চারজনকে উদ্ধার করে ডিএমজি৷

Purba Bardhaman: নীচে প্রবল স্রোতে বইছে নদী, বাঁচতে গাছের ডালে চারজন! ভাতারে হাড় হিম করা ছবি

ভাতার: মাছ ধরার নৌকা আনতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন দুজন। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে একই অবস্থা হয় আরও দু জনের। চারজন গাছে উঠে বাঁচার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন প্রাণপণ। দীর্ঘক্ষণ গাছের ডালে বসে অপেক্ষার পর অবশেষে তাঁদের উদ্ধার করল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে এই ঘটনা ঘটেছে।

বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে খড়ি নদী। জলের  তোড়ে যে কোনও মুহূর্তে ভেসে যেতে পারে মাছ ধরার নৌকা। জীবন জীবিকা রক্ষার তাগিদে বিপদকে উপেক্ষা করেই নৌকা আনতে জলে নামেন ভাতারের পারহাট দাসপাড়ার বাসিন্দা ফড়িং দাস ও কর্ণধর দাস। কিন্ত জলের তোড়ে নৌকা আনা তো দূর অস্ত, নিজেরাই খড়খুটোর মতো ভেসে যেতে শুরু করেন। জীবন রক্ষার জন্য কোনও রকমে দু’জনই আশ্রয় নেয় একটি গাছে।

আরও পড়ুন: শমীকের উপরে চটলেন খাড়গে! বিজেপি সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি

দীর্ঘক্ষণ গাছে আটকে দুজনে যখন দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েন তখন নদীতে আরও জল বাড়ছে দেখে উদ্ধার তাঁদের উদ্ধার করতে যান গ্রামেরই উত্তম দাস ও শ্রীকান্ত দাস নামে আরও দুজন। কিন্তু তাঁরাও কার্যত বাধ্য হয়ে একই গাছে আশ্রয় নেন। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর স্থানীয়দের নজরে বিষয়টি আসতেই তারা ভাতার থানার পুলিশকে খবর দেয়। ভাতার থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের  সহযোগিতায় ওই চারজনকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।

জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতরের আধিকারিক প্রতীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চার জনকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই চারজন বলছেন, খড়ি নদী যে এত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তা ভাবা যায়নি। আমরা প্রত্যেকেই সাঁতার জানি। কিন্তু স্রোতের টান এতটা বেশি ছিল যে সাঁতার কেটেও ডাঙার দিকে যাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই গাছে আশ্রয় নিতে হয়। সময় মতো বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা না এলে আমাদের আরও দীর্ঘক্ষণ গাছের ডালেই অপেক্ষা করতে হতো। নীচে খড়ি নদীর জলস্রোত, অন্যদিকে চলছে মুষলধারে বৃষ্টি। তার মধ্যেই ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছিল গাছের ডালে। শেষ পর্যন্ত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা এসে স্পিডবোটে তুলে আমাদের পাড়ে নিয়ে আসেন।