নুনিয়া নদীতে ভাসছে গাড়িটি।

West Bardhaman News: জলের স্রোতে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল গাড়ি! উদ্ধার ‘বেপরোয়া’ চালকের দেহ

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: সবাই তখন সাবধান করছিলেন। কেউ কেউ এমন অসচেতনতামূলক মনোভাব দেখে অশ্রাব্য গালিগালাজও করেছেন। কিন্তু সেইসব দিকে কর্ণপাত না করে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন চালক। আর তার ফল হল মর্মান্তিক। জলের তোড়ে গাড়ি সমেত ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর দীর্ঘ ক্ষণ কোনও খোঁজ খবর ছিল না। শুক্রবার রাতের এই ঘটনার পর শনিবার সকালে সেই চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জলে ভাসতে দেখা গিয়েছে গাড়িটিকে।

আসানসোলের কল্যাণপুর হাউসিং এলাকার ঘটনা। শুক্রবার তখনও কল্যাণপুর হাউসিং এর রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলেছে গারুই নদী। আর সেই জলের স্রোত তোয়াক্কা না করে নিজের গাড়ি সমেত এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন আসানসোলের সুগম পার্ক এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল বিশ্বাস। কিন্তু এমন অসচেতন মনোভাবের জন্যই দিতে হল প্রাণ। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। দূর থেকে অনেকেই ঘটনা দেখেছেন। তবে জলের এমন ভয়াবহ রূপ দেখে কেউ এগিয়ে যাওয়ার সাহস করেননি। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে আসে পুলিশ। আসে উদ্ধারকারী দল।

শুক্রবার রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পরে কোনও হদিস পাওয়া যায়নি চঞ্চল বিশ্বাসের। তার পর এ দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। কল্যাণপুর হাউসিং এলাকারই খানিক দূরে তাঁর সাদা চারচাকা গাড়িটি ভাসতে দেখা গিয়েছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সময় ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। যে ভিডিও দেখলে রীতিমতো গা শিউরে উঠবে। যেখানে দেখা গিয়েছে, জলের প্রবল বেগের সামনে কী ভাবে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে গাড়িটি!

আরও পড়ুন- এখনই দাম কমছে না ইলিশের, কেন? জানালেন ব্যবসায়ীরা

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবারের টানা বৃষ্টিতে আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় প্লাবন দেখা গিয়েছে। আন্ডারপাসগুলিতে হাঁটু সমান জল জমে আছে। কোথাও কোথাও রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জল। ভারী বর্ষণে কল্যাণপুর হাউসিং এলাকার রাস্তাগুলি ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল। আর সে সময় ভুল করে বসেন ওই গাড়িচালক। বিপদ বুঝতে না পেরে তিনি এগিয়ে যান। কিন্তু জলের রোষের কাছে তিনি হার মানতে বাধ্য হয়েছেন। অন্য দিকে এই ঘটনা দেখে সকলে আতঙ্কিত। শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত চঞ্চল বাবুর বাড়িতেও।

নয়ন ঘোষ