নদী নাকি রাস্তা! চেনাই দায়, গোঘাটে বন্ধ যান চলাচল, একা বৃষ্টির দোষ নয়, স্থানীয়দের অভিযোগের তীর কোন দিকে?

Flood Situation: নদী নাকি রাস্তা! চেনাই দায়, গোঘাটে বন্ধ যান চলাচল, একা বৃষ্টির দোষ নয়, স্থানীয়দের অভিযোগের তীর কোন দিকে?

হুগলি: রাজ্য সড়ক না খরস্রোতা নদী দেখলে বোঝা যাবে না। একটানা বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা গোঘাটের সাতবেড়িয়া এলাকায়। টানা বৃষ্টিতে জল মগ্ন রাজ্য সড়ক। যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল যানচলাচল। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেটিং করে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজ্য সড়কের যান চলাচল। যার ফলে সমস্যায় তিন জেলার মানুষ।

আরামবাগের উপর দিয়ে বয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর, কংসাবতী। আর লাগাতার বৃষ্টিতে ফুঁসছে সেই সব নদীর জল স্তর। সেখানেই গোঘাটের কাছে কংসাবতীর শাখা নদী আমদরের জল উপচে গিয়েছে গোঘাটের সাতবেড়িয়া এলাকার রাজ্য সড়কের উপর। যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেও বিপদসঙ্কুল পারাপার করছে সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩০ সেকেন্ডের তাণ্ডব, প্রবল ঝড়ে উড়ে গেল ৩০ টি বাড়ির চাল! সাত সকালেই নামল অন্ধকার, লন্ডভন্ড এই এলাকা

হুগলির গোঘাট থেকে বদনগঞ্জগামী রুটের কামারপুকুর সাতবেড়িয়ে এলাকায় রাজ্য সড়কের এমনই অবস্থা। সাতবেড়িয়ে এলাকায় রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে স্রোত বইছে জলের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিক মতো খাল সংস্কার না করা ও অন্যদিকে এই জায়গায় রাজ্য সড়ক অনেক নীচু হওয়ার জন্য এই সমস্যা প্রায় প্রতি বছরই ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।

এবারেও একই সমস্যা, একদিকে টানা দু’দিন বৃষ্টি ও অন্যদিকে বাঁকুড়ার দিক থেকে জল বিভিন্ন খাল হয়ে এই এলাকায় জমা হয়ে উপচে যায়। আর জেরেই জল বইতে শুরু করে রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জল উঠে যায় রাজ্য সড়কের উপর। শনিবার থেকে বন্ধ যান চলাচল। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। সকাল থেকে ভীড় এলাকায়।

আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

যদিও চরম সমস্যায় সাধারণ মানুষ। এই রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে খুব সহজেই আরামবাগের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার একটা অংশ যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু এদিন জল উঠে যাওয়ার জেরে এই সমস্ত এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকেই গন্তব্যে বেড়িয়েও পৌঁছাতেই পারলো না।আবার অনেকে ঘুর পথে পৌঁছাচ্ছে গন্তব্যে। তবে সকাল থেকেই পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন এলাকায়।

রাহী হালদার