ইজরায়েল: তেহরানে হামাস প্রধানকে হত্যার পর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতির পথে৷ এই পরস্থিতিতে আক্রমণ ঠেকানোর জন্য সামরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করল ইজরায়েল৷
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লা গোষ্ঠী ফুয়াদকে হত্যা করার পর থেকেই ইরান ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ এই ঘটনার পর ইজরায়েলে ড্রোন হামলা করেছে৷ হিজবুল্লা এই মামলার দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে৷
এই অবস্থায় শনিবার, হিজবুল্লা গোষ্ঠীর তরফ থেকে একের পর এক রকেট ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে আসে৷ যদিও ইজরায়েলের দাবি তাঁদের আয়রন ডোম রকেটগুলোকে আকাশেই শেষ করতে সক্ষম হয়েছে৷
এই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে হিজবুল্লা গোষ্ঠী৷ যদিও তাঁরা হামলার কারণ হিসেবে হানিয়ার কথা উল্লেখ করেননি৷
তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লেবাননের দুই গ্রামে ইজরায়েলের রকেট বর্ষণ এবং হিজ়বুল্লার সামরিক বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যার বদলা নিতে তাঁদের এই হামলা৷
এই অবস্থায় ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকানোর জন্য ইজরায়েলে সামরিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকানোর জন্য ইজরায়েল সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে৷
যদিও ইজরায়েলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি ইরান আক্রমণ করবে এই ধরনের তথ্য ইজরায়েলের গোয়েন্দা দফতর জানতে পারে তবেই এই সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হবে৷
প্রসঙ্গত,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও মধ্য প্রাচ্যে ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকানোর জন্য অতিরিক্ত রণতরী ও যুদ্ধপাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই সময় ইজরায়েলে সামরিক প্রস্তুতি নেওয়া ঘটনায় মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও সংকটজনক৷