মুর্শিদাবাদ: দীর্ঘদিন ধরেই বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। আর সেই বৃষ্টির দেখা মিলতেই এবার সামান্য হলেও খুশি ধান চাষিদের। ফলে নতুন করে ধানের চারারোপন শুরু করে দিয়েছেন ধানচাষিরা। মুর্শিদাবাদ জেলাকে বলা হয় জেলার শস্য ভান্ডার। তবে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল অনেকটাই। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ লক্ষ ৮৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। গোটা জেলাতে ৪২% জমিতে ধানচাষ সম্পন্ন করা হয়েছে। ধান চাষের ৫৮শতাংশ ঘাটতি ছিল বৃষ্টির।
আরও পড়ুনঃ সমুদ্রের কাছাকাছি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কাঠের বাংলো, চিন্তিত জেলা প্রশাসন
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ হওয়ার কথা ৬২১ মিলি মিটার হওয়ার কথা। শুধু মাত্র জুলাই মাসে ২৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে ১৮৩ মিলিমিটার। যা ৫৮% ঘাটতি আছে।
কিন্তু এই বছর জলের অভাবে ধুঁকছে পাট এবং ধান চাষিরা। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় চলতি বছরে বৃষ্টি ঘাটতি প্রায় ৫৮%। জুলাই মাসের হিসেবে মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৩৮%। ২৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে ১৮৩ মিলিমিটার। ফলে ক্ষতির মুখে ধান চাষি থেকে পাট চাষিরা।
যদিও ২০২৩-২৪ এর তুলনায় চলতি বছর ধান চাষ হয়েছে বেশি। উল্টো দিকে পাটের ক্ষেত্রে চাষের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্র অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সালে এখনও পর্যন্ত পাট চাষ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। ২০২৩-২৪ সালে পাট চাষের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩৭০ হেক্টর। আবহাওয়া খারাপ কখনও অনা বৃষ্টি কিংবা খরার কারণে পাটের ফলন বর্তমানে অনেক খানি কমেছে।
অন্যদিকে দিশেহারা ধান চাষিরাও । মূলত বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করেই আমন ধান চাষ করে অধিকাংশ কৃষক। তবে বৃষ্টির ঘাটতির প্রভাব পড়েছে ধান চাষের ক্ষেত্রেও। শেষ পাঁচ বছরের নিরিখে কমেছে জেলায় ধান চাষের পরিমাণ। ২০২৪-২৫ সালে এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৮৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৮১ হাজার ১৫০ হেক্টর।
কৌশিক অধিকারী