পূর্ব বর্ধমান: উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মতোই রাজ্যের শস্য ভান্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলার রাইস মিলগুলিও সহায়ক মূল্যে কেনা ধান থেকে চাল তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথেই হাঁটছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় তিনশোর বেশি রাইস মিল রয়েছে। শতাধিক রাইস মিল সহায়ক মূল্যে কেনা ধান থেকে চাল তৈরির প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। তাদের বেশিরভাগই বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত।
তাদের বক্তব্য, 2016 সাল থেকে সরকার খরচ বাড়ায়নি। অথচ তাদের খরচ বেড়েই চলেছে। তাই সরকার এই খাতে অর্থ না বাড়ালে তারা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না। বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সবুজ সংকেত না মেলা পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে চুক্তি করবে না তারা। এখনও পর্যন্ত এই জেলার কোনও রাইস মিল চুক্তি করেনি।
রাজ্য সরকারের সাথে এবার সংঘাতের পথে হাঁটতে চলেছে বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন। ধান ভাঙার সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি না হলে সরকারের সাথে চুক্তি করবেন না মিল মালিকেরা। ফলে রেশনিং ব্যবস্থা বির্পযস্ত হওয়ার সম্ভবনা। সহায়ক মুল্যে চাষীরা ধান বিক্রি করতে না পারলে ফোড়েদের দাপট বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের কোচের সাজেই রেস্তরাঁ! পুজোয় আড্ডা, পেটপুজোর ঠিকানা! কোথায় পাবেন
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি কুইন্টাল ধান ভাঙাতে তাদের খরচ হয় ১০০টাকার ওপরে। অথচ তারা পান মাত্র ৩০টাকা। যার মধ্যে কেন্দ্র সরকার দেয় ২০টাকা।রাজ্য সরকার দেয় ১০টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০টাকা বরাদ্দ করা হোক ধান ভাঙার জন্য। কিন্তু সরকার সেই দাবি মানে নি। তাই এবারে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি না হলে ধান কেনা ও ভাঙানোর সাথে যুক্ত হবেন না মিল মালিকেরা।
বেঙ্গল রাইস মিল এসোসিয়েশনের রাজ্য কার্যকরি সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা খাদ্য দফতরের সঙ্গে চুক্তি করে সহায়ক মূল্যে ধান নিয়ে চাল উৎপন্ন করে যথাসময়ে সরকারের ঘরে পৌঁছে দিই। সরকারের রেশন ব্যবস্থা সেই চালে সচল থাকে। কিন্তু সরকারের দেওয়া খরচে চলছে না। তাই আমরা এবার চুক্তি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মুহূর্তে মিলিং চার্জ ৩০ টাকা দেওয়া হয়। আমাদের দাবি, ৫০ টাকা করে মিলিং চার্জ এক্ষুনি বাড়াতে হবে। ঝাড়খণ্ড আসাম মিলিং চার্জ ৫০ টাকা এবং ৬০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।’