Sawan Month Adiyogi: পুণ্য শ্রাবণে মহাদেবের বিরল রূপ, চমকে দিলেন বাঁকুড়ার শিল্পী, এক দর্শনেই মন ভরবে

বাঁকুড়া: আদি যোগী! শ্রাবণ মাসের মহাদেব। মহাদেবের প্রতি ভক্তের নিষ্ঠা এবং ভালবাসা, যেন মুষলধারে বৃষ্টি কেও হার মানিয়ে দেয় শ্রাবণ মাসে। বাঁকুড়া জেলার শুশুনিয়ার পবিত্র জল মাথায় বহন করে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বর মন্দির পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যান ভক্তরা, শুধুমাত্র দেবাদিদেব মহাদেবের মাথায় জল ঢালার জন্য। সে কারণেই এই শৈব মাসে বাঁকুড়ার এক তরুণ শিল্পী সোহম কুমার মণ্ডল তৈরি করলেন আদি যোগীর মূর্তি।

যার উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট। মূর্তিটি তিনি তৈরি করেছেন ভরা শ্রাবণের মাঝেই। তৈরি করতে কষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির জল এবং আবহাওয়া বাধা হয়ে দাঁড়ালেও শিল্পীর অদম্য প্রচেষ্টায় মাত্র তিন দিনেই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন তিনি আদিযোগীকে। পুরো মূর্তিটি তৈরি হয়েছে শোলা দিয়ে। সময় লেগেছে তিন দিন। ওজন রয়েছে প্রায় ১০ কেজি। তিন দিন তিন রাত পরিশ্রম করে তৈরি হয়েছে এই মূর্তি, এ ভর্তি যাবে তালডাঙরা।

আরও পড়ুনDigha News: ওজন ৫০০ কেজি! ইলিশ-বোয়াল নয়, দিঘায় এই দৈত্যাকার মাছই এখন খবরের হেডলাইনে! দাম আরও চমকদার!

পুরো মূর্তিটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় তিন পেটি শোলা। এক লিটার প্রাইমার এবং ১ লিটার রং। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে বেশ। প্রায় কুড়ি হাজার টাকা মূল্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মূর্তিটি। লক্ষ্য শুশুনিয়া থেকে এক্তেশ্বর! ভরা শ্রাবণ মাসে শৈব চেতনা যেন জেগে ওঠে বাঁকুড়া জেলায়। এবারও তার উন্মাদনা দেখা গেল শৈল্পিক চিন্তা ভাবনাতে। ফুটে উঠলেন আদি যোগী শোলা দিয়ে। মূর্তিটি অনেকটা তৈরি করা হয়েছে যামিনী রায়ের আদলকে সম্মান জানিয়ে। বিশ্ব বরেণ্য শিল্পীর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন তরুণ শিল্পী সোহম কুমার মন্ডল।

বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক চর্চা করতে থাকেন সোহম। সামনেই আসন্ন পুজো এবং তার আগে, প্রায় তিন-চারটি মন্ডপের কাজ পেয়েছেন তিনি। ব্যস্ততা চরম তুঙ্গে, তা সত্ত্বেও অর্ডার মাফিক তৈরি করলেন পাঁচ ফুটের আদিযোগী। যা এখন পৌঁছে যাবে বাঁকুড়ার সবচেয়ে বড় শৈব ক্ষেত্র গুলির মধ্যে একটি একটি এক্তেশ্বর শিবমন্দিরে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী