শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের

Nadia News: পড়াশোনা নয়, এক হাঁটু কাদাজল পেরিয়ে গোয়াল ঘরের পাশে ভাত-ডাল খেতে আসে শিশুরা!

নদিয়া: পড়াশোনা কোনওদিনই হয় না! শিশুর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়ার কোনও বালাই নেই। এদিকে এক হাঁটু জল-কাদা পেরিয়ে জঙ্গলের মধ্যে একটি বাড়ির গোয়াল ঘরের পাশে এক চিলতে জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মশার কামড়ের সঙ্গে ভাত এবং ডাল সেদ্ধ খেতে মাঝেমধ্যে আসে শিশুরা। শিশুর সংখ্যা বেশি হলে অভিভাবক অভিভাবকেরা ফোন করেন, তবেই আসেন দিদিমণি কিংবা সহায়িকা। তাও মাত্র এক ঘণ্টার জন্য। আর এভাবেই দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলছে গোয়াল ঘরে আইসিডিএস সেন্টার।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিক্ষিকা কিংবা সহযোগী এ বিষয়ে তৎপর হলে নিশ্চয়ই সমাধান হত। কিন্তু জনসমক্ষে আইসিডিএস সেন্টার হলে তাদের আসা যাওয়া, উপস্থিতির সময়, মিড ডে মিলের খাদ্য, খাবারের গুণগত মান প্রকাশ্যে আসবে, অন্যদিকে শিশুর সংখ্যা বেড়ে যাবে, তাই এলাকার সবুজ ঘন মাঠে সুন্দর পরিবেশে ক্লাব ঘরে স্কুল চালাতে রাজি হননি তাঁরা। এমনকি এলাকাবাসীরা জায়গার সুবন্দোবস্ত করেছে যাতে আগামীতে স্থায়ী সেন্টার গড়ে ওঠে কিন্তু তাতেও হেলদোল নেই সিডিপিও কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

আরও পড়ুন: ত্রিফলার চোখরাঙানি…! পরিণত হল গভীর নিম্নচাপ! অতি ভারী বৃষ্টি বাংলায়, কোথায় কত বর্ষণ? এক নজরে

অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বিডিও, সিডিপিও, সকলকেই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর নিজস্ব প্যাডে সেন্টারের করুণ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন কিন্তু তাতেও কিছু যায় আসে না কারও। তাই বাধ্য হয়েই আজ দিদিমণিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের সাফ কথা , শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। স্থায়ী সমাধান না হলে এরপর ওই গ্রামেই ঢুকতে দেবেন না দিদিমনি এবং সহযোগীকে, এমনই হুঁশিয়ারি এলাকাবাসীর।

চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের আইসিডিএস সেন্টারটি নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাঁচপোতা নতুন পাড়ায় অবস্থিত ৩২৪ নাম্বার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। শিক্ষিকা বন্দনা পোদ্দার, সহযোগী শিখা মণ্ডল। শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, তিনিও নাকি উচ্চ মহলে জানিয়েছেন, তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না। তিনিও বলছেন, চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অন্যদিকে এলাকাবাসীর প্রস্তাব অনুযায়ী ক্লাবের ঘরে সেন্টার চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয় যতক্ষণ না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রাজি হচ্ছে।

Mainak Debnath