IAS Students Death: দিল্লি পুলিশ-প্রশাসনকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা! IAS পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

নয়াদিল্লি: ‘‘একদিন খরা হয় তো, একদিন বন্যা৷’’ নাগরিক এবং অর্থনৈতিক দিল্লির সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়েই এদিন দিল্লি হাইকোর্টের কড়া তিরস্কারের মুখে পড়ল দিল্লি প্রশাসন৷ পাশাপাশি, পুলিশ প্রশাসনের উপরে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করে আইএএস কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে ৩ মেধাবী পড়ুয়ার জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার ন্যস্ত করা হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপরে৷

গত রবিবার প্রচণ্ড বৃষ্টিতে যখন বানভাসি দিল্লি, তখন পুরনো রাজেন্দ্র নগর এলাকার একটি কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট প্লাবিত হয়ে ৩ পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে৷ প্রশ্ন ওঠে লক্ষ লক্ষ টাকা টিউশন ফিজ দিয়ে যেখানে পড়ুয়ারা পড়তে যাচ্ছে, সেখানকার পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার উপরে৷ কেন বেসমেন্টে বেআইনিভাবে লাইব্রেরি তৈরি করা হয়েছিল, কেন ওই বেসমেন্টে জল জমে, কেনই বা তা বের করা গেল না এসব নিয়ে প্রশাসনের প্রশ্নের মুখে পড়ে সংশ্লিষ্ট কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ৷

আরও পড়ুন: বিমার কিস্তিতে কেন জিএসটি! মধ্যবিত্তের কথা মনে করিয়ে সরাসরি নির্মলা সীতারমণকে চিঠি মমতার

কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে, প্রশাসন এবং দিল্লি পুরসভাও শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের চূড়ান্ত ভর্ৎসনার হাত থেকে রেহাই পেল না৷ এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বর্তমান কার্যকরী প্রধান বিচারপচি মনমোহন এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলা ৩ পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তিরস্কার করে দিল্লি পুলিশকে৷

বেঞ্চ জানায়, ‘‘যে দ্রুততায় ওই এসইউভি চালককে আপনারা গ্রেফতার করেছিলেন, সেভাবে ওখান থেকে জল সরানো হয়নি৷ এই অবহেলা অপরাধের সমান৷ জল কারওকে ছাড়ে না, জল কারও ঠিকানা জানে না৷ এরকমই যদি অবস্থা থাকে, তাহলে তো প্রতি বছর বর্ষায় এইরকম দুর্ঘটনা ঘটতে থাকবে৷’’

প্রসঙ্গত, ওই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢোকার ঠিক আগে সেখান দিয়ে একটি এসইউভি গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মনোজ কাঠুরিয়া নামে এক গাড়ি চালক৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ যদিও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত৷

আরও পড়ুন: ‘সংরক্ষণ শুধুমাত্র প্রথম প্রজন্মের ক্ষেত্রেই থাকা উচিত,’ SC/ST-র সাব-কোটায় সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের

এদিন আদালত শুনানি চলাকালীন বলে, ‘‘আদালতের তো মনে হচ্ছে দিল্লির সিভিক এজেন্সির সামান্য নর্দমা তৈরি করার মতোও টাকা নেই৷ ৫০ বছর আগে দিল্লিতে শেষবার নর্দমা তৈরি হয়েছিল৷ কোনও পরিকাঠামোগত ব্যবস্থাপনাই পর্যাপ্ত নয় দিল্লিতে৷’’ আদালতের কটাক্ষ, কিছু হলেই একজন আরেক জনকে দুষতে শুরু করে দেয়৷

এরপরেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিল্লি হাইকোর্ট৷ জানায়, ‘‘CVC (Central Vigilance Commission) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, এক প্রবীণ আধিকারিককে নিয়োগ করুন৷ তিনিই এই ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখবেন এবং তদন্ত যাতে সময়ের মধ্যে শেষ হয় সেটা দেখবেন৷’’