সৈকত শী, শংকরপুর: সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অত্যন্ত প্রিয় ছিল জেলার এই সমুদ্রসৈকত। সুযোগ পেলেই তিনি এই সমুদ্রসৈকতে সপরিবারে আসতেন ছুটি কাটাতে। শুধু অবসর সময়ে নয়। ২০০৬ সালের পর একাধিক জায়গায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদল-সহ সাধারণ মানুষের আন্দোলনে রাজ্য মুখর, তখনও মানসিক চাপ কাটাতে বেছে নিয়েছিলেন এই সমুদ্র সৈকতকেই। এই সমুদ্র সৈকতের সরকারি কমপ্লেক্সের একটি কটেজ ছিল তাঁর অত্যন্ত প্রিয়।
প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময় কাটানোর জন্য অত্যন্ত পছন্দের ছিল শংকরপুর সমুদ্রসৈকত। নির্জন এই সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াতে ভালবাসতেন তিনি। আর এখানে রাজ্য মৎস্য দফতরের ‘জোয়ার’ কমপ্লেক্স-এর একটি কটেজ ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের খুব প্রিয়। শংকরপুর এলেই তিনি ওই কটেজেই সপরিবারে থাকতেন। শংকরপুর সমুদ্র উপকণ্ঠে রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একাধিক স্মৃতি। শুধু রাজ্য মৎস্য দফতরের কটেজে থাকাই নয়, কটেজের সঙ্গে থাকা ক্যান্টিনের আটপৌরে বাঙালি খাবার তাঁর অত্যন্ত পছন্দের ছিল।
তিনি একাধিক বার এসেছেন শংকরপুরে। বন্দর এলাকায় মধ্যে রয়েছে ‘ময়ূরপঙ্খী’ কটেজ। আর এটাই ছিল তাঁর মন ভাল করার জায়গা। ভালবাসতেন উপকূলের ঝাউগাছের শব্দ ও সমুদ্রের কলতান শুনতে। সমুদ্রে নিরিবিলি ও সৈকতে হাঁটতে ভালবাসতেন। সাধারণ খাবার পছন্দ করতেন, তার মধ্যে পোস্তর পদ বেশি পছন্দ করতেন। ফিঙ্গার চিপস, ফিশফিঙ্গার সান্ধ্যকালীন আহার হিসেবে পছন্দ করতেন। কফির চাহিদা ছিল বেশি। দুপুরের মেনুতে ভাত, ডাল, আলুভাজা, আলুপোস্ত, ঝিঙেপোস্ত, পোস্তরবড়া, মাছের মধ্যে ভেটকি, পারসে, তোপসে, আবার কখনও কখনও ইলিশ এবং খাসির মাংস পছন্দের তালিকায় ছিল শীর্ষে।
বর্তমানে ময়ূরপঙ্খী কটেজে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এই সৈকতশহরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতি আজীবন অমলিন থাকবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।