Tag Archives: paddy cultivation

East Burdwan: খরচ বাড়ানোর দাবি, সহায়ক মূল্যে ধান নিতে চাইছে না রাইস মিলগুলি…

পূর্ব বর্ধমান: উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির  মতোই রাজ্যের শস্য ভান্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলার রাইস মিলগুলিও সহায়ক মূল্যে কেনা ধান থেকে চাল তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথেই হাঁটছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় তিনশোর বেশি রাইস মিল রয়েছে। শতাধিক রাইস মিল সহায়ক মূল্যে কেনা ধান থেকে চাল তৈরির প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। তাদের বেশিরভাগই বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত।

তাদের বক্তব্য, 2016 সাল থেকে সরকার খরচ বাড়ায়নি। অথচ তাদের খরচ বেড়েই চলেছে। তাই সরকার এই খাতে অর্থ না বাড়ালে তারা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না। বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সবুজ সংকেত না মেলা পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে চুক্তি করবে না তারা। এখনও পর্যন্ত এই জেলার কোনও রাইস মিল চুক্তি করেনি।

রাজ্য সরকারের সাথে এবার সংঘাতের পথে হাঁটতে চলেছে বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন। ধান ভাঙার সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি না হলে সরকারের সাথে চুক্তি করবেন না মিল মালিকেরা। ফলে রেশনিং ব্যবস্থা বির্পযস্ত হওয়ার সম্ভবনা। সহায়ক মুল্যে চাষীরা ধান বিক্রি করতে না পারলে ফোড়েদের  দাপট বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: ট্রেনের কোচের সাজেই রেস্তরাঁ! পুজোয় আড্ডা, পেটপুজোর ঠিকানা! কোথায় পাবেন

সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি কুইন্টাল ধান ভাঙাতে তাদের খরচ হয় ১০০টাকার ওপরে। অথচ তারা পান মাত্র ৩০টাকা। যার মধ্যে কেন্দ্র সরকার দেয় ২০টাকা।রাজ্য সরকার দেয় ১০টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০টাকা বরাদ্দ করা হোক ধান ভাঙার জন্য। কিন্তু সরকার সেই দাবি মানে নি। তাই এবারে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি না হলে  ধান কেনা ও ভাঙানোর সাথে যুক্ত হবেন না মিল মালিকেরা।

বেঙ্গল রাইস মিল এসোসিয়েশনের রাজ্য কার্যকরি সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা খাদ্য দফতরের সঙ্গে চুক্তি করে সহায়ক মূল্যে ধান নিয়ে চাল উৎপন্ন করে  যথাসময়ে সরকারের ঘরে পৌঁছে দিই। সরকারের রেশন ব্যবস্থা সেই চালে সচল থাকে। কিন্তু সরকারের দেওয়া খরচে চলছে না। তাই আমরা এবার চুক্তি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মুহূর্তে মিলিং চার্জ  ৩০ টাকা দেওয়া হয়। আমাদের দাবি, ৫০ টাকা করে মিলিং চার্জ এক্ষুনি বাড়াতে হবে। ঝাড়খণ্ড আসাম মিলিং চার্জ ৫০ টাকা এবং ৬০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।’

Bangla Video: এই মেশিনে সহজ হবে ধান কাটা, জানুন

উত্তর দিনাজপুর: ১০০ শ্রমিকের কাজ একাই করবে সুদূর কোরিয়ার এই মেশিন। এই মেশিনের মাধ্যমে কম সময়ে ধান কাটা যাবে অধিক পরিমাণে। ফলে ধান কাটার জন্য আর খুঁজতে হবে না শ্রমিক। বিজ্ঞানের উন্নতর সফলতার কারণে অন্যান্য কাজের মত কৃষি কাজ ও এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

