বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় চলেছে কখনও বিক্ষিপ্ত ভাবে আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টিপাত। ইন্দাসের করিশুণ্ডার বিস্তীর্ণ এলাকার সদ্য রোপন হওয়া ধান জমির উপরে এক কোমর জল, হাহাকার চাষিদের । প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আবারও শিরোনামে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের করিশুণ্ডা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাহাড়পুর , সিমুলিয়া, গোবিন্দপুর, করিশুন্ডা সহ অন্যান্য এলাকা। টানা বৃষ্টিতে বিপদজনক অবস্থার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ।
চারিদিকে শুধুই জল। ক্ষতির হাহাকার শোনা যাচ্ছে আকাশে বাতাসে। আর নিজের মনে চাষিরা করছেন বিলাপ কারণপ্রকৃতির উপরে কেউ নেই।প্রকৃতির রোষে একেবারে সর্বশান্ত করিশুণ্ডা এলাকার আমজনতা। আমন ধানের চাষের জন্য কয়েকদিন আগেই ডিভিসি থেকে ছাড়া হয়েছে জল। বৃষ্টিপাত কম হচ্ছিল বাঁকুড়া জেলায়, কিন্তু হঠাৎ করে এই নিম্নচাপ চলে আসে সিলেবাসের বাইরে থেকে। ক্যানেলের জল সঙ্গে বৃষ্টির জল সব মিলিয়ে জমির তলায় সোনার ধান বীজ।
আরও পড়ুন : ডিভিসি জল ছাড়ায় স্বস্তিতে কৃষকরা
সদ্য আমন ধান পোঁতা হয়েছে জমিতে, কেউ নিজের জমিতে, কেউবা অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ করে একটু সুখের মুখ দেখতে চেয়েছে কিন্তু হঠাৎ নিম্নচাপের টানা বৃষ্টি আর তাতে বন্যা পরিস্থিতি এলাকায়। কৃষি জমির উপর দিয়ে কোমর সমান জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে সদ্য রোপন করা ধান বীজ আর সেই চিত্র দেখে বুক ফাটছে চাষিদের। কদিন পর প্রকৃতির নিয়মে আবারওজল সরে যাবে কিন্তু বিস্তীর্ণ এলাকার বিঘার পর বিঘা জমি ফসল হীন হয়ে পড়ে থাকবে অসহায় চাষীদের চোখের সামনে। ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে কৃষক বাবলু রুইদাস জানিয়েছেন, “ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলাম। সব জলের তলায় চলে গেছে। এরপরে আর বীজও পাবনা।”
আরও পড়ুন : ভুতুড়ে কাণ্ড! হঠাৎ হঠাৎ আগুন লেগে যাচ্ছে বাড়ির জিনিসপত্রে, সমাধানে ‘বিজ্ঞান’ও ফেল…
বছরের এই একটি ফসল না হলে তার প্রভাব পড়বে প্রতিটি সংসারে ।এমনিতেও প্রতিদিন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা চাষিদের তার উপরে যদি আমন ধান চাষ না হয় তবে সারা বছরের দুর্গতির শেষ থাকবে না আর এটা ভেবে আতঙ্কিত প্রত্যেকটি পরিবার। নতুন করে ধান লাগানো যেতেই পারে কিন্তু পাবে কোথায় সেই ধান বীজ? সেই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এমতবস্থায় এলাকার কৃষি দফতরএগিয়ে আসবে কিনা! অসহায় চাষিরা তাকিয়ে সেই দিকেই।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী