Tag Archives: Viral Fever

Viral Fever: চারিদিকে ভাইরাল জ্বরের প্রাদুর্ভাব, কীভাবে সুস্থ থাকবেন? জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

কলকাতা: ম্যালেরিয়া এবং ভাইরাল জ্বরের প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অংশে। বর্ষার আগমনে এই জলবাহিত রোগগুলি ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালের শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ। বরেলি জেলায় গত ১৫ দিনে ৫ হাজারের বেশি রোগী জ্বরে ভুগছেন। যার কারণে হার্ট ওয়ার্ডে ১০টি বেডের একটি ফিভার ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া জেলা হাসপাতালে ফিভার হেল্পিং ডেস্কও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালেরিয়ার মতো ভয়ঙ্কর রোগ। অনেক মানুষই এর শিকার হচ্ছেন। ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত মানুষ ক্রমাগত হাসপাতালে পৌঁছাচ্ছেন। গত ১৫ দিনে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে জায়গা নেই। এই সমস্যা মোকাবেলায় হার্ট ওয়ার্ডে ১০ শয্যার একটি ফিভার ওয়ার্ড করা হয়েছে। যেখানে আগত রোগীদের পরীক্ষা করা হবে। জ্বর ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তদের রিপোর্ট প্রকাশ করতে গিয়ে জেলা হাসপাতাল জানিয়েছে, গত ১৫ দিনে ৫ হাজারের বেশি রোগী জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়ার সঙ্গে যা করত দুই তরুণ! ফাঁস হল অপকর্ম! দু’জনকে খুঁজছে পুলিশ

জ্বর, বমি বা জয়েন্টে ব্যথা নেই তো?

প্রবীণ চিকিৎসক ডা. বাগীশ লোকাল 18-কে জানিয়েছেন যে, টানা বৃষ্টি বা তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বা জলাবদ্ধতার কারণে ম্যালেরিয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাড়ির আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না, কারণ জল জমে থাকলে মশা বংশবিস্তার করবে। কোনও ব্যক্তির জ্বর, বমি ও জয়েন্টে ব্যথা হলে তাকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া রোগীদের স্বাভাবিক ম্যালেরিয়া থাকলে বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে পারেন বলে জানান তিনি। কিন্তু, পরিস্থিতি আরও গুরুতর হলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত।

আরও পড়ুন: পাঁচতারা হোটেলে গোপন বৈঠক, হাতে CCTV ফুটেজ! নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিল না পুলিশ

হাসপাতালে ফিভার হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে

জেলায় ম্যালেরিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোগীরা জেলা হাসপাতালের ওপিডিতে ও বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন পরীক্ষার জন্য। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ড ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যার কারণে হার্ট ওয়ার্ডে ১০টি বেডের ফিভার ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। জেলা হাসপাতালে এই পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি জ্বর ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে। এর জন্য হাসপাতালে একটি ফিভার হেল্প ডেস্কও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Viral Fever: ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বর! সংক্রমণ ঠেকাতে কী করবেন? রইল ‘এক’ চামচের টিপস, জানুন

যখন-তখন আবহাওয়া বদলাচ্ছে, তা জানান দিচ্ছে সর্দি-কাশি, জ্বরের মধ্যে দিয়ে। ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন আট থেকে আশি। কেউ কেউ আবার বৃষ্টি ভিজে ভুগছেন। কীভাবে বাড়াবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা? রইল 'এক' চামচের টিপস। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
যখন-তখন আবহাওয়া বদলাচ্ছে, তা জানান দিচ্ছে সর্দি-কাশি, জ্বরের মধ্যে দিয়ে। ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন আট থেকে আশি। কেউ কেউ আবার বৃষ্টি ভিজে ভুগছেন। কীভাবে বাড়াবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা? রইল ‘এক’ চামচের টিপস। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
আগে সব বাড়িতেই মা, দিদিমারা তুলসি, বাসক, পিপুলের মতো আয়ুর্বেদিক পথ্যের সাহায্য নিতেন। আর ছিল চ্যবনপ্রাশ, যা শিশুদের খাওয়ানো হত সারা শীতকাল। সর্দি-কাশি, সংক্রমণ থেকে শিশুদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে যা ছিল অব্যর্থ দাওয়াই।
আগে সব বাড়িতেই মা, দিদিমারা তুলসি, বাসক, পিপুলের মতো আয়ুর্বেদিক পথ্যের সাহায্য নিতেন। আর ছিল চ্যবনপ্রাশ, যা শিশুদের খাওয়ানো হত সারা শীতকাল। সর্দি-কাশি, সংক্রমণ থেকে শিশুদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে যা ছিল অব্যর্থ দাওয়াই।
সময় বদলেছে, এখন শুধু শীতকাল নয়, বরং বর্ষার মরসুমেও রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে।
সময় বদলেছে, এখন শুধু শীতকাল নয়, বরং বর্ষার মরসুমেও রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ মুনি ‘চ্যবন’-এর নাম ও ‘প্রাশ’ (বিশেষ ভাবে তৈরি খাবার) মিলে নামকরণ হয়েছে এই পথ্যের। কেবল শীতকালেই নয়, এই পথ্য সারা বছর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, রইল সেই হদিস।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ মুনি ‘চ্যবন’-এর নাম ও ‘প্রাশ’ (বিশেষ ভাবে তৈরি খাবার) মিলে নামকরণ হয়েছে এই পথ্যের। কেবল শীতকালেই নয়, এই পথ্য সারা বছর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, রইল সেই হদিস।
মোট চল্লিশ ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় চ্যবনপ্রাশ। এই সব উপকরণের মধ্যে রয়েছে আমলকি, মধু, অশ্বগন্ধ, চন্দন গুঁড়ো, অর্জুন গাছের ছাল, ঘি, ত্রিফলা অন্যতম।
মোট চল্লিশ ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় চ্যবনপ্রাশ। এই সব উপকরণের মধ্যে রয়েছে আমলকি, মধু, অশ্বগন্ধ, চন্দন গুঁড়ো, অর্জুন গাছের ছাল, ঘি, ত্রিফলা অন্যতম।
শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। হয় সকালে খালি পেটে, আর না হয় রাতে খাবার খাওয়ার পর এই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। মনে রাখবেন খাওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে এটি না খাওয়াই ভাল। অনেকে গরম দুধে চ্যবনপ্রাশ মিশিয়েও খান।
শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। হয় সকালে খালি পেটে, আর না হয় রাতে খাবার খাওয়ার পর এই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। মনে রাখবেন খাওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে এটি না খাওয়াই ভাল। অনেকে গরম দুধে চ্যবনপ্রাশ মিশিয়েও খান।
সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে বাঁচতে চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতেই পারে। এ ছাড়া, আর কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে চ্যবনপ্রাশের? ফুসফুসের দেখভাল করে। হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। শক্তি বাড়ায়।
সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে বাঁচতে চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতেই পারে। এ ছাড়া, আর কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে চ্যবনপ্রাশের? ফুসফুসের দেখভাল করে। হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। শক্তি বাড়ায়।
এছাড়াও রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। রক্তচাপ স্বাভাবিক করে। কোলেস্টেরলের জন্য ভাল। নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
এছাড়াও রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। রক্তচাপ স্বাভাবিক করে। কোলেস্টেরলের জন্য ভাল। নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

Health Tips: ৩-৪ দিনের জ্বর, অসহ্য গা-হাত-পায়ে ব্যথা! ভাইরাল জ্বর থেকে সহজে মুক্তির উপায় জানালেন চিকিৎসক

হাওড়া: বর্ষা আগমনে গ্রীষ্মের তাপ থেকে স্বস্তি মিলেছে। তবে এই বর্ষায় শুরু হয়েছে মানুষের অন্য সমস্যা, এই সময় দারুন ভাবে জ্বরে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বাড়ছে। এই জ্বর প্রায়শই আর্দ্র, স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় ছড়িয়ে পড়া ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে উদ্ভূত হয়। বর্তমান সময়ে দারুণভাবে চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাস জ্বর। এই জ্বর মানেই অসহ্য গা হাত পা ব্যথা। খিদে মন্দা বা খাবারে অরুচি। একবার আক্রান্ত হলে ৩-৪ দিন কাবু।

এই জ্বর থেকে কীভাবে রক্ষা এবং আক্রান্ত মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? বিশিষ্ট চিকিৎসক জানাচ্ছেন, জ্বরের লক্ষণ এবং তার প্রতিকার। মূলত ফ্লু ভাইরাসের আক্রমণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে। পাশাপাশি ধীরে ধীরে মাথা তুলছে ডেঙ্গি। ঋতু পরিবর্তনের সময় অসুখও যেন হাত ধরেই আসে। কারণ এই সময়ে ভাইরাস জ্বরের ভয় থাকে সবচেয়ে বেশি, সেইসঙ্গে সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা তো রয়েছেই।

আরও পড়ুনঃ জেলার ঐতিহ্য এই বাস! পর্যটকদেরও দারুণ পছন্দের! পুজোর আগে চালুর ভাবনা

আবহাওয়া বদলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভাইরাল ফ্লু। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তবে মূলত আবহাওয়ার সঙ্গে শরীরের নিজস্ব তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতা সহজে মানিয়ে উঠতে না পারা ও বাড়তে থাকা দূষণ নেপথ্যের কারণ। দূষণের কারণে পরিবেশে অ্যালার্জেন ক্রমেই বাড়ছে। ফলে অ্যালার্জির হানা একটা বড় সমস্যা| সেই সুযোগে ভাইরাস বা কিছুক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢুকে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এই বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলছে। সাধারণত ভাইরাল ফ্লু-তে ঘুষঘুষে জ্বর যেমন থাকে, আবার ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বরও উঠতে পারে। ভাইরাল জ্বরের বৈশিষ্ট্য হল শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। এটি মাঝারি থেকে গুরুতর হতে পারে।

ভাইরাল জ্বরের সময় পেশী এবং জয়েন্টের যন্ত্রণা বাড়ে। ভাইরাল জ্বরে মাথাব্যথা সাধারণ এবং মাঝারি থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। অনেক ভাইরাল সংক্রমণের কারণে গলা ব্যথা এবং ক্রমাগত কাশি হতে পারে। নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি এবং নাক দিয়ে জল পড়া ঘন ঘন লক্ষণ, বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ক্ষেত্রে। ভাইরাস জ্বর হলে তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকেও জ্বর তিন-চার দিনে না কমলে রক্ত পরীক্ষাও করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানান চিকিৎসক মনোসিজ জানা।

রাকেশ মাইতি

Swine Flu: এই মারাত্মক ভাইরাসের থাবা বাংলায়! বাদুড়িয়ার গোটা গ্রাম প্রবল জ্বরে আক্রান্ত

উত্তর ২৪ পরগনা: ফের সোয়াইন ফ্লুর থাবা বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি বাড়তে না বাড়তেই বাদুড়িয়ায় সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হলেন তিনজন। একটি গোটা গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ মেডিকেল দল ওই গ্রামে পাঠিয়েছে প্রশাসন।

বাদুড়িয়া সহ বসিরহাট মহকুমার সীমান্তবর্তী ১০ টি ব্লকে জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বসিরহাট হাসপাতালে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন অনেকে। এবার নতুন করে স্বাস্থ্য দফতরের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সোয়াইন ফ্লু। বাদুড়িয়া ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামে বছর ১৮-এর কলেজ ছাত্রী বৃষ্টি গায়েন, বছর ১৯-এর গৃহবধূ পুষ্পিতা মণ্ডল ও বছর ২৯-এর যুবক সত্যজিৎ মণ্ডল এই তিনজনের শরীরে সোয়াইন ফ্লু’র অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

আর‌ও পড়ুন: আর‌ও সবুজ! এই জেলায় ১৯ লক্ষ ২০ গাছ লাগানো হবে

প্রচন্ড কাশি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, শারীরিক দুর্বলতা, প্রচন্ড জ্বর নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসাধীন শ্রীরামপুর গ্রামের এই তিনজন। একই ধরনের উপসর্গে ভুগছে গ্রামের আরও অনেকে। ইতিমধ্যেই মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্তদের বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে বারণ করছেন। প্রায় প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন, ওষুধ দিচ্ছেন, রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছেন। পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্তদের মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে গ্রামের বহু মানুষ হাজির ছিলেন। তারপর থেকেই এলাকায় জ্বরের এই উপসর্গগুলি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বর্তমানে শ্রীরামপুর গ্রামে ৫০ জনেরও বেশি জ্বরে আক্রান্ত। পাঁচ জনের দেহে ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ধরা পড়েছে। তার মধ্যে তিনজনের শরীরে সোয়াইন ফ্লু’র অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ ও তাঁদের উপর বিশেষ নজর রাখা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত বিশেষ স্বাস্থ্য ক্যাম্পটি চলবে ওই গ্রামে।

জুলফিকার মোল্যা

North 24 Parganas News: ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ৫০ জন! বসিরহাটে ঘটনায় তৎপর স্বাস্থ্য বিভাগ

বসিরহাট: ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫০ জন। বসিরহাটের ঘটনায় সচেতনা বার্তা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। বর্ষার শুরু হতেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ, ডেঙ্গির মত উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন অনেকে।

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ১০টি ব্লকের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাথা যন্ত্রণা, বমি, উচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেক। ইতিমধ্যে ডেঙ্গির মতো উপসর্গ নিয়ে প্রায় ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে, হাসপাতালের বর্হিবিভাগেও লম্বা লাইন। ইতিমধ্যে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গির মতো উপসর্গ ও জ্বরে আক্রান্তদের যাতে দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় সেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সচেতনতার বার্তাও দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: ব্যারাকপুরে বেসরকারি স্কুলে দুর্ঘটনা! প্র্যাকটিক্যালের সময় টেস্টটিউব বিস্ফোরণে আহত ছাত্র

কোনও রকম জ্বরে আক্রান্ত হলে তাঁদের নাম, পরিচয় পত্র, সঠিক ঠিকানা, মোবাইল নম্বার লিপিবদ্ধ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য দফতর আগেভাগেই সতর্কতা নিচ্ছে যাতে আক্রান্ত সংখ্যা না বাড়ে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগে থাকতেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র-সহ ব্লক হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। জ্বর হলেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং হাসপাতালে যাতে ভর্তি করানো যায় তার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে।