শমীক ভট্টাচার্যের বহিষ্কার দাবি করলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে৷

Samik Bhattacharya: শমীকের উপরে চটলেন খাড়গে! বিজেপি সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি

নয়াদিল্লি: তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে বহিষ্কারের দাবি জানালেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ এ দিন তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখার সময় বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন শমীক ভট্টাচার্য৷ এর পরেই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে শমীক ভট্টাচার্যকে বহিষ্কারের দাবি জানান খাড়গে৷

এ দিন জিরো আওয়ারে তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম রাজ্যসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলাকে ভাগের চক্রান্ত করার অভিযোগ তোলেন৷ সামিরুল বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকারের কাছে স্পেশ্যাল প্যাকেজের দাবি জানাচ্ছি৷ আর যারা বাংলার বিভাজন করার চক্রান্ত করছেন, তা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি৷ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, তিনি বাংলাকে ভালবাসেন৷ পরের বার বাংলায় জন্মগ্রহণ করতে চান৷ বাংলাকে এত ভালবাসলে বাংলার ন্যায্য পাওনা কেন মেটাচ্ছেন না? সবশেষে বলি, সর্বশক্তি দিয়েও বাংলাক ভাগ করতে পারবেন না৷’

অভিযোগ, সামিরুল যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন বার বার উঠে দাঁড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য৷ তৃণমূল সাংসদ মিথ্যে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করে বার বার সামিরুলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন শমীক৷

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি সন্দেহে দমকলে চাকরি পেয়েও বাদ! সব শুনে বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য শেষ হতেই উঠে দাঁড়িয়ে শমীকের এই আচরণের প্রতিবাদ জানান রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ শমীক ভট্টাচার্যের নাম না রাজ্যসভার ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি বার বার বলেন এখানে উপস্থিত সব সদস্যকে সম্মান করতে৷ সবাই যেন নিজেদের বক্তব্য রাখতে পারেন, সেই পরামর্শও আপনি দিয়েছেন৷ কিন্তু একজন সদস্য বার বার অন্যরা বক্তব্য রাখার সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, বিরক্ত করছেন৷ প্রতিটি শব্দেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি৷ এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না৷ আপনার কাছে অনুরোধ, ওই সাংসদকে আপনি বহিষ্কার করুন৷’

যদিও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেন, বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য যা বলেছেন, তা রাজ্যসভার রেকর্ডে নথিভুক্ত করা হয়নি৷ বিরোধী দলনেতা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা মেনে চলার জন্যও সব সাংসদকে অনুরোধ করেন তিনি৷ যদিও শমীক ভট্টাচার্যকে বহিষ্কারের দাবি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং৷ অভিযোগ, এ দিন সকালে আর এক তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বক্তব্য রাখার সময়ও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন শমীক৷

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খণ্ডণ করে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, সামিরুল ইসলাম ভুল তথ্য তুলে ধরে রাজ্যসভাকে বিভ্রান্ত করছিলেন৷ তার প্রতিবাদেই পাল্টা স্লোগান দিয়েছেন তিনি৷