ভাইরাস জ্বর থেকে সহজে মুক্তি মিলতে পারে

Health Tips: ৩-৪ দিনের জ্বর, অসহ্য গা-হাত-পায়ে ব্যথা! ভাইরাল জ্বর থেকে সহজে মুক্তির উপায় জানালেন চিকিৎসক

হাওড়া: বর্ষা আগমনে গ্রীষ্মের তাপ থেকে স্বস্তি মিলেছে। তবে এই বর্ষায় শুরু হয়েছে মানুষের অন্য সমস্যা, এই সময় দারুন ভাবে জ্বরে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বাড়ছে। এই জ্বর প্রায়শই আর্দ্র, স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় ছড়িয়ে পড়া ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে উদ্ভূত হয়। বর্তমান সময়ে দারুণভাবে চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাস জ্বর। এই জ্বর মানেই অসহ্য গা হাত পা ব্যথা। খিদে মন্দা বা খাবারে অরুচি। একবার আক্রান্ত হলে ৩-৪ দিন কাবু।

এই জ্বর থেকে কীভাবে রক্ষা এবং আক্রান্ত মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? বিশিষ্ট চিকিৎসক জানাচ্ছেন, জ্বরের লক্ষণ এবং তার প্রতিকার। মূলত ফ্লু ভাইরাসের আক্রমণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে। পাশাপাশি ধীরে ধীরে মাথা তুলছে ডেঙ্গি। ঋতু পরিবর্তনের সময় অসুখও যেন হাত ধরেই আসে। কারণ এই সময়ে ভাইরাস জ্বরের ভয় থাকে সবচেয়ে বেশি, সেইসঙ্গে সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা তো রয়েছেই।

আরও পড়ুনঃ জেলার ঐতিহ্য এই বাস! পর্যটকদেরও দারুণ পছন্দের! পুজোর আগে চালুর ভাবনা

আবহাওয়া বদলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভাইরাল ফ্লু। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তবে মূলত আবহাওয়ার সঙ্গে শরীরের নিজস্ব তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতা সহজে মানিয়ে উঠতে না পারা ও বাড়তে থাকা দূষণ নেপথ্যের কারণ। দূষণের কারণে পরিবেশে অ্যালার্জেন ক্রমেই বাড়ছে। ফলে অ্যালার্জির হানা একটা বড় সমস্যা| সেই সুযোগে ভাইরাস বা কিছুক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢুকে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এই বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলছে। সাধারণত ভাইরাল ফ্লু-তে ঘুষঘুষে জ্বর যেমন থাকে, আবার ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বরও উঠতে পারে। ভাইরাল জ্বরের বৈশিষ্ট্য হল শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। এটি মাঝারি থেকে গুরুতর হতে পারে।

ভাইরাল জ্বরের সময় পেশী এবং জয়েন্টের যন্ত্রণা বাড়ে। ভাইরাল জ্বরে মাথাব্যথা সাধারণ এবং মাঝারি থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। অনেক ভাইরাল সংক্রমণের কারণে গলা ব্যথা এবং ক্রমাগত কাশি হতে পারে। নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি এবং নাক দিয়ে জল পড়া ঘন ঘন লক্ষণ, বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ক্ষেত্রে। ভাইরাস জ্বর হলে তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকেও জ্বর তিন-চার দিনে না কমলে রক্ত পরীক্ষাও করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানান চিকিৎসক মনোসিজ জানা।

রাকেশ মাইতি