কেরল: ‘‘কেরলে যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে জলপ্রপাতের কাছে ধস নামবে৷ সব ধ্বংস হয়ে যাবে৷ মানুষের জীবনও শেষ হয়ে যাবে৷’’ না এটা কোনও ভবিষ্যত নয়৷ ক্লাস ফোরের একরত্তি লেখা এক বছরের এক গল্পের বয়ান৷
চূড়ামালার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তার স্কুল ম্যগাজিন ‘ভেল্লারাম কাল্লুকাল’এ ‘অগ্রহথিন্তে দুরানুভম’ নামে এক গল্প লেখে৷ সেখানে সে কেরলে ঘটে যাওয়া এক কাল্পনিক ঘটনার কথা গল্পে লেখেন৷ কিন্তু এই কাল্পনিক গল্পের বয়ানই অদ্ভুতভাবে মিলে গেল এক বছরের মধ্যে৷
গল্পে বাচ্চা মেয়েটি লেখে, মেয়েটি গল্পে জলপ্রপাতে ডুবে মারা যায়৷ গল্পটিতে মূখ্য চরিত্রের মেয়েটি জলপ্রপাতে ডুবে মারা যায়৷ কিন্তু আসন্ন বিপদ সম্পর্কে দুই বন্ধুকে সতর্ক করতে পাখি হয়ে ফিরে আসে৷
গল্পে উল্লিখিত দু’ই বন্ধু তাদের মা-বাবাকে না বলে জলপ্রপাত দেখতে যায়৷ কিন্তু ডুবে যাওয়া মেয়েটি তাদের সতর্ক করে বলতে থাকে, ‘‘বিপদ আসছে, এখান থেকে চলে যাও৷’’
এক বছরের মধ্যেই গল্পে লেখা বিপর্যয় বাস্তবে ফিরে এল৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, কোনও পাখি বা কেউ সেখানকার বাসিন্দাদের সাবধান করেননি৷ ভূমিধসে মারা গিয়েছে সেই একরত্তির বাবাও৷
ধসে চাপা পড়ে গিয়েছে বাচ্চাটির স্কুলও৷ গল্পের কালো কালি দিয়ে লেখাগুলো এমন ভয়ঙ্কর বাস্তব হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি চতুর্থ শ্রেণির বাচ্চাটি৷