আধুনিক কৃষি যন্ত্রের কারণে জমিতে চারা বপন, সার স্প্রে কিংবা ফসল কাটা ইত্যাদি অনেক সহজ হয়ে গেছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনও আধুনিক কৃষি মেশিনের অন্তর্ভুক্ত। এই মেশিনের সামনের অংশে লাগানো ছুরি বা কাটা দিয়ে কাটা হয় ফসল। এই মেশিন ব্যবহার করে একদিকে যেমন কম সময় ফসল তোলা হয় তেমনি এই মেশিন ব্যবহার করে শ্রম খরচ কম আসে। গ্রামগঞ্জে ফসল কাটতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে সুদূর কোরিয়ায় আবিষ্কৃত কম্বাইন্ড হারভেস্টার।

আরও পড়ুন: বর্ধমানে তৈরি কাঠের পুতুল এবার পাড়ি দেবে মুম্বাই

এই মেশিনের দাম প্রায় ৭ লক্ষ টাকা থেকে শুরু। তবে সরকারি বিভিন্ন ভর্তুকি ও পেয়ে যাবেন এই মেশিন কিনতে গেলে কৃষকরা। এই মেশিন দ্বারা ধান, সয়াবিন, সরিষা, গম ইত্যাদি অনেক ফসল খুব সহজ ভাবে কাটা যায়। এই মেশিন ব্যবহার করে একদিকে যেমন শ্রম খরচ কমে আসে, তেমনিকম সময়ে ফসল তোলা যায়।এই মেশিন দ্বারা কাটা ফসল বীজ উৎপাদনেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই যন্ত্র ব্যবহারে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে ঘরে ফসল তুলতে পারছেন কৃষকরা তেমনি অপরদিকে শ্রমিক খরচ কমে যাওয়ায় কৃষকরা পাচ্ছেন অধিক মুনাফা।

কৃষকরা জানান, আগেমাঠের ধান পাকলে কাটার জন্য দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রামে শ্রমিক খুঁজতে হত। শ্রমিক পাওয়া গেলেও মজুরি ও খরচ বেশি হওয়ায় পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো কৃষকদের । এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সুদূর উত্তর কোরিয়ার মেশিন প্রথম গ্রামে কিনে নিয়ে এলেনউত্তর দেবশর্মা ।উত্তর দেবশর্মার এই মেশিনে ঘন্টায় দু বিঘা জমিতে ধান কাটা যায় অনায়াসে । শুধু তাই নয় ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে সেই ধান ঝাড়াই ও বাছাই করা যায় তৎক্ষণাৎ। আগে ধান কাটতে যেখানে এক এক জন শ্রমিকের পিছনে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতো।

বর্তমানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের কারণে সহজে কাজ হচ্ছে এবং খরচ ও কমে যাচ্ছে। জানা যায় আগে ধানের সব কাজ শেষ করতে একর প্রতি ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হতো। মেশিন আসার কারণে এখন একর প্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। যার জন্য এই মেশিন ব্যবহার করে বর্তমানে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

পিয়া গুপ্তা

Paddy Cultivation Problem: এই কারণেই সর্বনাশ হচ্ছে ধানের! চিন্তার ভাঁজ আমন ধান চাষীদের কপালে

কোচবিহার: বছরের এই মরশুমে বেশ ভাল পরিমাণ আমন ধান চাষ হয় কোচবিহারে। চলতি মরশুমে আমন ধান রোপন প্রক্রিয়ার শেষের দিক থেকে বৃষ্টির অভাব দেখা দিয়েছে জেলায়। আর এতেই আমন ধান খেতে ঘাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে অনেকটাই।

ফলে কৃষকদের আমন ধান চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর বর্তমান সময়ে এক বিশেষ ধরনের আগাছা ঘাসের কারণে চিন্তা বেড়ে উঠেছে অনেকটাই। এতে ধান চাষের ফলন অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে মনে করছেন চাষীরা। সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে পদক্ষেপ না নিলে ক্ষতির মুখে পড়বেন চাষীরা।

আরও পড়ুন: ঘণ্টাখানেকেই আসছে বৃষ্টি! কাঁপবে দক্ষিণের ২ জেলা, নিম্নচাপের খেল শুরু কবে থেকে? বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস

জেলার এক চাষি নৃপেণ বর্মন জানান, “ধানের চারা রোপণের পর খেতে বৃষ্টির অভাবের কারণে খেতে আগাছা বেড়ে উঠেছে। বারবার নিড়ানি দেওয়া সত্ত্বেও পুনরায় ঘাস বেড়ে উঠছে। তার উপর বর্তমান সময়ে মাঠের কাজে শ্রমিক পাওয়া প্রায় দুষ্কর। এই পরিস্থিতিতে আবার এক নতুন আগাছা শ্যামা ঘাস বা মুথা ঘাস বেশ অনেকটাই চাপের মুখে ফেলেছে চাষীদের। তাই এবারে ধানের ফলন কিছুটা হলেও ক্ষতির সমুখীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে চাষীদের একাংশ।”

কৃষি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত আমন ধান খেতে মুথা ঘাস, শ্যামা ঘাসের উপদ্রব দেখা দেয়। মুথা ঘাস ধানখেতের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। কারণ নিড়ানি দিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ঘাসের গুঁড়ি মাটির নীচে থেকে যায়, যা দিন কয়েকের মধ্যে পুনরায় গজিয়ে ওঠে। এছাড়া এই আগাছা অনেকটাই দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে থাকে। ফলে ধান খেতে ঘাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। তবে আগাছানাশক স্প্রে করে খেতের আগাছা বিনাশ করতে গেলে ধানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খেতে জল কম রাখা যাবে না। এবং মাঝে মধ্যেই নিড়ানি দিতে হবে।”

আরও পড়ুন: ১০০ বছর পর গণেশ চতুর্থীতে বিরল যোগ! ৩ রাশির কপাল খুলবে, টাকার বৃষ্টি

কোচবিহারের এক কৃষি অভিজ্ঞ ব্যক্তি অমল রায় জানান, “চলতি মরশুমে ধান খেতের আগাছা ঘাসের সমস্যা বেশ অনেকটাই ক্ষতি করতে পারে চাষের। তবে জেলায় বেশ অনেকটাই আমন ধান চাষ হয়। তাই এই বিষয়ে নজর দেওয়া না হলে সমস্যা বেড়ে উঠতে পারে।” বর্তমান সময়ের এই সমস্যা নিয়ে আমন ধান চাষীদের কপালে বেশ অনেকটাই চিন্তায় ভাঁজ দেখা দিয়েছে।

Sarthak Pandit

Paddy Cultivation: দীর্ঘ অপেক্ষার পর জেলায় বৃষ্টি, অবশেষে ধান চাষ শুরু কৃষকদের

পুরুলিয়া: দীর্ঘ অপেক্ষার পর দক্ষিণ বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। এই বছর দেরিতে বর্ষা প্রবেশ করায় চাষের ক্ষেত্রে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল চাষিদের। ‌দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই ঝড় বৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ধান চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। পুরুলিয়া জেলায় এমনিতে রুক্ষ আবহাওয়ার ফলে এই চাষবাস খুব বেশি হয় না। তার উপর বর্ষা দেরিতে আসায় কৃষি কাজের আরও সমস্যা হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্রের মাথাচাড়া

এই জেলায় এক ফসলী চাষের ক্ষেত্রেও নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় চাষিদের। এই বছর বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকার কারণে ধান চাষ অনেকখানি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। তবে এখন বৃষ্টির পরিমাণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষ শুরু করেছেন এখানকার কৃষকরা।

এই বিষয়ে এক চাষি জানিয়েছেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই বছর প্রথম ধান চাষ শুরু করলেন। বৃষ্টি দেরিতে হওয়ার কারণে তাঁদের অনেকটাই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে। যে সমস্ত জমিগুলি পড়েছিল সেগুলোতেই তাঁরা চাষ করতে পারছেন। অনেক চাষি আবার বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু অনেকেই বলছেন ধান চাষ সঠিকভাবে না হলে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে। তবে আশার খবর এটাই, এই ক্ষেত্রে কৃষি দফতর থেকে সমস্ত প্রকার সহযোগিতা তাঁরা পাচ্ছেন।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Rice Cultivation: ‘সিজনে চারবার পাঁচ কেজি ধান পাই, বছরে কুড়ি কেজি’- বাড়ির ছাদেই হচ্ছে দেদার চাষ

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলা রাজ্যের ধানের গোলা নামেই পরিচিত। জেলা জুড়ে ব্যাপক ভাবে ধান চাষ হয়। তবে এবার এই পূর্ব বর্ধমানেই ধান চাষের এক ভিন্ন ধরনের ছবি দেখা গেল। ধান চাষের এই ছবি দেখলে অবাক হবেন আপনারাও। সচরাচর এই ধরনের দৃশ্য চোখে পড়ে না বললেই চলে। আমরা সাধারণত মাঠের মধ্যে ধান চাষ হতে দেখে থাকি।

মাঠে যে ধান চাষ হয় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু বাড়ির ছাদে কী ধান চাষ করা সম্ভব ? হ্যাঁ, বাড়ির ছাদে ধান চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের এক ব্যবসায়ী। শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও আদতে এটাই সত্যি। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের পানুহাটের বাসিন্দা চঞ্চল চৌধুরী। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। আর এই চঞ্চল বাবু তাঁর বাড়ির ছাদে করেছেন ধান চাষ।

এই প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী জানিয়েছেন, “একবার দেখেছিলাম বাড়ির ছাদে টবের মধ্যে কোনও পাখি ধান বোধহয় খেয়ে ফেলে দিয়েছিল। এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে ধান বেরিয়েছিল। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে কংক্রিট এর মাঝেও সবুজ করা সম্ভব। তারপরই মজার ছলে ধানের চারা ফেলে বীজতলা করলাম। এখন আমি এই চাষ করে সফল হয়েছি। তিন বছর ধরে আমি এই চাষ করছি। লকডাউনের সময় থেকে এই চাষ করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি এখান থেকে সিজনে চারবার পাঁচ কেজি করে ধান পাই। বছরে কুড়ি কেজি ধান আমি এই ছাদ থেকে পাই।”

আরও পড়ুন – Independence Day: স্বাধীনতা দিবসের আগেই ইন্ডিপেনডেন্স কাপ! ৬০০’র বেশি প্রতিযোগী ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে

মাঠে ধান চাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় চাষিদের নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জলের সমস্যা , দিন মজুরের সমস্যা, পোকার সমস্যা ছাড়াও আরও বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয় চাষিদের। তাই বর্তমানে অনেকেই বিকল্প চাষের দিকেও ঝুঁকছেন। তবে বাড়ির ছাদে ধান চাষের এহেন ছবি সত্যিই ভিন্ন ধরনের। চঞ্চল বাবুর কথায় বাড়ির ছাদে ধান চাষ করলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধাও পাওয়া যাবে এবং পরিশ্রম হবে তুলনামূলক অনেক কম।

বাড়ির ছাদে চাষ করা ধান, মাঠের ধানের থেকে কোনও অংশে কম যাবেনা। বাড়ির ছাদে চাষ করলে মাঠের তুলনায় অনেক ভাল মানের ধানও পাওয়া যাবে। চঞ্চল বাবু এই ধান চাষ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “চারদিকে চারটে পিলার করে উপরে বাসের মাচা করতে হয়েছে। ছাদ থেকে বেশ কিছুটা উঁচুতে রয়েছে এই মাচা। মাচার মধ্যে পলিথিন দিয়ে তার মধ্যে দিয়েছি মাটি। চারিদিকে পলিথিন থাকার জন্য জলও খুব কম লাগছে। আর এই মাটির মধ্যে আমি ধানের চারা রোপন করেছি। এছাড়াও ছাদ থেকে ধানের জমির যে দূরত্ব রয়েছে সেটা যদি আরও একটু বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে, নিচের ফাঁকা অংশে মুরগি প্রতিপালন করাও সম্ভব। এভাবে ধান এবং মুরগি চাষ করলে বেশ কিছু টাকা উপার্জন করা সম্ভব। আমি ১০ ফুট বাই ৫ ফুট জায়গার মধ্যে এই ধান চাষ করেছে। কেউ বড় আকারে করতে চাইলে আরও বেশি ফলন পাবে। এভাবে ধান চাষ করলে খরচ খুব একটা হয় না। ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেকটা উঁচুতে থাকার কারণে পোকার আক্রমণ সেভাবে হয় না। আর সম্পূর্ণ জৈব সার ব্যবহার করে এই চাষ করছি। ঝরে যাওয়া গাছের পাতা সর্ষের খোল এইসব দিয়েই গাছগুলো এখানে বেড়ে ওঠে।”

ধান চাষ ছাড়াও চঞ্চল বাবু তাঁর বাড়ির ছাদে বিভিন্ন গাছের পরিচর্যাও করে থাকেন। গাছ দিয়েই সাজানো রয়েছে তাঁর বাড়ির ছাদ। তবে বিভিন্ন গাছের মধ্যে এই ধান চাষের ছবি ভিন্ন ধরনের।

Banowarilal Chowdhary

Bad Road: মাঠ ছেড়ে রাস্তাতে ধানের চারা রোপণ! ব্যাপারটা কী?

উত্তর ২৪ পরগনা: ভরা বর্ষায় জমিতে নয়, মাটির রাস্তায় ধান চাষ! এমনই অভিনব পথে প্রতিবাদ জানালেন হাসনাবাদের গ্রামবাসীরা। এখন আমন ধানের মরশুম। মাঠে কৃষকরা বীজতলা থেকে চারা তুলে চারা রোপণে ব্যস্ত। কিন্তু বীজতলার সেই চারা মাঠে নয়, রোপণ করা হল রাস্তায়!

আপনি হয়ত ভাবছেন মাঠ ছেড়ে রাস্তায় কেন ধান গাছ রোপণ করা হয়েছে? আসলে গ্রামবাসীদের দাবি, রাস্তা অত্যন্ত খারাপ। তা খানাখন্দে এমনই ভরে গেছে যে চলাফেরা করা যাচ্ছে না। বিক্ষোভকারীরা কিছুটা কটাক্ষের সুরে বলেন, এখানে চাষ ভাল হবে তাই রাস্তাতেই বীজ রোপণ করা হয়েছে। বেহাল রাস্তার বিরুদ্ধে এইভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের মাখাল গাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের চক কুলিয়াডাঙা সোদা মোল্লা পাড়ার বাসিন্দারা। প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা গত ৩৫ বছর ধরে কাঁচাই রয়ে গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: খাকি পোশাকে রেলগেটে দাঁড়িয়ে সকলের প্রাণ রক্ষা করে চলেছেন বৃদ্ধ, বদলে জুটছে কটুক্তি

এই কাঁচা মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা সকলে। এই সোদা মোল্লা পাড়ায় ২৫ থেকে ৩০ ঘর বাসিন্দা বসবাস করেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে কেউ অসুস্থ হলেও চিকিৎসকরা গ্রামে ঢুকতে চান না। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের দাবি তুলে মাটির রাস্তাতেই ধানের চারা রোপণ করেন তাঁরা!

Agriculture: এখনও বৃষ্টির ঘাটতি! তবুও শ্রাবণের ধারায় খুশি কৃষকেরা, বঙ্গে শুরু ধানচাষ

মুর্শিদাবাদ: দীর্ঘদিন ধরেই বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। আর সেই বৃষ্টির দেখা মিলতেই এবার সামান্য হলেও খুশি ধান চাষিদের। ফলে নতুন করে ধানের চারারোপন শুরু করে দিয়েছেন ধানচাষিরা। মুর্শিদাবাদ জেলাকে বলা হয় জেলার শস্য ভান্ডার। তবে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল অনেকটাই। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ লক্ষ ৮৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। গোটা জেলাতে ৪২% জমিতে ধানচাষ সম্পন্ন করা হয়েছে। ধান চাষের ৫৮শতাংশ ঘাটতি ছিল বৃষ্টির।

আরও পড়ুনঃ সমুদ্রের কাছাকাছি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কাঠের বাংলো, চিন্তিত জেলা প্রশাসন

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ হওয়ার কথা ৬২১ মিলি মিটার হওয়ার কথা। শুধু মাত্র জুলাই মাসে ২৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে ১৮৩ মিলিমিটার। যা ৫৮% ঘাটতি আছে।

কিন্তু এই বছর জলের অভাবে ধুঁকছে পাট এবং ধান চাষিরা। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় চলতি বছরে বৃষ্টি ঘাটতি প্রায় ৫৮%। জুলাই মাসের হিসেবে মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৩৮%। ২৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে ১৮৩ মিলিমিটার। ফলে ক্ষতির মুখে ধান চাষি থেকে পাট চাষিরা।

যদিও ২০২৩-২৪ এর তুলনায় চলতি বছর ধান চাষ হয়েছে বেশি। উল্টো দিকে পাটের ক্ষেত্রে চাষের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্র অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সালে এখনও পর্যন্ত পাট চাষ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। ২০২৩-২৪ সালে পাট চাষের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩৭০ হেক্টর। আবহাওয়া খারাপ কখনও অনা বৃষ্টি কিংবা খরার কারণে পাটের ফলন বর্তমানে অনেক খানি কমেছে।

অন্যদিকে দিশেহারা ধান চাষিরাও । মূলত বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করেই আমন ধান চাষ করে অধিকাংশ কৃষক। তবে বৃষ্টির ঘাটতির প্রভাব পড়েছে ধান চাষের ক্ষেত্রেও। শেষ পাঁচ বছরের নিরিখে কমেছে জেলায় ধান চাষের পরিমাণ। ২০২৪-২৫ সালে এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৮৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৮১ হাজার ১৫০ হেক্টর।

কৌশিক অধিকারী

Paddy Farmers: ডিভিসি জল ছাড়ায় স্বস্তিতে কৃষকরা

বাঁকুড়া: রুক্ষ জেলা হওয়ায় কৃষি কাজের ক্ষেত্রে বাঁকুড়ার চাষিদের দেশ সমস্যায় পড়তে হয়। বর্ষাকালে অন্যান্যবার কিছুটা সুবিধা হলেও এবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি চিন্তা বাড়িয়েছে। নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও এখনও বিস্তর ঘাটতি রয়েছে। ফলে আমন ধান চাষ করতে গিয়ে প্রচন্ড সমস্যায় পড়ছেন বাঁকুড়ার কৃষকরা। এই পরিস্থিতি থেকে তাঁদের কিছুটা রেহাই দিতে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে সেচের জন্য জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিভিসির লেফট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানেল ও রাইট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানেল থেকে মোট ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে কৃষিকাজের ক্ষেত্রে জলের অভাব অনেকটাই দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বাঁকুড়ার কৃষকরা।

আর‌ও পড়ুন: আম-কাঁঠালের দিন শেষ, বর্ষার রাজা আনারসের এই গুণগুলি জানেন?

জুলাই মাস শেষ হতেও চলল এখনও সে অর্থে ভারি বৃষ্টিপাতের দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। ফলে শষ্যগোলা পূর্ব বর্ধমান সহ বাঁকুড়া, হাওড়া ও হুগলি জেলায় আমন চাষ অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। বৃষ্টির অভাবে বিস্তীর্ণ জমি এখনও অনাবাদী আছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দুর্গাপুর ব্যারেজের দু’পাশে থাকা সেচ খালে জল ছাড়া শুরু হয়েছছ।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ছয় হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে রাইট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানেল ও লেফট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানেল থেকে। আপাতত ১২ থেকে ১৩ দিন ধরে এই জল ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়া জেলায় আমন ধান চাষ গতি পাবে বলে আশাবাদী সব পক্ষই। দেরিতে হলেও দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে সেচের জন্য প্রথম দফার জল ছাড়া শুরু হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছে কৃষকরাও।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Paddy Cultivation: আমন ধানে শোষক পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে এই কাজটা অবশ্যই করুন

উত্তর দিনাজপুর: আমনানে এই সময় শোষক পোকার আক্রমণ দেখা যায়। ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই বিপদ থেকে বাঁচতে চাষিদের নির্দিষ্ট কতগুলি কাজ করতে হবে। কী করতে হবে তা নিচে বর্ণনা করা হল-

উন্নত পদ্ধতিতে আমন ধানের চাষ কীভাবে করতে হবে তা চাষিদের শেখাচ্ছে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা ২০২৪-২৫ এর আওতায় ১০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের প্রদশর্নী ক্ষেত্র শুরু করেছে ইটাহার ব্লক কৃষি দফতর। ইটাহারের শিশই, সাহা ভিটা, হেমতপুর মৌজা মিলিয়ে ১০০ হেক্টর জমিতে জাতীয় সুরক্ষা মিশনের অধিনে উন্নত প্রথায় আমন ধান চাষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ কৃষকরা যাতে এই পদ্ধতি সম্বন্ধে সচেতন হন তার জন্য সেটি প্রদর্শনী‌ও করা হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: সেই দলুয়াখাকি’তে আবার‌ও বিধ্বংসী আগুন! এবার পুড়ে ছারখার গোটা কারখানা

এদিন কৃষি দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আমন ধানের চারা উন্নত প্রথায় রোপণ করা হয়। কৃষকদের সরকারিভাবে বীজ দেওয়া, বীজ শোধনের উপকারিতা, পরিমিত মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার, ধান চাষের নিরানির ক্ষেত্রে সুবিধা প্রাপ্তির মত বিষয়গুলি এখানে শেখানো হচ্ছে। এছাড়াও উন্নত প্রথায় লাইন করে আমন ধান চাষ করলে ভাল ফলন পেতে পারবেন কৃষকরা। এই পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ করলে চাষিরা লাভ পাবেন বলে জানিয়েছেন ইটাহার ব্লক কৃষি দফতরের কৃষি সম্প্রসারণ সহ আধিকারিক স্বরূপ মজুমদার।

কৃষকরা জানান, সরকারিভাবে ধানের বীজ পাওয়া সহ চারা করে, কম খরচে সরকারী নিয়মে আমন ধান চাষ শুরু করা হয়েছে ভাল ফলনের আশায়। এছাড়া সারিতে সারিতে আমন ধান লাগানো শেখানো হচ্ছে। এই ধান লাগানোর ফলে ধানের উৎপাদন অনেকটাই বেশি হবে। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে চাষ করলে ধান চাষের খরচ‌ও কমে যাবে। এছাড়া বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। জানা গিয়েছে, কৃষি দফতর থেকে এবারে ধানের জাত এমটিইউ ১১৫৩, এই জাতের ধান লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই আমন ধানেই তাঁদের ভাল ফলন হবে।

পিয়া গুপ্তা

Paddy Cultivation: এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করে দেখুন, খরচ অনেক কমবে, বাড়বে ফলন

ধান চাষের জন্য চাষিদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাছাড়া চাষের খরচও হয় অনেকটাই বেশি। সার, চারা তৈরি, সেচের জল নিয়ে একটা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় চাষিদের।
ধান চাষের জন্য চাষিদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাছাড়া চাষের খরচও হয় অনেকটাই বেশি। সার, চারা তৈরি, সেচের জল নিয়ে একটা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় চাষিদের।
এছাড়াও চারা রোপণের জন্য ঠিকে শ্রমিক বা ক্ষেতমজুরদের বেতন দিতে গেলেও ভাল অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে যায়। আজকাল আবার নানান কারণে প্রয়োজনের সময় ক্ষেতমজুর পাওয়া যায় না। ফলে ফসল তুলতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় চাষীদের। তবে এবার আর চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। এসে গিয়েছে সহজ সমাধান।
এছাড়াও চারা রোপণের জন্য ঠিকে শ্রমিক বা ক্ষেতমজুরদের বেতন দিতে গেলেও ভাল অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে যায়। আজকাল আবার নানান কারণে প্রয়োজনের সময় ক্ষেতমজুর পাওয়া যায় না। ফলে ফসল তুলতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় চাষীদের। তবে এবার আর চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। এসে গিয়েছে সহজ সমাধান।
ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে সহজেই করতে পারবেন ধান চাষ। এতে ফলন হবে যেমন বেশি তেমনই ধান চাষের খরচও কমবে। কিন্তু কী এই ড্রাম সিডার পদ্ধতি? কীভাবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে সহজেই করতে পারবেন ধান চাষ। এতে ফলন হবে যেমন বেশি তেমনই ধান চাষের খরচও কমবে। কিন্তু কী এই ড্রাম সিডার পদ্ধতি? কীভাবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-১ ব্লক বীজ খামারের কর্মচারী হেমন্ত দাস জানান, বীজ প্রথমে জলে ভিজিয়ে নিতে হয়, তারপর সেখান থেকে অল্প অঙ্কুর বের হলে সেটাকে শোধন করে নিতে হয়। সেই বীজ ড্রাম সিডারের ড্রামের মধ্যে রাখতে হয়। তারপর চাকাযুক্ত ড্রাম সিডার মেশিন জমির মধ্যে দিয়ে লাইন বরাবর টানলে, সেখান থেকে সমানভাবে বীজ পড়তে থাকে। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাছ তৈরি হয়। সাধারণ পদ্ধতির থেকে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেক সুবিধাজনক। এতে সময় অনেকটা কম লাগে।
এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-১ ব্লক বীজ খামারের কর্মচারী হেমন্ত দাস জানান, বীজ প্রথমে জলে ভিজিয়ে নিতে হয়, তারপর সেখান থেকে অল্প অঙ্কুর বের হলে সেটাকে শোধন করে নিতে হয়। সেই বীজ ড্রাম সিডারের ড্রামের মধ্যে রাখতে হয়। তারপর চাকাযুক্ত ড্রাম সিডার মেশিন জমির মধ্যে দিয়ে লাইন বরাবর টানলে, সেখান থেকে সমানভাবে বীজ পড়তে থাকে। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাছ তৈরি হয়। সাধারণ পদ্ধতির থেকে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেক সুবিধাজনক। এতে সময় অনেকটা কম লাগে।
আউশগ্রাম-১ ব্লকের বীজ খামারে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে লেবার খরচ অনেকটা কমে যায়। এছাড়াও অনেকে তাড়াতাড়ি বীজ রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে। রোগ-পোকার আক্রমণ কম থাকার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে চাষ করলে জল কম লাগে। স্বভাবতই জলের খরচ বাবদ অনেকটা টাকাই বেঁচে যাবে চাষিদের।
আউশগ্রাম-১ ব্লকের বীজ খামারে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে লেবার খরচ অনেকটা কমে যায়। এছাড়াও অনেকে তাড়াতাড়ি বীজ রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে। রোগ-পোকার আক্রমণ কম থাকার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে চাষ করলে জল কম লাগে। স্বভাবতই জলের খরচ বাবদ অনেকটা টাকাই বেঁচে যাবে চাষিদের।