Tag Archives: Samik Bhattacharya

Samik Bhattacharya: প্রাইজ পোস্টিং! বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে বড় হুঁশিয়ারি শমীকের

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বদলির ঘটনায় খুশি নয় বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সেই মেডিক্যাল কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁকে চার ঘণ্টার মধ্যে প্রাইজ পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। বিনীত গোয়েলের ক্ষেত্রেও সেই একই পথ অবলম্বন করা হল।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৮ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

শমীকের দাবি, ‘‘আরজি করের চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি প্রমাণ লোপাট করেছেন বিনীত গোয়েল। অবিলম্বে বিনীত গোয়েলের গ্রেফতার চাই আমরা।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শমীক ভট্টাচার্য এও বলেন, ‘‘বিনীত গোয়েলকে পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাঁকে যেভাবে অন্য জায়গায় বদলি করা হল তাতে আমরা মনে করি মানুষের আবেগের সঙ্গে প্রতারণা করে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রাইজ পোস্টিং দেওয়া হল। আমরা বিনীত গোয়েলকে যেখানে বদলি করা হয়েছে সেখানে যাতে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করতে না পারেন তার জন্য আন্দোলন করব।’’

আরও পড়ুন– এক বছর মেয়াদি FD-তে ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ! বন্ধন ব্যাঙ্কের দারুণ অফার

মঙ্গলবার সরকারিভাবে নবান্নের পক্ষ থেকে কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে মনোজ ভার্মার নাম ঘোষণা করা হয়৷ আরজি করের ঘটনায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের অন্যতম দাবি মেনে বিনীত গোয়েলের বদলে মনোজ ভার্মাকে পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কলকাতার বিদায়ী নগরপাল বিনীত গোয়েলকে এডিজি (এসটিএফ) পদে বদলি করে রাজ্য সরকার ৷ আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে বিনীত গোয়েলকে নগরপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এর আগে এডিজি এসটিএফ পদেই কর্মরত ছিলেন বিনীত গোয়েল ৷

West Bengal BJP: সন্দীপ ঘোষের পর এবার ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আরজি কর ঘটনার আবহেই এবার কলকাতার আরও একটি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনল বিজেপি। বিজেপি সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘সন্দীপ ঘোষের পর বিভিন্ন ছাত্র ও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ তপন গিরি ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে প্রিন্সিপাল হয়ে বসে আছেন।

আরও পড়ুন-রেলস্টেশনে ঘুরঘুর করছিল এক ব্যক্তি, সন্দেহ হতে পাকড়াও করে জেরা করতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ! বেরিয়ে এল ভয়ঙ্কর তথ্য

বহু সিনিয়রদের প্রসিড করে তিনি জায়গা দখল করে বসে আছেন অ্যাকটিং প্রিন্সিপাল হয়ে। পার্মানেন্ট প্রিন্সিপলের অনুমোদন বেরোলেও তাঁকে সরানো যায়নি কোনও এক অদৃশ্য শক্তির কারণে। শমীক এও বলেন,  ‘‘তপন গিরির একাধিপত্য সকল ছাত্রের কাছে জানা। ভেন্ডররা অনায়াসে বিনা পয়সায় তাঁর চেম্বারে জিনিস সরবরাহ করে। এই তপন গিরি বাম আমলে বুদ্ধবাবু ও জ্যোতি বাবুর ছবি লাগিয়ে রাখতেন তাঁর চেম্বারে। আর এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকের ঘনিষ্ঠ তপন গিরি তাঁর মেয়ে দেবতী গিরিকে ক্ষমতা বলে ডিপার্টমেন্ট হেড করে দিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন– ‘ভয় পেয়েছে তৃণমূল, অডিও রাজনীতি বন্ধ করা উচিত…’ কুণালকে বার্তা শমীকের

আরও পড়ুন- ২০২৪ সালে প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবথেকে ব্যয়বহুল শহর কোনগুলি? আর ওই তালিকায় ভারতের কোন শহর কত-তম স্থানে রয়েছে?

অধ্যক্ষ তপন গিরির বিরুদ্ধে কেউ যদি দুর্নীতির অভিযোগ আনেন তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়। এমনকী, পাশ ফেল থেকে বদলি সবই চলছে বেআইনিভাবে। আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি। আমরা মনে করি যোগ্যতা ছাড়াই একাধিপত্য ও ক্ষমতা বলে এভাবেই শাসক দলের মদতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, তপন গিরির মতো আরও অনেকেই ক্ষমতায় টিকে থেকে নানান দুর্নীতি ও বেনিয়ম করেছেন এবং এখনও করে চলেছেন দিনের পর দিন৷’’ বলেও তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে তোপ দাগেন শমীক ভট্টাচার্য।

Samik Bhattacharya: ‘ভয় পেয়েছে তৃণমূল, অডিও রাজনীতি বন্ধ করা উচিত…’ কুণালকে বার্তা শমীকের

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের টেলিফোনিক কথাবার্তার অডিও প্রকাশ ইস্যুতে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘এই আন্দোলন কোথায় কোন পথে এগোবে সেটা আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বুঝবেন। মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থান মঞ্চে গিয়েছিলেন। তারপরে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল কালীঘাটে গিয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠক হল না। চিকিৎসকদের আন্দোলনের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে কুণাল ঘোষের এই অডিও রাজনীতি বন্ধ করা উচিত। তৃণমূল জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে, তাই ভাঙতে চাইছে।’’

আরও পড়ুন– হাতিয়ার আরজি কর, আজ ধর্মতলায় ‘মহাগুরু’, কী কর্মসূচি মিঠুন চক্রবর্তীর?

প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। নতুন অডিও প্রকাশ করে কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ জটিলতা তৈরির মানসিকতা নিয়েই কালীঘাটে গিয়েছিলেন।’’ রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি অডিও প্রকাশ করে কুণালের দাবি, সেই টেলিফোনিক কথাবার্তার অডিওটি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার আগে সল্টলেকের ধরনামঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের একটি অংশ।

আরও পড়ুন- আমেরিকায় ফের হামলা ট্রাম্পের উপর ! গল্ফ ক্লাবে চলল গুলি ! অস্ত্র হাতে গ্রেফতার ১

কুণাল ঘোষ আরও জানিয়েছেন, ‘‘এই অডিও কারও টেলিফোনকথন নয়। এটি ওঁদের মঞ্চে নিজেদের বৈঠকের আলোচনা।’’ সেই অডিওতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কালীঘাট থেকে ডাক আসার পর সেখানে যাওয়া এবং দাবিদাওয়া সম্পর্কে জুনিয়র ডাক্তারেরা আলোচনা করছেন। কেউ কেউ সরকারের দাবি মেনে বৈঠকের পক্ষে। কেউ কেউ আবার ভিডিওগ্রাফি বা সরাসরি সম্প্রচারের দাবিতে অনড় থাকতে চাইছেন। সুপ্রিম কোর্টে আগামী মঙ্গলবারের শুনানি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।’’

কুণাল ঘোষের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার আগে ধরনামঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের অংশ থেকেই স্পষ্ট, আন্দোলনকারীদের একাংশ জটিলতার মানসিকতা নিয়েই গিয়েছিলেন কালীঘাটে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের এই বক্তব্যেরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘‘ওঁর এই অডিও রাজনীতি বন্ধ করা উচিত।’

Samik Bhattacharya: শমীকের উপরে চটলেন খাড়গে! বিজেপি সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি

নয়াদিল্লি: তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে বহিষ্কারের দাবি জানালেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ এ দিন তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখার সময় বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন শমীক ভট্টাচার্য৷ এর পরেই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে শমীক ভট্টাচার্যকে বহিষ্কারের দাবি জানান খাড়গে৷

এ দিন জিরো আওয়ারে তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম রাজ্যসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলাকে ভাগের চক্রান্ত করার অভিযোগ তোলেন৷ সামিরুল বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকারের কাছে স্পেশ্যাল প্যাকেজের দাবি জানাচ্ছি৷ আর যারা বাংলার বিভাজন করার চক্রান্ত করছেন, তা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি৷ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, তিনি বাংলাকে ভালবাসেন৷ পরের বার বাংলায় জন্মগ্রহণ করতে চান৷ বাংলাকে এত ভালবাসলে বাংলার ন্যায্য পাওনা কেন মেটাচ্ছেন না? সবশেষে বলি, সর্বশক্তি দিয়েও বাংলাক ভাগ করতে পারবেন না৷’

অভিযোগ, সামিরুল যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন বার বার উঠে দাঁড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য৷ তৃণমূল সাংসদ মিথ্যে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করে বার বার সামিরুলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন শমীক৷

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি সন্দেহে দমকলে চাকরি পেয়েও বাদ! সব শুনে বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য শেষ হতেই উঠে দাঁড়িয়ে শমীকের এই আচরণের প্রতিবাদ জানান রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ শমীক ভট্টাচার্যের নাম না রাজ্যসভার ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি বার বার বলেন এখানে উপস্থিত সব সদস্যকে সম্মান করতে৷ সবাই যেন নিজেদের বক্তব্য রাখতে পারেন, সেই পরামর্শও আপনি দিয়েছেন৷ কিন্তু একজন সদস্য বার বার অন্যরা বক্তব্য রাখার সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, বিরক্ত করছেন৷ প্রতিটি শব্দেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি৷ এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না৷ আপনার কাছে অনুরোধ, ওই সাংসদকে আপনি বহিষ্কার করুন৷’

যদিও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেন, বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য যা বলেছেন, তা রাজ্যসভার রেকর্ডে নথিভুক্ত করা হয়নি৷ বিরোধী দলনেতা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা মেনে চলার জন্যও সব সাংসদকে অনুরোধ করেন তিনি৷ যদিও শমীক ভট্টাচার্যকে বহিষ্কারের দাবি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং৷ অভিযোগ, এ দিন সকালে আর এক তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বক্তব্য রাখার সময়ও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন শমীক৷

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খণ্ডণ করে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, সামিরুল ইসলাম ভুল তথ্য তুলে ধরে রাজ্যসভাকে বিভ্রান্ত করছিলেন৷ তার প্রতিবাদেই পাল্টা স্লোগান দিয়েছেন তিনি৷

West Bengal BJP: বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাদের বার্তা দিয়ে পদ্মের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সুকান্ত- শমীক

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আবারও মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি। এবার দাবি তুললেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক। গৌরীশঙ্কর ঘোষের পর এবার সুব্রত মৈত্র। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের উত্তরবঙ্গ-প্রস্তাবকে সমর্থন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদের। এ নিয়ে পদ্ম শিবিরকে কটাক্ষ তৃণমূলের। গৌরীশঙ্কর ঘোষের পর এবার সুব্রত মৈত্র। ফের মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি বিজেপি বিধায়কের। মুর্শিদাবাদের বিধায়কের পর এবার সরব বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। তাঁর কথায়, ‘‘আজকে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে যেভাবে অনুপ্রবেশ মায়ানমার, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ঘটে চলেছে, তাতে আমাদের সনাতনিরা ভীষণভাবে আতঙ্কিত। যার জন্যই দরকার কেন্দ্রীয় আইন-শাসন ব্যবস্থা।’’

আরও পড়ুন- সপ্তাহজুড়েই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কলকাতায় বৃষ্টি বাড়বে কবে?

শাসক শিবির বলছে, ‘‘মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই বিজেপি এটা করছে। এগুলো অযৌক্তিক কথা। বাংলাদেশ থেকে কোনও মুসলমান আসেনি। বর্ডারে বিএসএফ আছে। কেন ঢুকবে। তাদের গোয়েন্দা আছে। বাংলাদেশ থেকে কেউ এলে খুঁজে বের করুক।’’

এর আগে মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং বিহারের তিন জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে সংসদে সরব হন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সংসদে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মালদহ-মুর্শিদাবাদ থেকে লোকজন এসে আমাদের লোকদের হঠিয়ে দিচ্ছে। একের পর এক হিন্দু গ্রাম খালি হচ্ছে। স্পিকার মহোদয়, আমার অনুরোধ, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং পুরো সাঁওতাল পরগনাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করুন। এটা না হলে হিন্দু খালি হয়ে যাবে। এনআরসি কার্যকর করুন। ২০১০ সালের আইন কমিশনের রিপোর্ট কারযকর করুন। যাতে বলা আছে, ধর্মান্তরণ ও বিয়ের জন্য অনুমতি জরুরি।’’

বিজেপি সাংসদের মন্তব্য ঘিরে রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। তারপরেই প্রকাশ্যে আসেন মুর্শিদাবাদের আরেক বিজেপি বিধায়ক। গৌরীশঙ্কর ঘোষ জানান, মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে তিনি ২০২২ সালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং রাজভবনে চিঠি দেন।

আরও পড়ুন– ইউরোপ-এশিয়ার সুন্দর দেশগুলির থেকে কোনও অংশে কম নয়; ধীরে ধীরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে রাশিয়ায়, রইল ভ্রমণের খুঁটিনাটি

পদ্ম বিধায়ক সুব্রত মৈত্র, গৌরীশঙ্কর এবং নিশিকান্তর দুবের মন্তব্যকে তিনি সমর্থন করেন বলে স্পষ্ট জানান। মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্তরবঙ্গ নিয়ে প্রস্তাব দেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এ নিয়েও রাজ্য রাজনীতিতে জোর শোরগোল পরে। এ পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদারের পাশে দাঁড়ান জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। বলেন, ‘‘আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ তো এমনিতেই বঞ্চিত। উনি উত্তরবঙ্গকে ভাল করে জানেন, উনি বালুরঘাটের সাংসদ। এবং তিনি চাইছেন এখানে উন্নয়ন হোক। আমি ওনাকে ২০০ শতাংশ সমর্থন করি। তবে বিজেপি যে বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে তা রাজ্যসভার সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ বিভাজনের বিরুদ্ধে। এটাই পার্টির অবস্থান।’’

এ ব্যাপারে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করে তৃণমূলের কটাক্ষ,’বিজেপি রাজনৈতিকভাবে বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে না পেরে বাংলাকে টুকরো টুকরো করে তারা রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড পেতে চাইছে। তারা নাকি রাজ্যভাগের বিরুদ্ধে। কিন্তু পর পর তাদের একাধিক নেতা যেভাবে বলছে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। নাটকবাজি বন্ধ করে বিজেপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক।’

Samik Bhattacharya: ‘তৃণমূলের হয়ে ভোট করাল পুলিশ…!’ ভোট মিটতেই বিস্ফোরক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন মিটতেই শাসক দলকে নিশানা করল বঙ্গ পদ্ম শিবির। বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে চার নির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করল পুলিশ। চার কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীদের জেতাতে পুলিশ যে ভূমিকা পালন করল তা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, লজ্জার। নির্বাচনের আগের দিন থেকেই বিজেপি নেতা, কর্মী- সমর্থকদের বুথে না যাওয়ার ব্যাপারে ‘ভয়’ দেখানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন– মাত্র কয়েক বছরেই বেড়ে উঠবে এই গাছ; আর এর কাঠ বিক্রি করে হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি!

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাগদার বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর ও তাঁকে মারধর করাই শুধু নয়, মানিকতলা থেকে শুরু করে রানাঘাট-সহ অন্যান্য জায়গাতেও শাসক দলের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ শমীকের। প্রাথমিকভাবে বাগদার বেশ কয়েকটি বুথে রিপোল দাবির পাশাপাশি মানিকতলাতে নতুনভাবে ভোটের দাবিও নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানাল বিজেপি। তবে প্রাথমিকভাবে মানিকতলা কেন্দ্রে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৮৯ টি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয় কমিশনের কাছে।‌

আরও পড়ুন– সাউথগেটের চালেই বাজিমাত, ডাচদের ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড

ভোট পরিচালনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আগামী সময়ে কোন কোন বুথে রিপোল এবং অন্যান্য দাবি-সহ কমিশনের দ্বারস্থ হবে তাঁদের দল বলেও জানান শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘লোকসভায় ২৯টা সিট পেয়ে চার উপ নির্বাচনে আরও ‘আক্রমণাত্মক’ তৃণমূল।’’ এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেও অবাধ ভোট করা সম্ভব নয়। প্রার্থীকে দেখলে গো ব্যাক স্লোগান, প্রার্থীর ওপর হামলা এটা কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি? এই প্রশ্নও তোলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। যদিও শাসক দল বিজেপির অভিযোগ বা দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। চার কেন্দ্রেই ভোটে পরাজিত হবে জেনে‌ বিজেপি তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে বলে মন্তব্য শাসক শিবিরের।

Loksabha Election 2024: পঞ্চম দফাতেই বিজেপি ১৮ পার! শমীকের কথায় তোলপাড় বঙ্গ-রাজনীতি… ৪ জুনের আগেই বিজেপির উৎসব?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা:  সোমবার পঞ্চম দফা ভোট শেষে বড়সড় দাবি করল বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বিজেপির সল্টলেক কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন,’ ২০১৯ এর নির্বাচনে আমরা ১৮ টি আসন জয়লাভ করেছিলাম। এবার পঞ্চম দফা শেষে সাংগঠনিকভাবে আমাদের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে গতবার লোকসভা ভোটের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ১৮ আমরা ছাড়িয়ে গিয়েছি। আমরা আমাদের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’

লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বঙ্গে এসে ৩৫ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে যতবারই বঙ্গ সফরে এসেছেন অমিত শাহ ততবারই জোর গলায় বলেছেন ২৪-এর ভোটে বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩০ টির বেশি আসন এবার বিজেপি পাবে। সম্প্রতি অসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে রানিগঞ্জে রোড শো করার সময় নিউজ এইট্টিন বাংলার মুখোমুখি হয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা থেকে তিরিশটির বেশি আসন পাবে বিজেপি বলে মন্তব্য করেন।

বলাবাহুল্য, পঞ্চম দফা ভোটে বাংলায় এখনও পর্যন্ত ২৫টি কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর তাতেই ১৮ টি আসনের বেশি বাংলার বিজেপি প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই জয়ী হবেন বলে দাবি করল বঙ্গ পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে কোন কোন আসনে তাঁদের প্রার্থীরা জয়ী হবেন তা খোলসা করেননি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি শুধু বলেন,’ আগামী চার জুন ফলাফল ঘোষণার দিন আমাদের প্রার্থীদের জয়ের হিসেব ২৪ আসনের পর থেকে গোনা শুরু হবে। ৪২ টি আসনের মধ্যে আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব যে টার্গেট দিয়েছেন আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছবোই।’

এদিকে প্রথম দফা থেকে পঞ্চম দফা নির্বাচন পর্যন্ত দেখা গিয়েছে শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধী কোনও কোনও রাজনৈতিক দল ফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই নিজেদের প্রার্থীর জয় নিয়ে আশাবাদী হয়ে বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছে। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পঞ্চম দফা শেষে বিজেপির ১৮ আসন পার করার দাবি কিংবা সরকারিভাবে ফল ঘোষণার আগেই কোনও রাজনৈতিক দলের বিজয় উৎসব পালন করা আসলে দলীয় কর্মী সমর্থকদের চাঙ্গা রাখারই কৌশল।