Tag Archives: Driver

Road Accident: ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে গাড়ি চালাচ্ছিলে, জাতীয় সড়কে বেঘোরে প্রাণ গেল চালকের

আলিপুরদুয়ার: গাড়ি চালাতে চালাতে অনেক সময়ই চোখ লেগে যায় গাড়িচালকদের। রাতের দিকে এমন ঘটনা বেশি হয়। তেমন‌ই পরিস্থিতি হয়েছিল গাড়িচালক মহম্মদ আলমের। ঘুমের ঘোরে গাড়ি চালাতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জাতীয় সড়কে মৃত্যু হল তাঁর।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার নিমতি এলকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম থেকে কলকাতাগামী একটি পিকআপ গাড়ি দ্রুত গতিতে ছুটে এসে নিমতিতে জাতীয় সড়কের ধারে দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। এলাকাবাসীদের অনেকেই খেয়াল করেছিলেন, ধাক্কা মারার ঠিক আগের মুহূর্তে ঘুমে ঢুলছিলেন গাড়িচালক। কিন্তু গাড়িটি চলন্ত অবস্থায় থাকায় কেউ গিয়ে কিছু করতে পারেননি।

আরও পড়ুন: গরুর হাটে জিন্স প্যান্টের দেদার বিক্রি! এই রঙিন সাপ্তাহিক বাজার যেন অন্য পৃথিবী

এই ঘটনায় পিকআপ ভ্যানের চালক কলকাতার বাসিন্দা মহম্মদ আলম গুরুতর আহত হন। তাঁকে নিমতি আউট পোষ্টের পুলিশ উদ্ধার করে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। যোগাযোগ করা হচ্ছে তাঁর পরিবারের সঙ্গে।

অনন্যা দে

Road Accident: ফ্লাইওভারের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ল ডাম্পার! খলনায়ক টায়ার…

পশ্চিম বর্ধমান: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল অন্ডাল কাজোরা এলাকার মানুষ। এই দুর্ঘটনার শিকার একটি ডাম্পার। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ডাম্পার চালকের। জাতীয় সড়কের রেলিং ভেঙে সার্ভিস রোডের ওপর পড়ে যায় ফ্লাই অ্যাশ ভর্তি ডাম্পারটি। তার ফলেই মৃত্যু হয় ডাম্পার চালকের। অন্যদিকে দুর্ঘটনার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে।

এই দুর্ঘটনা দেখে রীতিমত ভয় পেয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। কিন্তু কীভাবে হল এই দুর্ঘটনা? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তাঁদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। তাঁরা বলেন, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজোরা এলাকা থেকে অন্ডালের দিকে যাচ্ছিল ডাম্পারটি। কিন্তু হঠাৎ করেই তার টায়ার ফাটার বিকট শব্দ শোনা যায়। তার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ডাম্পার চালক। ডাম্পারটি জাতীয় সড়কের ফ্লাইওভারের রেলিং ভেঙে সার্ভিস রোডের উপর এসে পড়ে।

আরও পড়ুন: শহরকে বাঁচাতে ডিজিটাল উদ্যোগ! এই বাংলায় যা হল…

এই প্রসঙ্গে স্থানীয়রা বলছেন, সেসময় সৌভাগ্যবশত সার্ভিস রোডের উপর কোনও গাড়ি বা বাইক চালক ছিলেন না। না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সেক্ষেত্রে এই দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। অন্যদিক এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। নিয়ে আসা হয় ক্রেন। ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার ফলে ডাম্পারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। দীর্ঘ এক ঘণ্টা চেষ্টা করার পর ডাম্পারের কেবিন থেকে চালকের দেহ বের করা হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে এই দুর্ঘটনা দেখে রীতিমতশিউরে উঠছেন স্থানীয়রা।

নয়ন ঘোষ

Auto Accident: শনিবার বারবেলায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড, দুই অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকের মৃত্যু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা আমতলার কাছে বিষ্ণুপুরে। শনিবার দুপুরে দুটি অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক অটোচালকের। গুরুতর আহত আরও একজন।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার বকুলতলা এলাকায়। সেদিন দুপুরে বারুইপুর থেকে আমতলার দিকে যাচ্ছিল একটি অটো। সেই সময় বারুইপুরের দিক থেকেও আসছিল অপর একটি অটো। আচমকাই কিছু বুঝে ওঠার আগে দুটি অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই একটি আটোর চালক কাশীনাথ সিংয়ের (৫০) মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার কোম্পানি পুকুর এলাকায়। এই দুর্ঘটনার জেরে অটোতে থাকা কানন নস্কর নামে এক যাত্রীও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি বারুইপুর টংতলা এলাকায়।

আর‌ও পড়ুন: হেলা ফেলার পুঁইশাক ফলিয়ে এবার পকেট ভরুন

দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সকলে মিলে আহতদের উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমার হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা প্রথমেই অটোচালক কাশীনাথ সিং-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বারুইপুর হাসপাতালে ছুটে আসে মৃতের পরিবার। তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সুমন সাহা

Road Accident: গাড়ি চালাতে চালাতে ঘুমে চোখ লেগে গিয়েছিল, তারপর‌ই চিরনিদ্রায় চালক!

হুগলি: লরি চালাতে চালাতে চোখ লেগে গিয়েছিল ঘুমে। আর তাতেই চিরও নিদ্রার দুনিয়ায় পাড়ি দিতে হল গাড়ি চালককে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে আরামবাগের হরিণখোলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়।

চলন্ত অবস্থায় ঘুমে চোখ লেগে যাওয়ার কারণে রাস্তার বিপরীত দিকে চলে আসে চলন্ত লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এই লরিটির। দুর্ঘনাস্থলেই মৃত্যু হয় লরি চালকে শেখ ম‌ইদুল ইসলামের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে হাইওয়ের রাস্তার উপরে কলকাতার দিক থেকে আসছিল ওই লরিটি। রাস্তায় চলতে চলতে হঠাৎই বাঁ দিক ছেড়ে রাস্তার ডানদিকে চলে আসে। তখনই বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য আরেকটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুমড়ে মুচড়ে গাড়িটি। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগিতায় গাড়ির চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আর‌ও পড়ুন: ভোট আসতেই স্কুলের মারাত্মক ক্ষতি! ইভিএম ভর্তি কন্টেনার ঢুকতে গিয়ে ভাঙল তোরণ

চালকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধবদিহি থানার নন্দনপুর এলাকায় বাড়ি। গতকাল লড়িতে খড়বোঝাই করে কলকাতায় গিয়েছিলেন। কাজ মিটিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পরিবারের দাবি, ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর তাতেই ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক ঘটনা।

রাহী হালদার

Bike Accident: রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতেও রেহাই পেলেন না ভ্যানচালক! বেপরোয়া বাইক কেড়ে নিল প্রাণ

উত্তর ২৪ পরগনা: সীমান্ত এলাকায় আবারও বেপরোয়া গতির বলি হল তরতাজা যুবক। মেলায় দোকান দিয়ে ইঞ্জিনভ্যানে চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বেপরোয়া বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় প্রাণ গেল তরণী সেনের। একই দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা তিন যুবকের মধ্যে অর্ক রায় নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পথ দুর্ঘটনায় জোড়া মৃত্যুর বিষয়টি ঘটেছে বাগদা থানার কাকলিমারি ব্রিজ সংলগ্ন চাঁদা রায়পুর এলাকায়।

দুর্ঘটনার জেরে বাইকে থাকা আরও দুই যুবক মুস্তাকিন মণ্ডল ও প্রসেনজিৎ মণ্ডল গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের বাড়ি বনগাঁ থানার গাড়াপোতার পাগলতলা এলাকায়। ইঞ্জিন ভ্যানচালক মৃত তরণী সেনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মেলায় দোকান দিয়েছিল তিনি। রাতে মেলা শেষ করে বাগদা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত তরণী সেনের সঙ্গে আরও দু’জন সহকর্মী ছিলেন। তাঁরা অন্য ইঞ্জিন ভ্যানে করে আসছিলেন। সহকর্মী বিষ্ণু দাস বলেন, দাদা ইঞ্জিনভ্যান নিয়ে রাস্তার বাঁদিকে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় একটি বাইক সজোরে এসে ইঞ্জিনভ্যানে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে বাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ইঞ্জিনভ্যান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন দাদা ও বাইকে থাকা তিন যুবক।

আর‌ও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! তাঁতিদের তাঁত ঘরে নেই কাপড়, ঝুলছে পেঁয়াজ

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ। তিন বাইক আরোহী ও ইঞ্জিন ভ্যানচালকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ওই ইঞ্জিন ভ্যানচালক এবং এক বাইক আরোহীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি আছে আরও দুই যুবক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারছে না ইঞ্জিন ভ্যান চালক তরণী সেনের পরিবার। সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Road Accident: বন্ধুদের ডাকে মাটি ফেলতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ট্রাক্টর চালকের

হুগলি: সপ্তাহের শুরুতেই মারাত্মক দুর্ঘটনা, আর তাতেই প্রাণ গেল চালকের। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের নয়নজুলিতে উল্টে গেল মাটি বোঝাই একটি ট্রাক্টর। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চালক। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের উচালনের নন্দনপুর ট্রাক্টর ঢাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। মৃত চালকের নাম বিশ্বজিৎ হেমব্রম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উচানন এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন বিশ্বজিৎ। পেশায় গাড়ি চালক। সোমবার কাজ না থাকায় সকাল থেকে বাড়িতেই ছিলেন। পরে বন্ধুরা মাটি ফেলার কাজের জন্য তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ট্রাক্টরে মাটি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় নন্দনপুর ট্রাক্টর ঢাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় একটি লরি তাঁকে সামনে থেকে চেপে দেয়। তখনই ট্রাক্টরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসেন বিশ্বজিৎ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার ফলে ট্রাক্টরটি রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। চালক বিশ্বজিতের বুকের মধ্যে চেপে যায় ট্রাক্টরের ইঞ্জিন।

আর‌ও পড়ুন: ভোট প্রচারে বেরিয়ে কীর্তন গাইছেন বিজেপি প্রার্থী

পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়দের থেকে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি জেসিবি ডেকে ট্রাক্টর সরিয়ে আহত ওই চালককে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁকে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

রাহী হালদার

Livelihood Crisis: টোটোর দাপটে রুজির সঙ্কটে প্যাডেল রিক্সা চালকরা

জলপাইগুড়ি: প্যাডেল রিক্সা যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। শহর থেকে গ্রাম, কোথাওই আর সেভাবে প্যাডেল রিকশা চোখে পড়ছে না। দু-চারজন এখনও কোন‌ওরকমে এই প্যাডেল রিক্সা চালিয়ে রোজগারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আর কতদিন টোটোর সঙ্গে অসম লড়াই করে তাঁরা টিকে থাকতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে। দ্রুতগামী হওয়ায় এবং নির্ঝঞ্ঝাটে একসঙ্গে অনেকে মিলে পাড়ার অলিগলি দিয়ে যাতায়াতের সুযোগ থাকায় দ্রুতই প্যাডেল রিক্সার জায়গা দখল করে নিচ্ছে টোটো।

আর‌ও পড়ুন: নিয়ম-টিয়ম আবার কী! শাটার ভেঙে হপ্তা তুলল ‘ডন’ রামলাল

শহরের পথে এখন আর শোনা যায় না প্যাডেল রিক্সার হর্নের প্যাঁ পুঁ শব্দ। একসময় জলপাইগুড়ির টাউন স্টেশনের সামনে থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজারগুলির সামনে এবং বাস স্ট্যান্ডে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত রিক্সা। আলাদা করে থাকত রিক্সা স্ট্যান্ডও। সেখানে গেলেই মিলত তিন চাকার সাইকেলে রিক্সা। সেই সময় রিক্সায় চড়ার চল ছিল এতটাই যে রিক্সা পাওয়া মুশকিল হয়ে যেত সাধারণ মানুষের। কিন্তু এখন জলপাইগুড়ির সেসব জায়গায় গেলে শুধুই চোখে পড়ে টোটোর ভিড়। রিক্সার জায়গা সেখানে নেই বললেই চলে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অনেক খুঁজলে হয়ত দু’চারটে রিক্সা চোখে পড়তে পারে। তবে তারা আর কতদিন সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এদিকে টোটোর দাম কয়েক লক্ষ টাকা হওয়ায় দরিদ্র রিকশাচালকদের সকলের পক্ষে পেশা পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় অসহায় গরিব মানুষগুলো আগামী দিনে কীভাবে সংসার চালাবেন সেটাই সবচেয়ে বড় চিন্তা হয়ে দেখা দিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে একসময় চলত প্রায় ৮ হাজারের মত রিক্সা। সেখানে বর্তমানে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টি রিক্সা এসে দাঁড়িয়েছে। সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে টোটো। ভবিষ্যতে হয়ত স্মৃতির খাতাতেই থাকবে তিন চাকার সাইকেল রিক্সা।

সুরজিৎ দে

Holi 2024: ফুঁ দিলেই ধরল পুলিশ, রঙের উৎসবে হাবড়ায় বড় খেল প্রশাসনের

উত্তর ২৪ পরগনা: রং-এর উৎসবে রঙিন জল খেয়ে বেলাল্লাপনায় কড়া হাতে লাগাম টানল প্রশাসন। দোল ও হোলিতে মদ্যপান করে বেপরোয়া বাইক চালানোর অপরাধে ৫০ টি বাইক আটক করল পুলিশ, সঙ্গে শাস্তি দেওয়া হল বাইক চালকদের।

আর‌ও পড়ুন: সকাল থেকেই বসন্ত উৎসবে মাতোয়ারা বাংলা, তারই কিছু কোলাজ

সোমবার বিশেষ নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করে হাবড়া থানার ট্রাফিক পুলিশ। দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দোলের দিন সকাল থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ। মদ্যপ অবস্থায় কেউ গাড়ি চালালেই তাঁকে ধরে অ্যালকোহল টেস্ট করা হয়। বেপরোয়া বাইক আরোহীদের দাঁড় করিয়ে মুখে অ্যালকোহল মিটার ঠেকিয়ে ফুঁ দেওয়ানো হয়। আর তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় কারা নির্দিষ্ট সীমার থেকে বেশি মদ্যপান করে আইন ভেঙে গাড়ি চালাচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আইন ভাঙার কারণে অনেক বাইক ও গাড়ি চালককে স্পট ফাইন করা হয়। হাবড়া থানার সামনে রীতিমত বেপরোয়া আটক বাইক আরোহীদের ভিড় জমে গিয়েছিল। প্রতিবছরই রঙের উৎসবের দিন বিভিন্ন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন বাইক চালকরা। যাতে কোন‌ও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই তৎপরতা বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় ৫০ টি বাইক আটক করে হাবড়া থানার পুলিশ। পুলিশ প্রশাসনের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Bengali News: স্ট্রেচার‌ অকেজো! গাড়ির বেহাল দশায় কর্ম বিরতিতে ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা, বিপাকে রোগীরা

হুগলি: অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কর্মবিরতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন গর্ভবতীরা। বেতন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আরামবাগের ১০২ অ্যাম্বুলেন্স চালকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এর প্রভাবে প্রসূতি ও সদ্যোজাত শিশুদের নিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন পরিজনরা।

আরও পড়ুন: এই গ্রামে কারোর বিয়ে থাকলেই ছুটি দেয় স্কুলে! কারণ জানলে আরও অবাক হবেন

জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমায় যে সমস্ত অ্যাম্বুলেন্স আছে তার প্রায় সবগুলোই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ উদ্যোগে ১০২ অ্যাম্বুলেন্সগুলি গ্রিন এমআরআই হেল্প সার্ভিস নামের একটি কোম্পানিকে তত্ত্ববোধনের দায়িত্ব দিয়েছে। চালকদের অভিযোগ, ওই বেসরকারি কোম্পানির পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সগুলি ঠিকমত মেরামত করা হয় না। ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পরিষেবা দিতে গিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন, হুটার, উইল রেঞ্জ, এমনকি স্ট্রেচারও ঠিক নেই।

চালকদের আরও অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সগুলির ফিটনেস ঠিকঠাক নেই। তাঁরা ঠিক সময়ে বেতন পাননা বলেও অভিযোগ। ফলে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সগুলি নিয়ে পরিষেবা দিতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়, তেমনই সংসার চালাতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলে দাবি। এইসমস্যার কথা বার বার ওই কোম্পানিকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে চালকরা জানিয়েছেন। তাই বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করছেন তাঁরা।আর তাতেই চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গর্ভবতী মহিলা থেকে শুরু করে অন্যান্য রোগীদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রোগীর আত্মীয়রা জানান, অ্যাম্বুলেন্সে পরিষেবার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ক্যামেরার সামনে না বললেও গ্রিন এমআরআই হেল্প সার্ভিস কোম্পানির অধিকারিকরা মৌখিকভাবে জানান, তাঁরা বিষয়গুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে কবের মধ্যে এই সমস্যা মিটবে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

শুভজিৎ ঘোষ

Police Help: গাড়ি থামিয়ে ধোঁয়া ওঠা চা এগিয়ে দিল পুলিশ! গভীর রাতে যশোর রোডে ব্যাপারটা কী

উত্তর ২৪ পরগনা: কনকনে শীতের রাতে এ কোন অবাক দৃশ্য! বা বলা ভাল উলটপুরাণ। বড় বড় ট্রাক, প্রাইভেট কার দাঁড় করিয়ে চালকদের গরম চা খাওয়াচ্ছে পুলিশ! যশোর রোডে দেখা গেল এমনই দৃশ্য।

আরও পড়ুন: ৬ ইউরোপীয় দেশ শাসন করে হুগলি! সেই কাহিনী ফুটে উঠল মুর্শিদাবাদ সিল্কে

প্রবল শীতে চালকদেরও গা, হাত পা আরষ্ট হয়ে যায়। আর তার ফলে বাড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। সেই দুর্ঘটনা ঠেকাতেই গাড়ি চালকদের গরম চা পান করিয়ে দুর্ঘটনা রুখছে হাবড়ার ট্রাফিক পুলিশ। দেশের নানা প্রান্ত থেকে গাড়ি চালিয়ে আসেন চালকরা। চলতি পথে চোখে ঘুমের তন্দ্রা আসার ফলে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। আর তাই এই ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে অভিনব উদ্যোগ হাবড়া ট্রাফিক পুলিশের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাত্রে নিরাপত্তার কারণে তল্লাশি এমনকি পুলিশের টাকা আদায়ের ছবি বহু সময় উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। তবে এদিন পুলিশ গাড়ি দাঁড় করাতে যান চালকেরা ভেবেছিলেন অন্যান্য দিনের মতোই তল্লাশি হবে বা উপরি চাওয়ার বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু এ কী, পুলিশ কর্মীদের হাতে গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ। গাড়ি দাঁড় করাতেই চায়ের কাপ এগিয়ে দেন পুলিশ কর্মীরা। যা দেখে রীতিমত অবাক হয়ে যান গাড়ি চালকরাও। গভীর রাতে হাবড়া থানার সামনে যশোর রোডে এমন ছবি ধরা পড়ে। পুলিশের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন সকলে।

রুদ্রনারায়ণ রায়