বৃহস্পতিবার সকালেই পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ বেলা বারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে পৌঁছন৷
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের খবর পেয়েই এ দিন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আকস্মিক প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বিগত কয়েক দশক ধরেই আমি তাঁকে চিনতাম এবং গত কয়েক বছরে তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন আমি বেশ কয়েকবার তাঁকে বাড়িতে দেখতে গিয়েছি। এই মুহূর্তে আমি অত্যন্ত দু:খিত বোধ করছি। এই শোকের সময়ে মীরাদি এবং সুচেতনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”
পাম অ্যাভিনিউয়ের আবাসন থেকে বেরিয়ে মমতা জানান, ‘পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হবে তাঁর দেহ। রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হবে। আমরা রাজ্যে আজ ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছি। গান স্যালুট দেওয়া হবে বুদ্ধবাবুকে। বিধানসভায় নিয়ে যেতে বলেছি আমি। এ এক রাজনৈতিক ক্ষতি। সিপিএমের সঙ্গে কথা বলব, যদি রবীন্দ্র সদনে রাখা যায়। স্পিকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁর মৃত্যুর বয়স হয়নি।’
বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয় বৃহস্পতিবার সকালে। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ৮.২০ নাগাদ তিনি প্রয়াত হন।
গত ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণও ধরা পড়ে তাঁর। ফের আচমকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন।