Tag Archives: Lebanon

Walkie Talkie Explosion In Lebanon: ‘ফল ভুগতে হবে’…পেজারের পর ওয়াকি-টকি, পর পর বিস্ফোরণে হুঙ্কার হিজবুল্লার,হামলার নেপথ্যে কী ইজরায়েল? ভাইরাল ভিডিও

বেইরুট: পেজার বিস্ফোরণের পর এবার ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ লেবাননে। টার্গেট সেই হিজবুল্লা। বিস্ফোরণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

দেখা যাচ্ছে, এক হিজবুল্লা সদস্যের শেষযাত্রার মিছিল চলছে। জড়ো হয়েছেন অসংখ্য নারী পুরুষ। অ্যাম্বুলেন্সের সামনে এক ব্যক্তির শরীর থেকে আচমকাই ধোঁয়া বেরতে শুরু করল। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মাটিতে পড়ে গেলেন তিনি।

আরও পড়ুন:বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে সুকান্ত মজুমদার, বাংলার বন্যা পরিস্থিতির জন্য কাঠগোড়ায় তুললেন রাজ্য সরকারকে

ইউনাইটেড এগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরানের পলিসি ডিরেক্টর জেসন ব্রডস্কি শেয়ার করেছেন ভিডিওটি (নিউজ18 ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি)। প্রথমে বাজি ফাটার মতো একটা শব্দ। সামান্য আলোর ঝলকানি। তারপরই চিৎকার। যন্ত্রণায় মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে।

আরও পড়ুন:ভয়াবহ ঘটনা বসিরহাটে, গ্যারেজের ভাড়া না দেওয়ায় যুবককে পিটিয়ে খুন

আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। তবে কোথায় বিস্ফোরণটি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্য একটি প্রতিবেদনে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ বেইরুটের দাহিয়া শহরে একটি শেষযাত্রার মিছিলে বিস্ফোরণ হয়।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পেজার বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। জানা গিয়েছে সেই সময়ই ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হয়।

হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি লেবানন। সেখানেই প্রথমে পেজার বিস্ফোরণ এবং তারপর ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হল। ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জখম ১০০-এর বেশি। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি ৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। পরপর এমন হামলায় এই অঞ্চলে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

হিজবুল্লার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, বেইরুটের শক্ত ঘাঁটি ছাড়াও দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননেও একাধিক ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হয়েছে। লেবাননের সরকারি সংবাদমাধ্যমও এই খবর জানিয়েছে।

পেজার বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত দুই শিশু সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২,৮০০ জন। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের খবর সামনে এল। এই বিস্ফোরণের জন্যও ইজরায়েলের দিকে আঙুল তুলেছে হিজবুল্লা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি নেতানিয়াহুর দেশ।

প্রসঙ্গত, পেজার বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হামাসের পাশাপাশি হিজবুল্লার বিরুদ্ধেও সর্বাত্মক লড়াই হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ফলে এই ঘটনার জন্য ইজরায়েলকেই দায়ী করছে হিজবোল্লাহ। হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেছে, “এর ফল ভুগতে হবে।’’

Explainer: লেবাননে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা! কী এই ‘Pager’ বিষ্ফোরণ, জেনে নিন

বেইরুট: ভয়াবহ একাধিক বিষ্ফোরনে কেঁপে উঠেছে লেবানন৷ ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা একাধিক ৷  তবে গোটা বিশ্বের প্রশ্ন কী এই পেজার? কী ভাবেই বা একে বিষ্ফোরণের কাজে লাগানো হয়েছে?

পেজার কী?  এটি একটি ছোট যোগাযোগ যন্ত্র, যা বার্তা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ৮০-এর দশকে সারা বিশ্বে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হl। তবে, মোবাইল এবং অন্যান্য প্রযুক্তির আবির্ভাবের সাথে, পেজার প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর মতো অনেক সন্ত্রাসী সংগঠন এবং অপরাধীরা এখনও পেজার ব্যবহার করে। কারণ এটি মোবাইল বা অন্যান্য যোগাযোগ যন্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে করা হয়৷

আরও পড়ুন : লেবানন জুড়ে রহস্যময় পেজার বিস্ফোরণ, আহত হাজার হাজার মানুষ, মৃত ৮! নেপথ্যে ইজরায়েল?

কিভাবে একটি পেজার কাজ করে? সহজ ভাষায়, আপনি যদি পেজারের মাধ্যমে কাউকে বার্তা পাঠাতে চান, তবে প্রথমে  আপনার ডিভাইসে রিসিভারের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সেট করতে হবে  তারপরেই আপনি বার্তা পাঠাতে পারবেন। পেজারে ফোন করার সুবিধা নেই। পেজার প্রধানত তিন প্রকার। প্রথমটি হল ওয়ান ওয়ে পেজার, যাতে শুধুমাত্র মেসেজ পাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি একটি দ্বিমুখী পেজার, যেখানে বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি বার্তা গ্রহণে সুবিধা রয়েছে এবং তৃতীয়টি একটি ভয়েস পেজার যাতে ভয়েস রেকর্ড করে বার্তা পাঠানো যায়।

মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তির তুলনায় পেজারগুলিকে খুব নিরাপদ বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এটিকে অনুসরণ করা কঠিন। এমনকি একটি পেজার থেকে পাঠানো বার্তাগুলিও ট্র্যাক করা কঠিন, এই কারণেই হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনগুলি তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এটি ব্যবহার করে।

আরও পড়ুন : পেজার বিস্ফোরণে ছারখার লেবানন, মৃত ১১, আহত বহু, ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহর

ডেটা বিশ্লেষক রাল্ফ বেডাউন জানিয়েছেন, পেজারে একটি লিথিয়াম ব্যাটারি রয়েছে। পেজার হ্যাক করা হলে এটি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়৷ তারপরে একটি প্রক্রিয়া শুরু হয় যাকে বলা হয় ‘থার্মাল রানওয়ে’ প্রক্রিয়া।এই প্রক্রিয়ায়, একটি রাসায়নিক শৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া ঘটে এবং হঠাৎ ব্যাটারির তাপমাত্রা এত বেড়ে যায় যে এটি একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। তবে, রালফ বলেছেন যে একসাথে এত পেজার বিস্ফোরণ করা সম্ভব নয়। পেজারে ত্রুটি থাকলে তবেই সেটি সম্ভব৷ হয়তো পেজারগুলি সেই ত্রুটিগুলিও ইচ্ছাকৃত সৃষ্টি করা হয়েছিল৷

পেজার ব্লাস্টের পেছনে আরেকটি তত্ত্বও উঠে আসছে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস আগে তাইওয়ানের এক কম্পানিকে হিজবুল্লাহ প্রায় পাঁচ হাজার পেজার অর্ডার করেছিল। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছে সেই খবর ছিল৷ তারা প্রতিটি পেজারে তিন গ্রাম করে বিস্ফোরক ভরেছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, পেজারগুলি লেবাননে পৌঁছানোর আগেই ইজরায়েলে আটক করা হয়। তারপরই সেগুলির মধ্যে বারুদ বিষ্ফোরক ভরে দেওয়া হয়েছিল৷

India Labanon: ‘অবিলম্বে লেবানন ছাড়ুন’, ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ উত্তেজনার মধ্যে নির্দেশ জারি ভারতের! কীসের আশঙ্কা?

নয়াদিল্লি: হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার পর থেকেই উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। লেবানন ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে লেবাননে বেড়াতে যেতে নিষেধ করে অ্যাডভাইজারি জারি করল ভারত, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া।

বেইরুটের ভারতীয় দূতাবাস থেকে লেবাননে থাকা ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “সতর্ক থাকুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।’’ অন্য দিকে, নাগরিকদের ‘দেশে ফিরে আসার’ পরামর্শ দিয়েছে কানাডা। বলেছে, এই মুহূর্তে “বেইরুট ঘুরে দেখার কথা চিন্তাও করবেন না।’’

আরও পড়ুন: ‘মমতার আমলে রেল দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানে যাঁরা টেবিল বাজাতেন, এখন তাঁরা…’, বেনজির আক্রমণ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং লেবাননে অবস্থানরত সকল অস্ট্রেলিয়ানকে অবিলম্বে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, খুব দ্রুত উত্তেজনা বাড়ছে। যে কোনও সময় বেইরুটের বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তেমনটা হলে অস্ট্রেলিয়ানদের দেশে ফেরানো সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন: এক মাস টানা ভাত না খেলে শরীরে কী হয়? ক্ষতি হয় না কি লাভ? জানুন বিশেষজ্ঞের মত

মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার কথা জানিয়ে বিবৃতি জারি করে ইজরায়েলি সেনা। এরপর থেকেই লেবানন ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ইজরায়েল অধিকৃত গোলান হাইটসে হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ। সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল ফুয়াদ শুকর। তারই বদলা নেয় ইজরায়েল।

বুধবার হামলাস্থল পরিদর্শন করেন লেবাননের মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিকরা। আট তলা বাড়ির ধ্বংসাবশেষের সামনে দাঁড়িয়ে ইজরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করেন তাঁরা। পাশাপাশি তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার জন্যও ইজরায়েলকে দায়ী করা হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত হামাস প্রধানকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি ইজরায়েল। সংসদ সদস্য আলি আম্মার বলেন, “শত্রুপক্ষ (ইজরায়েল) যুদ্ধ চাইছে। আমরা এর জন্য প্রস্তুত। ঈশ্বরও বোধহয় তাই চান। আমরা লড়তে রাজি।’’

ইজরায়েলের হামলার পরই বুধবার সকালে আপদকালীন বৈঠকে বসে লেবাননের মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি সাংবাদিকদের সামনে একটি লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন, “এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। হিজবুল্লাহর সঙ্গে এমন কিছু হতে পারে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।’’সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সরকার যুদ্ধ চায় না। উত্তেজনা প্রশমিত করতে কূটনৈতিক পথেই এগোবে লেবানন।

Israel Rocket Attack: লেবাননকে চরম হুঁশিয়ারী নেতানিয়াহুর, ভারতীয় দূতাবাস থেকে জারি হল নির্দেশিকা

লেবানন: ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে লেবাননের সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে৷ যাঁরা লেবাননে ভ্রমণ করার কথা ভাবছেন তাঁদেরকেও সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷

গত শনিবার, ইজরায়েলের নর্দার্ন গোলান হাইটসের মজদাল শামস গ্রামে রকেট হামলা চালানো হয়৷ ইজরায়েলের পক্ষ থেকে এই হামলার জন্য হিজবোল্লা গোষ্ঠীকে দায়ী করে৷ এই ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন৷

আরও পড়ুন: হিজবোল্লাকে ভারী মূল্য চোকাতে হবে, ইজরায়েলের উপর হামলার পরই চরম হুঁশিয়ারী নেতানিয়াহুর

ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, ‘‘ওরা সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে৷ আমরা এই ভয়াবহ হামলার উত্তর দেব৷’’

এই ঘটনায় মার্কিন সফর কাটছাট করে দেশের উদ্দেশ্যে পারি দিয়েছেন৷ তিনি বলেন,‘‘ইজরায়েল এই হত্যাকাণ্ডের উত্তর না দিয়ে থামবে না৷ হিজবোল্লাকে এর জন্য ব্যাপক মূল্য চোকাতে হবে, যা ওরা আগে কখনও ভাবেনি৷’’

আরও পড়ুন: ‘সেফ জোন’ খান ইউনিসেও ইজরায়েলের হামলা, গাজায় ফের আশ্রয়চ্যুত ১ লক্ষ ৮০ হাজার জন

ইজরায়েলে হামলার পর থেকেই লেবানন আর ইজরায়েলের সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে৷ এই অবস্থায় বৈরুতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস লেবাননের সমস্ত ভারতীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷

তাঁদের ইমেল মারফত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন৷ আপদকালীন যোগাযোগের জন্য দূতাবাস থেকে cons.beirut@mea.gov.in এই ইমেল আই ডি ও ৯৬১৭৮৬০১২৮ ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে৷

ইজরায়েল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৭ অক্টোবরের পর এটাই ইজরায়েলের উপর সবথেকে মারাত্মক হামলা৷ এই হামলার পর থেকেই লেবানন সীমান্তে গুলির লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে৷

যদিও ইরান ইজরায়েলকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে লেবাননের উপর সামরিক আঘাত করতে তার ফল খুব খারাপ হবে৷ এই পরিস্থিতে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে৷ এরফলে যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

Hezbollah Explained: হিজবুল্লাহ কারা? লেবাননের এই গোষ্ঠীই কি তবে হামাসকে মদত জোগাচ্ছে? জানুন বিশদে

প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা যুদ্ধের সমান্তরালে লড়াই চলছে লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইজরায়েলের মধ্যে। আর এই সশস্ত্র প্রতিপক্ষের মধ্যে বিস্তৃত সংঘাতের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। আর আশঙ্কার উল্লেখ করে ইজরায়েল রবিবার জানিয়েছে যে, নর্দার্ন ফ্রন্ট বরাবর এক সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতির পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর ভূমিকাটা ঠিক কী? সেই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক। Photo: AP
প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা যুদ্ধের সমান্তরালে লড়াই চলছে লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইজরায়েলের মধ্যে। আর এই সশস্ত্র প্রতিপক্ষের মধ্যে বিস্তৃত সংঘাতের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। আর আশঙ্কার উল্লেখ করে ইজরায়েল রবিবার জানিয়েছে যে, নর্দার্ন ফ্রন্ট বরাবর এক সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতির পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর ভূমিকাটা ঠিক কী? সেই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক। Photo: AP
হিজবুল্লাহর উৎপত্তি কী?- ১৯৭৫ সাল থেকে ১১৯০ সাল পর্যন্ত চলা লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ গঠন করে। মূলত ১৯৭৯ সালের ইসলামিক রেভলিউশন ছড়িয়ে দেওয়া এবং ১৯৮২ সালে লেবাননে অনুপ্রবেশকারী ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য এটা ইরানের প্রচেষ্টার অংশ। Photo: AP
হিজবুল্লাহর উৎপত্তি কী?- ১৯৭৫ সাল থেকে ১১৯০ সাল পর্যন্ত চলা লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ গঠন করে। মূলত ১৯৭৯ সালের ইসলামিক রেভলিউশন ছড়িয়ে দেওয়া এবং ১৯৮২ সালে লেবাননে অনুপ্রবেশকারী ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য এটা ইরানের প্রচেষ্টার অংশ। Photo: AP
এই গোষ্ঠী একটি ছায়া দল থেকে বড়সড় সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। লেবানন এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ওয়েস্টার্ন গভর্নমেন্টগুলি এই গোষ্ঠীকে একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর তকমা দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সৌদি আরব-সহ সুন্নি মুসলিম গালফ আরবের দেশগুলিও হিজবুল্লাহকে জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই মনে করে। হিজবুল্লাহ আসলে শিয়া ইসলামিস্ট গোষ্ঠী। ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকের নীতি অনুসরণ করে তারা। Photo: AP
এই গোষ্ঠী একটি ছায়া দল থেকে বড়সড় সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। লেবানন এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ওয়েস্টার্ন গভর্নমেন্টগুলি এই গোষ্ঠীকে একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর তকমা দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সৌদি আরব-সহ সুন্নি মুসলিম গালফ আরবের দেশগুলিও হিজবুল্লাহকে জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই মনে করে। হিজবুল্লাহ আসলে শিয়া ইসলামিস্ট গোষ্ঠী। ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকের নীতি অনুসরণ করে তারা। Photo: AP
হিজবুল্লাহ কীভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল?- হিজবুল্লাহ হল প্রতিরোধ অক্ষ-এর একটি শক্তিশালী অংশ। পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলির একটি জোট। এর মধ্যে প্যালেস্তাইনি ইসলামিস্ট আন্দোলন হামাসও অন্তর্ভুক্ত। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলা করে গাজা যুদ্ধের সূচনা করেছে এই হামাস। প্যালেস্তাইনিদের সঙ্গে সংহতির কথা ঘোষণা করে গত ৮ অক্টোবর ফ্রন্টিয়ার এলাকায় ইজরায়েলি ঘাঁটিগুলিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে হিজবুল্লাহ। Photo: AP
হিজবুল্লাহ কীভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল?- হিজবুল্লাহ হল প্রতিরোধ অক্ষ-এর একটি শক্তিশালী অংশ। পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলির একটি জোট। এর মধ্যে প্যালেস্তাইনি ইসলামিস্ট আন্দোলন হামাসও অন্তর্ভুক্ত। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলা করে গাজা যুদ্ধের সূচনা করেছে এই হামাস। প্যালেস্তাইনিদের সঙ্গে সংহতির কথা ঘোষণা করে গত ৮ অক্টোবর ফ্রন্টিয়ার এলাকায় ইজরায়েলি ঘাঁটিগুলিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে হিজবুল্লাহ। Photo: AP
এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। এর পাশাপাশি হিজবুল্লাহ রকেট এবং ড্রোন উৎক্ষেপণ করছে। আবার অন্যদিকে ইজরায়েলও বিমান হামলার পাশাপাশি গোলাবর্ষণ করে চলেছে। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে দুই পক্ষই এই হামলা আরও বাড়িয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত লেবাননে ইজরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় ২৪০ হিজবুল্লাহ জঙ্গি। এর পাশাপাশি সিরিয়ায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে। Photo: AP

এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। এর পাশাপাশি হিজবুল্লাহ রকেট এবং ড্রোন উৎক্ষেপণ করছে। আবার অন্যদিকে ইজরায়েলও বিমান হামলার পাশাপাশি গোলাবর্ষণ করে চলেছে। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে দুই পক্ষই এই হামলা আরও বাড়িয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত লেবাননে ইজরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় ২৪০ হিজবুল্লাহ জঙ্গি। এর পাশাপাশি সিরিয়ায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে। Photo: AP
রাষ্ট্রপুঞ্জের গত ৩ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, লেবাননে প্রায় ৬৬ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আবার লেবাননের হামলায় নাগরিক এবং সেনা-সহ প্রাণ গিয়েছে প্রায় ১৮ জন ইজরায়েলির। এখানেই শেষ নয়, ইজরায়েল এবং লেবাননে আজ গৃহহারা প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। Photo: AP
রাষ্ট্রপুঞ্জের গত ৩ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, লেবাননে প্রায় ৬৬ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আবার লেবাননের হামলায় নাগরিক এবং সেনা-সহ প্রাণ গিয়েছে প্রায় ১৮ জন ইজরায়েলির। এখানেই শেষ নয়, ইজরায়েল এবং লেবাননে আজ গৃহহারা প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। Photo: AP
হিজবুল্লাহ কতটা শক্তিশালী?- লেবাননের গৃহযুদ্ধের পর অন্যান্য গোষ্ঠী নিরস্ত্র হয়ে গেলেও হিজবুল্লাহ ইজরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের অস্ত্র রেখেছিল। দেশের দক্ষিণে প্রধানত শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত অংশ দখল করে রেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে চলা গেরিলা যুদ্ধের কারণে ২০০০ সালে প্রত্যাহার করে ইজরায়েল। Photo: AP
হিজবুল্লাহ কতটা শক্তিশালী?- লেবাননের গৃহযুদ্ধের পর অন্যান্য গোষ্ঠী নিরস্ত্র হয়ে গেলেও হিজবুল্লাহ ইজরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের অস্ত্র রেখেছিল। দেশের দক্ষিণে প্রধানত শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত অংশ দখল করে রেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে চলা গেরিলা যুদ্ধের কারণে ২০০০ সালে প্রত্যাহার করে ইজরায়েল। Photo: AP
২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইজরায়েলের সঙ্গে পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে সামরিক অগ্রগতি প্রদর্শন করে। যা ইজরায়েলে প্রবেশ করার পরে তা আরও ঘনীভূত হয়। দুই সেনাকে অপহরণ করে এবং অন্যদের হত্যা করে। সংঘাতের সময় হিজবুল্লাহ ইজরায়েলে হাজার হাজার রকেট উৎক্ষেপণ করে। যেখানে লেবাননে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই নাগরিক। আর অন্যদিকে ১৫৮ জন ইজরায়েলিও প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সেনা। Photo: AP
২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইজরায়েলের সঙ্গে পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে সামরিক অগ্রগতি প্রদর্শন করে। যা ইজরায়েলে প্রবেশ করার পরে তা আরও ঘনীভূত হয়। দুই সেনাকে অপহরণ করে এবং অন্যদের হত্যা করে। সংঘাতের সময় হিজবুল্লাহ ইজরায়েলে হাজার হাজার রকেট উৎক্ষেপণ করে। যেখানে লেবাননে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই নাগরিক। আর অন্যদিকে ১৫৮ জন ইজরায়েলিও প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সেনা। Photo: AP
হিজবুল্লাহর সেনাশক্তি ২০০৬ সালের পর আরও উন্নত হয়। ওই গোষ্ঠীর বক্তব্য, তাদের রকেট ইজরায়েলের সমস্ত অংশেই হামলা করবে। গাজা যুদ্ধের সময় সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করে হামলার কথা ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। শুধু তা-ই নয়, ইজরায়েলে বিস্ফোরক ড্রোন হামলাও চালায় তারা। হিজবুল্লাহ নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, এই গোষ্ঠীতে রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ যোদ্ধা। আবার আমেরিকান সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক বলছে, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হিজবুল্লাহর রয়েছে প্রায় ৪৫,০০০ যোদ্ধা। Photo: AP
হিজবুল্লাহর সেনাশক্তি ২০০৬ সালের পর আরও উন্নত হয়। ওই গোষ্ঠীর বক্তব্য, তাদের রকেট ইজরায়েলের সমস্ত অংশেই হামলা করবে। গাজা যুদ্ধের সময় সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করে হামলার কথা ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। শুধু তা-ই নয়, ইজরায়েলে বিস্ফোরক ড্রোন হামলাও চালায় তারা। হিজবুল্লাহ নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, এই গোষ্ঠীতে রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ যোদ্ধা। আবার আমেরিকান সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক বলছে, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হিজবুল্লাহর রয়েছে প্রায় ৪৫,০০০ যোদ্ধা। Photo: AP
হিজবুল্লাহর কি আঞ্চলিক ক্ষমতা রয়েছে?- ইরাকি শিয়া সেনা-সহ গোটা অঞ্চল জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলিকে অনুপ্রেরণা এবং মদত জুগিয়েছে হিজবুল্লাহ। এটি সিরিয়ার যুদ্ধে তার মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সাহায্য করতে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে এখনও যোদ্ধা রয়েছে। সৌদি আরবের বক্তব্য, ইয়েমেনে লড়াই করার ক্ষেত্রে ইরানের মিত্রশক্তি হুথিদের সঙ্গে মিলে লড়াই করেছিল হিজবুল্লাহ। তবে ওই গোষ্ঠী এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। Photo: AP

হিজবুল্লাহর কি আঞ্চলিক ক্ষমতা রয়েছে?- ইরাকি শিয়া সেনা-সহ গোটা অঞ্চল জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলিকে অনুপ্রেরণা এবং মদত জুগিয়েছে হিজবুল্লাহ। এটি সিরিয়ার যুদ্ধে তার মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সাহায্য করতে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে এখনও যোদ্ধা রয়েছে। সৌদি আরবের বক্তব্য, ইয়েমেনে লড়াই করার ক্ষেত্রে ইরানের মিত্রশক্তি হুথিদের সঙ্গে মিলে লড়াই করেছিল হিজবুল্লাহ। তবে ওই গোষ্ঠী এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। Photo: AP
লেবাননে হিজবুল্লাহর ভূমিকা ঠিক কী?- হিজবুল্লাহর প্রভাব তার অস্ত্রশস্ত্র এবং লেবাননের বেশ কিছু শিয়ার সমর্থন উভয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়। লেবাননের শিয়ারা বলেন যে, এই দলটি ইজরায়েলের হাত থেকে লেবাননকে রক্ষা করে। এতে সরকারের মন্ত্রী এবং পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা রয়েছেন। লেবাননের দলগুলি আবার হিজবুল্লাহর বিরোধিতা করে। আর জানায় যে, দলটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং একতরফা ভাবে লেবাননকে যুদ্ধের ময়দানে টেনে নিয়ে গিয়েছে। Photo: AP
লেবাননে হিজবুল্লাহর ভূমিকা ঠিক কী?- হিজবুল্লাহর প্রভাব তার অস্ত্রশস্ত্র এবং লেবাননের বেশ কিছু শিয়ার সমর্থন উভয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়। লেবাননের শিয়ারা বলেন যে, এই দলটি ইজরায়েলের হাত থেকে লেবাননকে রক্ষা করে। এতে সরকারের মন্ত্রী এবং পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা রয়েছেন। লেবাননের দলগুলি আবার হিজবুল্লাহর বিরোধিতা করে। আর জানায় যে, দলটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং একতরফা ভাবে লেবাননকে যুদ্ধের ময়দানে টেনে নিয়ে গিয়েছে। Photo: AP
১৯৯২ সালে লেবাননের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে তারা। নির্বাচনে লড়াই করছে। আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা সুন্নি রাজনীতিবিদ রফিক আল-হারিরিকে হত্যার পরে লেবানন থেকে সিরিয়া সেনা প্রত্যাহার করার পর ২০০৫ সাল থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে হিজবুল্লাহ। ২০০৮ সালে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। এরপরে এই গোষ্ঠীর জঙ্গিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অঙ্গীকার করে সরকার। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা বেইরুটের বিস্তীর্ণ অংশের দখল নেয়। Photo: AP
১৯৯২ সালে লেবাননের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে তারা। নির্বাচনে লড়াই করছে। আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা সুন্নি রাজনীতিবিদ রফিক আল-হারিরিকে হত্যার পরে লেবানন থেকে সিরিয়া সেনা প্রত্যাহার করার পর ২০০৫ সাল থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে হিজবুল্লাহ। ২০০৮ সালে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। এরপরে এই গোষ্ঠীর জঙ্গিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অঙ্গীকার করে সরকার। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা বেইরুটের বিস্তীর্ণ অংশের দখল নেয়। Photo: AP
বিভিন্ন হামলার অভিযোগ: লেবাননের আধিকারিক এবং ওয়েস্টার্ন ইন্টেলিজেন্সের বক্তব্য, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগ থাকা গোষ্ঠীগুলি ওয়েস্টার্ন এম্ব্যাসিগুলিতে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ১৯৮০ সালে পশ্চিমীদের নিশানা এবং অপহরণও করে। সেই সব হামলা এবং পণবন্দি করার প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ২০২২ সালের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ওই সব হামলাগুলি চালিয়েছিল ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলি। হিজবুল্লাহর সঙ্গে যাদের কোনও যোগ নেই। Photo: AP
বিভিন্ন হামলার অভিযোগ: লেবাননের আধিকারিক এবং ওয়েস্টার্ন ইন্টেলিজেন্সের বক্তব্য, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগ থাকা গোষ্ঠীগুলি ওয়েস্টার্ন এম্ব্যাসিগুলিতে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ১৯৮০ সালে পশ্চিমীদের নিশানা এবং অপহরণও করে। সেই সব হামলা এবং পণবন্দি করার প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ২০২২ সালের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ওই সব হামলাগুলি চালিয়েছিল ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলি। হিজবুল্লাহর সঙ্গে যাদের কোনও যোগ নেই। Photo: AP