কলকাতাঃ নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ২২ অগাস্ট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভা চলছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছিলেন এই স্মরণ সভায় যোগ দিতে। মঞ্চে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম-সহ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভূমিকা, তারও আগে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তাঁর কর্মকাণ্ড। এছাড়াও কবিতা, নাটক, সংস্কৃতি জগতে তাঁর বিচরণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরছিলেন বক্তারা। এরই সঙ্গে মাঝে-মধ্যেই উঠছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান।
আরজি কর-কাণ্ডে অলিগলি থেকে রাজপথ কাঁপাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সিপিএমের পাশাপাশি গণ সংগঠনগুলিও তো রাস্তায় নেমে সরাসরি এই আন্দোলন করছে। একইরকম দাবি উঠল প্রাক্তন মুখ্যামন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভাতেও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আরজিকর কাণ্ডটা এত ভয়াবহ ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। মানুষ রাস্তায় নেমেছে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট বলছে তাঁরা তাঁদের কর্মজীবনে এই ধরণের ঘটনা বা এই ধরণের ব্যাখ্যা শোনেনি যা রাজ্য দিচ্ছে। তাছাড়া সর্বত্র ছাত্র, যুব, মহিলা, গ্রামের কৃষক কে না? ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, নার্স প্রত্যেক কমিউনিটি। এমন কোনও অংশ নেই যারা এর প্রতিবাদে নামেনি।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভা ছিল। সেখানেও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। স্মরণসভায় আসার পথে, মাঝখানে, যাওয়ার পথে ‘জাস্টিস ফর আরজিকর’। একথাটা বারেবারে যেভাবে উঠছে। বোঝা যাচ্ছে মানুষ সহ্য করতে চাইছে না। সহ্য করতে পারছে না। যে ভয়াবহ অপরাধ মানুষের উপরে চলছে। চাপিয়ে দিচ্ছে। রাজ্য সরকার ধরা পড়ে যাচ্ছে। মানুষের কথাতে কিন্তু তা স্পষ্ট।”
স্মরণসভায় নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “আজকে যখন আমরা তাঁকে স্মরণ করছি তখন হাজারো লাখো মানুষ রাত জাগছে গোটা দেশে। তারপর দেখলাম কত অমানবিক স্বার্থপর হলে তাঁরা সমস্ত শক্তি দিয়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করার চেস্ট করছে। ওই নির্যাতিতার দেহ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল তখন বুদ্ধদার যুব সংগঠনের ছেলেমেয়েরা গাড়ির সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁদের মলেস্ট হতে হয়েছিল। তাঁদের ম্যাল হ্যান্ডেল হতে হয়েছিল। আমরা মামলা করেছি। সেটা নিয়ে পুলিশ কিছু করছে। বরং, আমাদের ছাত্র যুবদের অপরাধী বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।”
UJJAL ROY