হুগলি: কই মাছ গলায় আটকে মৃত্যু এক যুবকের। যুবকের নাম সাগর রায়। বছর ৩০-এর ওই যুবক কই মাছ ধর ছিলেন অনেক মাছ হওয়ায় রাখার জায়গা না পেয়ে মুখে রেখে দেন। সেই ভুলই হল জীবনের চরম বিপদ। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো সম্ভব হয়নি পাণ্ডুয়ার যুবককে।
পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়াল পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা যুবক। বছর ছয়েক আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জৌগ্রাম ঝাপানডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। যুবকের পরিবার থাকে পাণ্ডুয়ায়।স্ত্রীকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় একটি কই মাছ দেখতে পান তিনি। সেটিকে ধরতেই কিছু দূরে আরও একটি কই মাছকে লাফাতে দেখেন। প্রথম মাছটিকে দাঁতে ধরে তিনি দ্বিতীয় মাছটি ধরতে যান। তখনই গলায় চলে যায় কই মাছটি। সেটি গলায় আটকে মৃত্যু হয়।
যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির জল পুকুর ডুবিয়ে রাস্তার উপর দিয়ে বইতে থাকে। সেই জলে ভেসে যেতে দেখে একটা কই মাছ ধরে মুখে রেখে আরেকটা মাছ ধরার চেষ্টা করেন তিনি।মুখে রাখা কই মাছ গলায় আটকে যায়। দম বন্ধ হয়ে যায় যুবকের। তড়িঘড়ি স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে তাঁর মা লক্ষ্মী রায়। পরিবারে শোকের ছায়া। মা লক্ষ্মী বলেন, “ছেলে সকালে কই মাছ ধরছিল। সেটা ধরে মুখে রেখেছিল। তাতেই এই ঘটনা।পাকা রাস্তায় কই মাছ উঠে এসেছিল।খালি হাতে ধরছিল সেই মাছ। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।”
রাহী হালদার