফুঁসছে ইজরায়েলও। ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমেই ইজরায়েলে হামলা চালাবে বলে মনে করছেন যুদ্ধ বিশারদরা। স্থলপথে আক্রমণের সম্ভাবনা কম। এখন প্রশ্ন হল, ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর মতো ক্ষমতা ইরানের আছে কি না?
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ লাগল বলে। ইতিমধ্যেই ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য ফুঁসছে ইজরায়েলও। ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমেই ইজরায়েলে হামলা চালাবে বলে মনে করছেন যুদ্ধ বিশারদরা। স্থলপথে আক্রমণের সম্ভাবনা কম। এখন প্রশ্ন হল, ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর মতো ক্ষমতা ইরানের আছে কি না?
১১ এপ্রিল মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলাই চালাবে। বাহিনীতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইরানের কাছে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ২ হাজার কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
১১ এপ্রিল মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলাই চালাবে। বাহিনীতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইরানের কাছে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ২ হাজার কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
ইরান এবং ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে কে এগিয়ে? ওয়ার্ল্ড ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের ১৪ তম শক্তিশালী দেশ। সেখানে ইজরায়েল ১৭ নম্বরে রয়েছে। Photo Courtesy: AP
ইরান এবং ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে কে এগিয়ে? ওয়ার্ল্ড ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের ১৪ তম শক্তিশালী দেশ। সেখানে ইজরায়েল ১৭ নম্বরে রয়েছে। Photo Courtesy: AP
উভয় দেশের সৈন্য সংখ্যা: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স জনশক্তি, বিমানশক্তি, স্থল, নৌবাহিনী, প্রাকৃতিক সম্পদ, অর্থনৈতিক অবস্থা, ভৌগলিক অবস্থান এবং সরবরাহের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক দেশের তালিকা তৈরি করে। এই ৮টি মানদণ্ডের মধ্যে ইজরায়েল মাত্র দুটিতে ইরানের চেয়ে এগিয়ে। Photo Courtesy: AP
উভয় দেশের সৈন্য সংখ্যা: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স জনশক্তি, বিমানশক্তি, স্থল, নৌবাহিনী, প্রাকৃতিক সম্পদ, অর্থনৈতিক অবস্থা, ভৌগলিক অবস্থান এবং সরবরাহের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক দেশের তালিকা তৈরি করে। এই ৮টি মানদণ্ডের মধ্যে ইজরায়েল মাত্র দুটিতে ইরানের চেয়ে এগিয়ে। Photo Courtesy: AP
উভয় দেশের সেনাবাহিনীর কথা বললে, ইরানের ৬,১০,০০০ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে। সেখানে ইজরায়েলের সৈন্য সংখ্যা মাত্র ১৭০,০০০। অবশ্য ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট অনেক বেশি। ইরানের উপর দীর্ঘদিন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ইজরায়েলের চেয়ে অনেক কম। Photo Courtesy: AP
উভয় দেশের সেনাবাহিনীর কথা বললে, ইরানের ৬,১০,০০০ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে। সেখানে ইজরায়েলের সৈন্য সংখ্যা মাত্র ১৭০,০০০। অবশ্য ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট অনেক বেশি। ইরানের উপর দীর্ঘদিন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ইজরায়েলের চেয়ে অনেক কম। Photo Courtesy: AP
বিমান বাহিনীর শক্তি: বিমান শক্তিতে ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইজরায়েল। ইরানের ৫৫১টি বিমান রয়েছে। ইজরায়েলের বিমান সংখ্যা ৬১২। ইজরায়েলের কাছে ২৪১টি ফাইটার জের রয়েছে। ইরানের ১৮৬টি। এর মধ্যে ইজরায়েলের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী F-16 এবং F-35 বিমানও রয়েছে। Photo Courtesy: AP
বিমান বাহিনীর শক্তি: বিমান শক্তিতে ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইজরায়েল। ইরানের ৫৫১টি বিমান রয়েছে। ইজরায়েলের বিমান সংখ্যা ৬১২। ইজরায়েলের কাছে ২৪১টি ফাইটার জের রয়েছে। ইরানের ১৮৬টি। এর মধ্যে ইজরায়েলের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী F-16 এবং F-35 বিমানও রয়েছে। Photo Courtesy: AP
স্থলশক্তিতে ইরান কিছুটা হলেও এগিয়ে। ইরানের কাছে ইজরায়েলের চেয়ে বেশি ট্যাঙ্ক রয়েছে। ইজরায়েলি ট্যাঙ্কের মোট সংখ্যা ১৩৭০। ইরানের কাছে ১৯৯৬টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। আবার ইজরায়েলের ৬৫০টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি ইউনিট রয়েছে। যেখানে ইরানের রয়েছে মাত্র ৫৮০টি। Photo Courtesy: AP
স্থলশক্তিতে ইরান কিছুটা হলেও এগিয়ে। ইরানের কাছে ইজরায়েলের চেয়ে বেশি ট্যাঙ্ক রয়েছে। ইজরায়েলি ট্যাঙ্কের মোট সংখ্যা ১৩৭০। ইরানের কাছে ১৯৯৬টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। আবার ইজরায়েলের ৬৫০টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি ইউনিট রয়েছে। যেখানে ইরানের রয়েছে মাত্র ৫৮০টি। Photo Courtesy: AP
নৌশক্তি: ইরানের নৌবাহিনী ইজরায়েলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। ইরানের মোট ১০১টি নৌবহর রয়েছে। ইজরায়েলের মাত্র ৬৭টি। কারও কাছেই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নেই। সাবমেরিনের কথা বললে, ইরানের রয়েছে ১৯টি এবং ইজরায়েলের ৫টি। Photo Courtesy: AP
নৌশক্তি: ইরানের নৌবাহিনী ইজরায়েলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। ইরানের মোট ১০১টি নৌবহর রয়েছে। ইজরায়েলের মাত্র ৬৭টি। কারও কাছেই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নেই। সাবমেরিনের কথা বললে, ইরানের রয়েছে ১৯টি এবং ইজরায়েলের ৫টি। Photo Courtesy: AP

Iran Israel War: ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য! ইজরায়েলকে নিশানা করে ইরানের ভয়াবহ হামলা, ভিডিও দেখে চমকে উঠছে বিশ্ব

তেহেরান: ইজরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের পাশাপাশি আমেরিকা ও ইজরায়েলের পক্ষ থেকেও এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শনিবার ইজরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানে এই সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ইজরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও ইরানের এই বাহিনী উল্লেখ করেছে। তেহরান ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রথম দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইজরায়েলের একেবারে ভেতরের লক্ষ্যবস্তু নিশানা করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স।

উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলার খবর পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইতিমধ্যে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

আরও পড়ুন: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?

জানা গিয়েছে, রবিবার প্রায় ২০০ ড্রোন দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোড়া সেই ড্রোন আকাশে কয়েক ঘণ্টার পথ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছবে। জেরুজালেমে শোনা গিয়েছে যুদ্ধের সাইরেনের শব্দ। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে দিন কয়েক আগে ইজরায়েলের বোমাবাজির পাল্টা হিসাবেই রবিবারের এই হামলা বলে জানিয়েছে ইরান। তেহেরানের হুঁশিয়ারি, ইজরায়েলের হয়ে যে যে দেশ অস্ত্র ধরবে, ইরান তাদেরও ছেড়ে দেবে না।

Israel Iron Dome: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?

তেল আভিভ: ইজরায়েলে হানা শুরু করেছে ইরান। আর ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে।
তেল আভিভ: ইজরায়েলে হানা শুরু করেছে ইরান। আর ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে।
শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলার খবর পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আর ইরানের হামলা ঠেকাতে ইজরায়েলের আসল তুরুপের তাস হয়ে উঠছে আয়রন ডোম।
শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলার খবর পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আর ইরানের হামলা ঠেকাতে ইজরায়েলের আসল তুরুপের তাস হয়ে উঠছে আয়রন ডোম।
আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম। হিব্রুতে বলে ‘কিপ্পাত বারজেল’। ইজরায়েলের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গত বছর গ্রীষ্মে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় পিআইজে গোষ্ঠী। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, হামলায় ৯৭ শতাংশ মিসাইলই সফলভাবে ধ্বংস করে আয়রন ডোম। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও আয়রন ডোমের উপরেই ভরসা করছে ইজরায়েল।
আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম। হিব্রুতে বলে ‘কিপ্পাত বারজেল’। ইজরায়েলের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গত বছর গ্রীষ্মে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় পিআইজে গোষ্ঠী। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, হামলায় ৯৭ শতাংশ মিসাইলই সফলভাবে ধ্বংস করে আয়রন ডোম। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও আয়রন ডোমের উপরেই ভরসা করছে ইজরায়েল।
আয়রন ডোম আসলে ঠিক কী: কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়রন ডোম হল অ্যান্টি-রকেট, অ্যান্টি-মর্টার এবং অ্যান্টি আর্টিলারি সিস্টেম। এটা ২.৫ থেকে ৪৩ মাইল বা ৪ থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে রকেট বা মিসাইল আটকে দিতে পারে। তারপর কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে রকেটের পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায়।
আয়রন ডোম আসলে ঠিক কী: কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়রন ডোম হল অ্যান্টি-রকেট, অ্যান্টি-মর্টার এবং অ্যান্টি আর্টিলারি সিস্টেম। এটা ২.৫ থেকে ৪৩ মাইল বা ৪ থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে রকেট বা মিসাইল আটকে দিতে পারে। তারপর কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে রকেটের পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায়।
অন্যভাবে বললে আয়রন ডোম হল ব্যাটারির সিরিজ যা র‍্যাডারের মাধ্যমে শর্ট-রেঞ্জের রকেট সনাক্ত করে আটকে দেয়। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি বা চারটি লঞ্চার, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি র‍্যাডার থাকে। রেথিয়ানের মতে, ইজরায়েলের রাফায়েল ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্ট যৌথভাবে এই সিস্টেম তৈরি করেছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত, ইজরায়েলের অন্তত দশটি আয়রন ডোম ব্যাটারি সারা দেশ জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ব্যাটারি ৬০ বর্গমাইল জনবহুল এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
অন্যভাবে বললে আয়রন ডোম হল ব্যাটারির সিরিজ যা র‍্যাডারের মাধ্যমে শর্ট-রেঞ্জের রকেট সনাক্ত করে আটকে দেয়। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি বা চারটি লঞ্চার, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি র‍্যাডার থাকে। রেথিয়ানের মতে, ইজরায়েলের রাফায়েল ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্ট যৌথভাবে এই সিস্টেম তৈরি করেছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত, ইজরায়েলের অন্তত দশটি আয়রন ডোম ব্যাটারি সারা দেশ জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ব্যাটারি ৬০ বর্গমাইল জনবহুল এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আয়রন ডোম কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়: আয়রন ডোমের কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে এগুলি প্রথম মোতায়েন করা হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইজরায়েল প্রথমবার আয়রন ডোমকে অ্যাক্টিভেট করে।
আয়রন ডোম কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়: আয়রন ডোমের কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে এগুলি প্রথম মোতায়েন করা হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইজরায়েল প্রথমবার আয়রন ডোমকে অ্যাক্টিভেট করে।
আয়রন ডোম কীভাবে কাজ করে: আয়রন ডোম তার রেঞ্জের মধ্যে আসা রকেটকে প্রথমে সনাক্ত করে, তারপর তার পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায় কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে দেখা হয় রকেটটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে কি না। যদি তাই হয় তখন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে রকেটটাকে ধ্বংস করে। আর যদি দেখা যায় রকেট খোলা অঞ্চলে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আয়রন ডোমের ক্ষেপণাস্ত্র বেঁচে যায়।
আয়রন ডোম কীভাবে কাজ করে: আয়রন ডোম তার রেঞ্জের মধ্যে আসা রকেটকে প্রথমে সনাক্ত করে, তারপর তার পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায় কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে দেখা হয় রকেটটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে কি না। যদি তাই হয় তখন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে রকেটটাকে ধ্বংস করে। আর যদি দেখা যায় রকেট খোলা অঞ্চলে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আয়রন ডোমের ক্ষেপণাস্ত্র বেঁচে যায়।
আয়রন ডোমের দাম: তেল আভিভের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আয়রন ডোমে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
আয়রন ডোমের দাম: তেল আভিভের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আয়রন ডোমে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
আয়রন ডোম কে তৈরি করেছে: আয়রন ডোম তৈরি করেছে ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম। সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের থেকে আয়রন ডোম কোথায় আলাদা: ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিপরীতে, আয়রন ডোম কম উচ্চতায় থাকা ওয়ারহেড রকেট আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী এই ধরনের হামলাই চালায়।
আয়রন ডোম কে তৈরি করেছে: আয়রন ডোম তৈরি করেছে ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম। সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের থেকে আয়রন ডোম কোথায় আলাদা: ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিপরীতে, আয়রন ডোম কম উচ্চতায় থাকা ওয়ারহেড রকেট আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী এই ধরনের হামলাই চালায়।

Iran attack on Israel: আশঙ্কা সত্যি হল ! ইজরায়েলে মিসাইল ও ড্রোন হামলা শুরু ইরানের

তেল আভিভ: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান ৷ এই খবর আগের থেকেই ছিল ৷ শেষপর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হল ৷ ইজরায়েলের উপর ড্রোন হামলা শুরু করল ইরান ৷ শনিবার গভীর রাতেই জেরুজালেমের উপর এয়ার সাইরেন শোনা যায় ৷ সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ইজরায়েলের উপর ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালায় ইরান ৷ 

জেরুজালেমে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছে। তবে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই ধ্বংস করতে প্রস্তুত ইজরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও।

হামলার কথা স্বীকার করেছে ইজরায়েলি সেনা। এদিন টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইজরায়েলি ফৌজের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি বলেন, “ইরান ড্রোন ও মিসাইল হামলা শুরু করেছে। আমরা সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি।” এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি ড্রোন বা মিসাইল দেখলেই তা ধ্বংস করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের টাইফুন যুদ্ধবিমানগুলোকে। জর্ডনের এয়ার ডিফেন্সকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে, যদি কোনও ইরানীয় বিমানকে তাদের আকাশসীমার উপর দিয়ে উড়তে দেখা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যেন সেগুলি ধ্বংস করা হয় ৷

হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাতের মধ্যে প্রথম থেকেই জড়িয়ে পড়ে ইরান। ইজরায়েল এবং ইরান এতদিন পর্যন্ত সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও দু’দেশের মধ্যে চাপানউতর চলছিল কয়েক দিন ধরেই। আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েলের হামলা ৷ ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয় সাত জনের, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলও। এরপরই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালানো শুরু করল ইরান ৷ যদিও এই ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজরায়েলের কোথায় আঘাত হেনেছে, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।

Iran Israel tension: ইজরায়েলে যখন তখন হামলা চালাতে পারে ইরান, ভারতীয়দের সাবধান করে দিল বিদেশমন্ত্রক

নয়াদিল্লি: ইরান এবং ইজরায়েলে না যাওয়ার জন্য ভারতীয়দের পরামর্শ দিল বিদেশমন্ত্রক৷ শুধু তাই নয়, ওই দুই দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দেরও অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় দূতাবাসে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করারও পরামর্শ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক৷

ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত ক্রমশই তীব্র আকার ধারণ করছে৷ এমন কি, দু দেশের মধ্যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয়দের এই পরামর্শ দিল বিদেশমন্ত্রক৷

আরও পড়ুন: মিনি টর্নেডো বিধ্বস্ত গ্রামের জন্য ‌বড় ঘোষণা মমতার! শুনেই খুশির হাওয়া বার্নিশ গ্রামে

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব ভারতীয়দেরই ইরান এবং ইজরায়েলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ যাঁরা ওই দুই দেশে রয়েছেন তাঁরা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে যোগাযোগ করে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করান৷

এর পাশাপাশি ওই দুই দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক৷ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরনোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

ইতিমধ্যেই নিজেদের দেশের নাগরিকদের ইরান, ইজরায়েল, লেবানন এবং প্যালেস্তাইনে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ফ্রান্স৷ ইজরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কা থেকেই নিজেদের কূটনীতিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছে তারা৷ জার্মান বিমানসংস্থাও তেহরানে যাতায়াতকারী সমস্ত বিমান পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ-এর দাবি অনুযায়ী, শুক্রবারের মধ্যেই ইজরায়েলের মিলিটারি ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালাতে পারে ইরান৷ সেই উদ্দেশ্যে অন্তত ১০০টি ড্রোন এবং মিসাইল প্রস্তুত রেখেছে তারা৷
আবার ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ এক কর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, ইজরায়েলকে আক্রমণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে৷

Indian Killed In Israel: ‘আমার বউমা প্রেগন্যান্ট, ৫ বছরের মেয়েটা বাবাকে খুঁজছে’…কেঁদে ফেললেন ইজরায়েলে মৃত ভারতীয় যুবকের বাবা

কেরল, কোল্লাম: ইজরায়েলে মিসাইল হামলায় নিহত কেরলের ৩১ বছর বয়সী নিবিন ম্যাক্সওয়েলের স্ত্রী সাত মাসের গর্ভবতী। তাঁদের পাঁচ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। নিউজ ১৮-কে এ কথা জানিয়েছেন, মৃতের বাবা প্যাথ্রোজ ম্যাক্সওয়েল।

প্যাথ্রোজ এর বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আমাকে জামাই ফোন করে জানায়, ইজরায়েলে মিসাইল হামলা হয়েছে। নিবিন গুরুতর জখম। মাঝরাতে জানতে পারি, ছেলের মৃত্যু হয়েছে’। প্যাথ্রোজ জানিয়েছেন, তাঁর তিন ছেলে। দুজন ইজরায়েলে এবং অন্যজন আবু ধাবিতে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আমার বড় ছেলে ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করেছিল। চার দিনের মধ্যে মৃতদেহ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে’।

কোল্লামের বাসিন্দা নিবিনের এক আত্মীয় ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে বলেন, ‘ঘটনার আগে বাবাকে ফোন করেছিলেন নিবিন। ইউজরায়েলের অই অঞ্চলের অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট ভয়ে ছিলেন। ফোনে বাবাকে বলেছিলেন, খামারের অধিকাংশ কেরলের কর্মীরাই এলাকা ছাড়ার পরিকল্পনা করছে’।

কেরলের কোল্লাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাইকুলাঙ্গার বাসিন্দা নিবিন ম্যাক্সওয়েল। দু’মাস আগে কাজের সূত্রে ইজরায়েল যান। সেখানকার একটি খামারে কর্মী হিসেবে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে যোসেফ এবং পল মেলভিন নামে কেরলের দুই বাসিন্দাও ওই খামারে কাজ করতেন। অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল হামলায় নিবিনের মৃত্যু হলেও ওই দুজন প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তবে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ইজরায়েলের উত্তরে গ্যালিলি অঞ্চলে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল হামলা হয়’।

৩১ বছর বয়সী বুশ জোসেফ জর্জ এবং ২৮ বছর বয়সী পল মেলভিনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরকারি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘জর্জের মুখ ও শরীরে গুরুতর আঘাত লেগেছে। বর্তমানে তিনি পেটাহ টিকভার বেইলিনসন হাসপাতালে ভর্তি। অস্ত্রোপচারও হয়েছে। আপাতত সুস্থ। তবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে’।

ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে নয়াদিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাস। বলেছে, ‘সিয়া সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর কাপুরুষোচিত হামলায় এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু এবং দু’জনের আহত হওয়ায় ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত’।