বসিরহাট: একটি কলার কাঁদির দৈঘ্য ৪ ফুট, উন্নত প্রজাতির চাষে আয়ের সুযোগ। আর চিরাচরিত কলা চাষ অনুযায়ী চাষ নয়। এবার উন্নত প্রজাতির কলা চাষে লাভের দিশা দেখতে পারেন। এক একটি কলার কাঁদির দৈর্ঘ্য প্রায় চার ফুট।
একটি কাঁদিতে কলা ফলে আছে প্রায় আড়াইশো থেকে ৩০০ টি। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাটের কল বাড়ি এলাকায় এক সময়ের বায়ো-সায়েন্সের ছাত্র অরবিন্দ মণ্ডল বাড়িতেই রোপন করেছেন এই ধরনের কলা গাছ।
আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, মুহুর্মুহু বাজ! গাছের ডাল ভেঙে মৃত ১
জাতের কলার ফলন বেশি, সুস্বাধু । তাই এ জাতের কলা চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারেন কৃষকরা। সাধারণ জাতের কলায় যেখানে কাঁদিতে ৬০ থেকে ১২০টি কলা পাওয়া যায়, সেখানে উচ্চফলনশীল এই জাতের কলায় এক কাঁদি থেকে ২৫০ থেকে ৩০০টি কলার ফলন পাওয়া য়ায়। শুরুতে এটি দেখতে সবুজ হলেও পাকার পর হলুদ রংয়ের হয়। যা দেখতে সাগর কলার মত। এটি বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়।
জেলায় জি-৯ জাতের উচ্চফলনশীল জাতের কলা চাষ অনেকটাই নতুন। এ কলা চাষ খুব লাভজনক। চারা সংগ্রহ থেকে শুরু করে জমি প্রস্তত করে একটি বার চারা রোপন করলেই ব্যাস। এই প্রজাতির গাছে তেমন রোগ বালাই হয়না। তবে একটু উঁচু স্থানে এই প্রজাতির কলা গাছ রোপন করা ভাল।
আরও পড়ুন: বুধের প্রথমে সোজা, পরে উল্টো চাল! ৪ রাশির কেরিয়ারে আসছে সুবর্ণ সুযোগ, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়বে
অরবিন্দ বাবু জানান, পরীক্ষামূলকভাবে বাড়িতে কয়েকটি চারা গাছ লাগালে ভালো ফলন পাওয়ায় এবার বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ করবেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি এই ধরনের কলা চাষ করে অনেক বেকার যুবকও স্বনির্ভর হতে পারবেন।
জুলফিকার মোল্যা