Tag Archives: East Medinipur

Kalbaisakhi in South Bengal: মাত্র ২ ঘন্টা পর তোলপাড়…! ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সঙ্গে ৭০ কিমি বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব পূর্ব মেদিনীপুরে

তীব্র গরমে বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল সকলেই৷ কবে আসবে স্বস্তির বৃষ্টি৷ জ্বালাপোড়া গরম থেকে মুক্তি কবে মিলবে৷ এর মধ্যেই সোমবার বিকাল থেকেই তুমুল বদলে গেল আবহাওয়া৷
তীব্র গরমে বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল সকলেই৷ কবে আসবে স্বস্তির বৃষ্টি৷ জ্বালাপোড়া গরম থেকে মুক্তি কবে মিলবে৷ এর মধ্যেই সোমবার বিকাল থেকেই তুমুল বদলে গেল আবহাওয়া৷
সোমবার সকাল থেকেই আবহাওয়ার ভোলবদলে আশা জেগেছিল সকলের মনে৷ রোদের তাপও ছিল অনেকটাই কম৷ আংশিক মেঘলা আকাশ ও হালকা হাওয়া বইছিল সারাদিন৷
সোমবার সকাল থেকেই আবহাওয়ার ভোলবদলে আশা জেগেছিল সকলের মনে৷ রোদের তাপও ছিল অনেকটাই কম৷ আংশিক মেঘলা আকাশ ও হালকা হাওয়া বইছিল সারাদিন৷
সন্ধে নামতেই তুমুল বদলে গেল আবহাওয়া৷ কোথাও হালকা তো কোথাও আবার মাঝারি-ভারী বৃষ্টি শুরু হল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়৷ সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা ঝোড়ো হাওয়া৷
সন্ধে নামতেই তুমুল বদলে গেল আবহাওয়া৷ কোথাও হালকা তো কোথাও আবার মাঝারি-ভারী বৃষ্টি শুরু হল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়৷ সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা ঝোড়ো হাওয়া৷
সন্ধে নামতেই তুমুল বদলে গেল আবহাওয়া৷ কোথাও হালকা তো কোথাও আবার মাঝারি-ভারী বৃষ্টি শুরু হল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়৷ সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা ঝোড়ো হাওয়া৷
সন্ধে নামতেই তুমুল বদলে গেল আবহাওয়া৷ কোথাও হালকা তো কোথাও আবার মাঝারি-ভারী বৃষ্টি শুরু হল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়৷ সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা ঝোড়ো হাওয়া৷
এবার পূর্ব মেদিনীপুর কালবৈশাখী ও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস৷ আগামী দু'ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে এই জেলায়।
এবার পূর্ব মেদিনীপুর কালবৈশাখী ও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস৷ আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে এই জেলায়।
 পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আগামী দু'ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
 পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ৪০/৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ৪০/৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই বৃষ্টি শুরু হয়েছে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। পাশাপাশি ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। এবং ঘনঘন বাজ পড়ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই বৃষ্টি শুরু হয়েছে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। পাশাপাশি ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। এবং ঘনঘন বাজ পড়ছে।
আগামী দু'ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ কালবৈশাখীর সতর্কতা কলকাতা হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়৷
আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ কালবৈশাখীর সতর্কতা কলকাতা হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়৷
 আগামী দু'ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা। সঙ্গে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা।
আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা। সঙ্গে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবরে বলা হয়েছিল, আগামী ৫ মে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা- এবং পূর্ব মেদিনীপুরে৷ সোম ও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবরে বলা হয়েছিল, আগামী ৫ মে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা- এবং পূর্ব মেদিনীপুরে৷ সোম ও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে৷
সাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকবে রাজ্যে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷
সাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকবে রাজ্যে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷
ঝাড়খন্ডে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এটা নিয়ে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। আগামী ৪৮ ঘন্টায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
ঝাড়খন্ডে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এটা নিয়ে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। আগামী ৪৮ ঘন্টায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।

East Medinipur News: পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অ্যাপের ব্যবহার পুলিশ প্রশাসনের!

পূর্ব মেদিনীপুর, দিঘা: দিঘায় আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে অ্যাপস ব্যবহারের জোর দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর তথা রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দিঘা। উত্তাল সমুদ্রের হাতছানিতে প্রতি ঋতুতে পর্যটকদের কার্যত ঢল নামে দিঘায়। তাই শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সবসময়ই পর্যটকের ভিড় চোখে পড়ে দিঘা সমুদ্র সৈকতে। দিঘা বাঙালির রিলাক্সিং উইকেন্ড কাটানোর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। দিঘায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে ততই যেন নজরদারির ফাঁক থেকে যাচ্ছে। তাই বারবার দিঘা হোটেলে অপরাধীরা আত্মগোপন করার সুযোগ পেয়েছে সম্প্রতি অতীতে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অ্যাপস ব্যবহারে জোর দিয়েছে।

সম্প্রতি এনআইএ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে ব্যাঙ্গালোরেও রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণের দুই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে নিউ দিঘার একটি বেসরকারি হোটেল থেকে। যার ফলে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে দিঘার হোটেলগুলিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা বিষয়ে! ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, বাড়ানও হয়েছে দিঘার হোটেলগুলিতে নজরদারি। সম্প্রতি অতীতে দিঘার হোটেলগুলিতে পর্যটকদের আনা গোনা অতিথি পোর্টালের মাধ্যমে হোটেলে রেজিস্টারে নথিভুক্ত করতে হত। এবার থেকে জেলা পুলিশের তরফে একটি অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যটকদের আসা যাওয়ার ওপর নজরদারি
চালানো হবে।

আরও পডুন : পারদ চড়তেই রাস্তায় ওআরএস বিলি ট্রাফিক পুলিশের! কোথায় হল জানেন

যে সমস্ত পর্যটকেরা হোটেলে ওঠেন আধার কার্ড বা আইডেন্টি কার্ড দিয়ে হোটেলে রেজিস্টার করার। সেই আধার কার্ড বা আইডেন্টি কার্ড বৈধ কিনা তা খতিয়ে দেখতে এই অ্যাপস কাজ করবে। ইতিমধ্যেই দিঘা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিজিৎ পাত্র সহ পুলিশ আধিকারিকেরা দিঘার বিভিন্ন হোটেলগুলিতে এই অ্যাপস নিয়ে হোটেল কর্মচারীদেরকে সতর্ক এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছেন। যাতে হোটেল কর্মচারীরা সহজেই বুঝে যেতে পারেন কোনকার্ডটি বৈধ কোনটি অবৈধ! এমন কিছু সন্দেহজনক দেখলে তারা যেন লোকাল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে সে বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করান দিঘা থানার ওসি অভিজিৎ পাত্র। পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দিঘায় আসার পর্যটকদের নিরাপত্তা আরওজোরদার করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এবার পর্যটকদের দিঘায় যাওয়া আসার ওপর অ্যাপসে নজরদারি চালানো হবে। ইতিমধ্যেই দিঘার বিভিন্ন হোটেলগুলিতে পুলিশ অধিকারিকেরা পর্যটকদের নিরাপত্তা বিষয়ে নানান পরামর্শ ও সতর্ক করছেন হোটেল কর্মচারীদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

দিঘাকে সমস্ত রকমের অপরাধ মুক্ত করতে এই পদক্ষেপ পুলিশ প্রশাসনের। এই পদক্ষেপ আগামী দিনে কতটা ফলপ্রসূ হবে তা সময় বলবে।

সৈকত শী

East Medinipur News: ওড়িশায় ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জয়জয়কার পূর্ব মেদিনীপুরের

পূর্ব মেদিনীপুর : ওড়িশায় ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিভার ছাপ রাখল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মেয়েরা। বিএসএফ আয়োজিত ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতি নগর থানার অন্তর্গত মুগবেড়িয়া গ্রামের ২৫ জন ছেলে-মেয়ে বিভিন্ন বিভাগে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। গ্রামের ছেলেদের এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশি এলাকাবাসী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানার অন্তরগত মুগবেড়িয়াতে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত একটি ক্যারাটে স্কুল কিছু বছর আগে চালু হয়। এই স্কুলের মূল উদ্দেশ্য বর্তমান সময়ে ছেলে মেয়েদের বিনা খরচে আত্মরক্ষার পাঠ দেওয়া।

আত্মরক্ষার পাঠ দিতেই ওই স্কুলে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বর্তমানে বহু ছাত্র-ছাত্রী ওই স্কুলে আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে ক্যারাটে শিখছে। কিন্তু শুধুমাত্র আত্মরক্ষার কৌশল হিসাবে ক্যারাটে শিক্ষা গ্রহণ নয়। বরং এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য ও জাতীয়  স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই স্কুলে গ্রামের সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিনা মূল্যে আত্মরক্ষার কৌশল হিসাবে শেখানো হয় ক্যারাটে। আর সেখানেই ক্যারাটেশিখে দেশ বিদেশে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। সম্প্রতি BSF এর আয়োজনে ক্যারাটেপ্রতিযোগিতায় এই স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করেছিল ২৫ জন ছাত্র ছাত্রী।তাদের সবাই কোনও না কোনও বিভাগেজিতছে সোনা রুপো ও ব্রোঞ্জ এর পদক। এই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ স্কুলের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও এর আগেও বিভিন্ন ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছিল। এবার তাদের স্কুলের ২৫ জন ছাত্রছাত্রী ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।

আরও পড়ুন : তমলুকে আন্তর্জাতিক দাবার আসর

প্রসঙ্গত ওই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ স্কুলটি চালায় স্থানীয় ব্যক্তি সন্দীপ মাইতি ও তার স্ত্রী। তাদের নিজেদের খরচে এই ক্যারাটে স্কুল পরিচালনা করেন। সন্দীপ মাইতি জানান, করোনা লকডাইন থেকেই তাদের এই স্কুল শুরু হয়। গ্রামের ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে ক্যারাটে স্কুলটি শুরু হয়েছিল। আগামী দিনে এই স্কুলকে আর বড় করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

সন্দীপ মাইতির এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ থেকে অভিভাবক অভিভাবিকারা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আত্মরক্ষার কৌশল হিসাবে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

সৈকত শী

East Medinipur News: যক্ষা দূরীকরণে অঙ্গীকার পূর্ব মেদিনীপুরের সাংবাদিকদের

তমলুক: শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে খবর সংগ্রহ করা বা খবর পরিবেশ নয়, এবার আরও বড় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সাংবাদিকের সংগঠন। যক্ষা রোগ নির্মূল করতে বড় ভূমিকা পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ হল সাংবাদিকেরা। তমলুক মহকুমার সাংবাদিক সংগঠন যক্ষা রোগীর দায়িত্ব নিল। ১৬ জন যক্ষা রোগীর খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব কাদের তুলে নিল সাংবাদিকেরা। সাংবাদিকদের সংগঠন তমলুক জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাবের উদ্যোগে তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এলাকার সমস্ত যক্ষা রোগীদের উপযুক্ত মানের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য প্রদান করার মাধ্যমে দত্তক নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১২৮৫ জন সরকারিভাবে নথিভুক্ত যক্ষা রোগী রয়েছেন। এছাড়াও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার ক্ষেত্রেও এই সংখ্যাটা প্রায় হাজার খানেক। ফলে এই সকল রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসার পাশাপাশি রোগ মুক্তির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহারের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার আহ্বান জানায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই মত ন্যাশনাল টিবি এলিমিনেশন প্রোগ্রামে বিভিন্ন বেসরকারি কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় নিক্ষয় মিত্রের মাধ্যমে এলাকার যক্ষা রোগীদের দত্তকের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : দিঘা বেড়ানো অনেক হল! ছোট্ট ছুটিতে যান ৩ নদীর এই সঙ্গমস্থলে, আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য

এলাকার যক্ষা রোগীদের মধ্যে চাল, ডাল, ডিম, সোয়াবিন, তেল, ছোলা, নানান রকমের ফলমূল সহ যাবতীয় পুষ্টিগণ সম্পন্ন আহার বিতরণ করা হয়। আগামী ৬ মাস পর্যন্ত এভাবেই যক্ষা আক্রান্তদের সেবায় এই সকল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহার তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। যার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে এদিন পৌরসভা এলাকায় ১৬ জন যক্ষা রোগীকে ৬ মাসের জন্য দত্তক নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের পক্ষে কাজল মাইতি, শুভময় জানারা। তাদের কথায়, খবর সংগ্রহের পাশাপাশি যক্ষা দূরীকরণের মত এমন সমাজসেবামূলক কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে চাই আগামী দিনেও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ‘উপযুক্ত চিকিৎসার পাশাপাশি এই রোগ সম্পূর্ণরূপে দূরীকরণের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা অনেকটাই সমস্যা তৈরি করে। তাই যাতে অসহায় আক্রান্তদের পর্যাপ্ত মানের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহরের ক্ষেত্রে কোনও রকমের আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে না পারে তার জন্য নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার সমস্ত সংগঠনের কাছেই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই যক্ষামুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে রাজ্যের নিরিখে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুর। প্রশাসনিক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর মুখ্য স্বাস্থ্য জেলার প্রায় ৬৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে যক্ষা মুক্ত প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে জোরদার প্রচার চলে। যক্ষামুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গড়ে তোলার পাশাপাশি এবার নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যক্ষা রোগীদের দত্তক নেওয়ার আহবান জানায় প্রশাসন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

মূলত, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনদের পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহারে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর করতেই এমন উদ্যোগ বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের। আর ইতিমধ্যেই তাদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে একাধিক বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সাংবাদিকদের এগিয়ে আসায় নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে যেন প্রাণ সঞ্চার হল আক্রান্তদেরও।

সৈকতশী

East Medinipur News: অসময়ে অতিবৃষ্টি, বাদাম চাষের শুরুতেই ক্ষতি!  

পূর্ব মেদিনীপুর, পটাশপুর: বসন্তে বিরাজ করছে বৃষ্টি! উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গ সর্বত্রই ঝড়-বৃষ্টি চলছে। আর এই অসময়ে অতিবৃষ্টি চাষবাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি এক দিকে যেমন আলু চাষের ক্ষতি করছে সেই সঙ্গে বাদাম চাষের শুরুতেই এই বৃষ্টি ব্যাপক ক্ষতির মুখের ফেলে দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল পান ও ধান হলেও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভৌগোলিক বৈচিত্রের কারণে বিভিন্ন ব্লকে বিভিন্ন ধরনের চাষবাস হয়। যেমন শাকসবজি ও ফুল চাষের জন্য কোলাঘাট পাঁশকুড়া বিখ্যাত। তেমনইএগরা পটাশপুর ভগবানপুর তৈলবীজ চাষের জন্য উপযোগী।

এগরা পটাশপুর ভগবানপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়। কিন্তু অসময়ের অতি বৃষ্টি বাদাম চাষকে নষ্ট করেছে।অতি বর্ষণের ফলে চাষের শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত হল বাদাম । একটানা এই বৃষ্টিতে বাদাম বীজ লাগানো জমিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে জল। আর সদ্য গজিয়ে ওঠা বাদামচারাগুলিতে জল জমেছে। এগরা, পটাশপুর ও ভগবানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাদামচাষ শুরু হওয়ার মুখেই ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা। এমনকী মাঠের বাদাম লাগানো জমিগুলিতে জমা জল সরাতে দেখা গিয়েছে চাষিদের।

আরও পড়ুন :এবার পানপাতা রাখা যাবে ৩ মাস, পান প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতিতে বিশাল লাভ, জানুন কীভাবে

গত বছর বাদাম চাষের শেষে এই বৃষ্টির কারণে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। আবার এ বছর চাষের শুরুতেই অকাল বর্ষণে বাদাম বীজ নষ্ট হতে বসেছে। হাতে আর নতুন করে বাদাম লাগানোর সময়ও নেই।বাদাম চাষিদের অভিযোগ দিনের পর দিন অবৈধভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয়। ফলে অল্প বৃষ্টিতে জল জমা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন একটানা বৃষ্টি হওয়ায় বাদাম চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যায়।

হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি প্রভাব ফেলেছে চাষবাসে। বাদাম চাষের জমিতে ইতিমধ্যেই জমেছে জল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পচতে শুরু করেছে বাদাম গাছ। এরপর যদি আরও বৃষ্টি হয় এবার বাদাম চাষ পুরোপুরি নষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন বাদাম চাষিরা।

সৈকত শী

East Medinipur News: ওভারটেক করতে গিয়ে পাল্টি খেল বাস, জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত একাধিক!

পূর্ব মেদিনীপুর, তমলুক : অফিস টাইমে ভয়াবহ দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কে। যাত্রী বোঝাই বাস উল্টে গেল। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে একাধিক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সাধারণ যাত্রী। সপ্তাহ শুরুর সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল তমলুক। তমলুক থানার অন্তর্গত কাকগেছিয়ার কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত গতিতে থাকা একটি যাত্রী বোঝাই বাস জাতীয় সড়কের ওপরে উল্টে যায়। বাসটিতে বহু স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা সহ সাধারণ যাত্রী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হলদিয়া মেছাদা জাতীয় সড়কে হলদিয়া মেচেদা রুটেরই একটি বাস অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মেচেদার দিক থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়েই বিপত্তি হয়, এমনিতেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল, আর তার ওপর বাসটি দ্রুত গতিতে থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের ওপরই উল্টে যায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন বাসটির গতি অত্যন্ত দ্রুত থাকার কারণে উল্টে যাওয়ার পরেও প্রায় দুশো মিটার এগিয়ে যায়।

আরও পড়ুন : ভিক্ষা থেকে সফল ব্যবসায়ী! সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে জয়দেব মুনিয়ার গল্প

অফিস টাইমের জন্য বাসটিতে অফিস যাত্রীর পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও ছিলেন। বাসটি রাধামনি বাসস্ট্যান্ডের পর থেকেই দোল খেতে শুরু করেন বলে জানান বাসের ভেতরে থাকা আহত যাত্রীরা। তারা জানায় রাধামনি বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে আসার পর থেকেই বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল। অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায় আর বাসটি দুলতে থাকে। তারপর বাসটি উল্টে যায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অনেকেই। গুরুতর আহত বাস যাত্রীদের তাম্রলিপ্ত গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ এসে যাত্রীদের উদ্ধার করার পাশাপাশি রাস্তার ওপর থেকে উল্টে যাওয়া বাসটি সরিয়ে নিয়ে যান চলাচল সচল করে

প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক এমনকি গ্রামীণ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা কমাতে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। তা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও নিত্যযাত্রীরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এদিন তমলুক থানার অন্তর্গত কাকগেছিয়ার কাছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল ওই দুর্ঘটনা গ্রস্ত বাসটির যাত্রীরা।

সৈকত শী

১ বছর ১০ মাস বয়সেই গড়েছেন রেকর্ড, শিশুর প্রতিভা দেখলে চমকে যাবেন

আশ্চর্য প্রতিভাধর এক শিশু। মাত্র এক বছর ১০ মাস বয়সেই গড় গড়িয়ে বলতে পারে আবৃত্তি। তাও আবার একটা দুটো কবিতা নয়, ১৭ টি কবিতা তার মুখস্থ।

East Medinipur News: স্কুলের প্রাক্তনীরা বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের ইচ্ছে পূরণ করল! অনুদানে তৈরি হল স্কুলের তোরণ

 পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : বর্তমান স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের বহুদিনের ইচ্ছে পূরণ হল। তাদের এই বহুদিনের ইচ্ছে পূরণ করল ওই স্কুলের প্রাক্তনীরা।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকেরমথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পানিয়া সারদাবাড় রামকৃষ্ণ শিক্ষা সদন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়। এই বিদ‍্যালয় ১৯৩৯ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রসন্ন কুমার ত্রিপাঠির প্রচেষ্টায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়। এই স্কুলের বর্তমান বয়স ৮৫ বছর পার করেছে। বহু গুণী ও কৃতি ছাত্র ছাত্রী এ স্কুল থেকেই পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

স্কুলের সেই প্রাক্তনীরা স্কুলকেই কিছু ফিরিয়ে দিল। আর তাতে খুশি বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ ছাত্রছাত্রীরা। পানিয়া সারদাবাড় রামকৃষ্ণ শিক্ষা সদন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে ৮৫ বছর পরেও প্রাচীন এই স্কুলের ছিল না কোনওগেট বা তোরণ। তাই স্বাভাবিক ভাবেই স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের দির্ঘদিনের দাবি ছিল স্কুলের মূল গেট বা তোরণ তৈরি হোক। স্কুল শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন সরকারি ফান্ডের আশায় বসে ছিলেন।

আরও পড়ুন : ছোটবেলার শখকেই রোজগারের পথ! আয়ের নতুন দিশা দেখাচ্ছেন কলেজ পড়ুয়া

কিন্তু দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরও স্কুলের তোরণ বা মূল গেট তৈরির ফান্ড মিল ছিল না। আর তারপরেই এগিয়ে আসেন ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তায় তৈরি হয় স্কুলের মূল গেট।বর্তমান ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের ইচ্ছা পূরণে ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা স্কুলকে দান করেন।

দীর্ঘদিনের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সেই টাকা থেকেই তৈরি করে মূল গেট। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের এই কাজে খুশি বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক শিক্ষিকারা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

স্কুলের প্রাক্তনীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হল ওই স্কুলের। ফলে খুশির হাওয়া স্কুল চত্বরে।

সৈকত শী

Bank: বিশাল অঙ্কের আর্থিক জালিয়াতি! গরিব-খেটে খাওয়া মানুষেরা টাকা রেখে সর্বস্বান্ত! মেদিনীপুর তোলপাড় 

হেঁড়িয়া: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টাকা রেখেও রাতের ঘুম উড়েছে বহু গ্রাহকের। ফিঙ্গার প্রিন্ট জালিয়াতির কারণে ব্যাঙ্কের টাকা জমা রেখেও শান্তি নেই! লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা। আর তাতেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের খাতা খুলেও সর্বস্বান্ত হলেন গ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মানুষ।

রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাঙ্কের হেঁড়িয়া শাখার গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে কয়েক লক্ষ টাকার জালিয়াতির অভিযোগ। জালিয়াতি ধরা পড়তেই অভিযুক্তকে ঘিরে ধরে গ্রাহকরা। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শতাধিক গ্রাহকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট জালিয়াতি করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের অপারেটরের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ খালি পেটে রোজ চিবিয়ে খান শুধু দুটো তুলসী পাতা, শরীরে যা ঘটবে…! জানলে একদিনও মিস করবেন না

কেউ ভ্যান চালক, কেউ দিনমজুর, কেউ আবার সাধারণ গৃহবধূ। প্রত্যেকেরই রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাঙ্কের হেঁড়িয়া শাখায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বেশিরভাগই আর্থিক লেনদেন করেন ওই শাখার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রেই জালিয়াতি ঘটনা। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের অপারেটর দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতারিত করে চলেছে। প্রাথমিকভাবে কেউ বুঝতে না পারলেও। সম্প্রতি এক গ্রাহকের টাকা ফিঙ্গার প্রিন্ট জালিয়াতি করে তুলে নেয় ওই অপারেটর। তারপরে এই ঘটনা সামনে আসে।

আরও পড়ুনঃ ভারী বৃষ্টির দোসর ঝড়-ভয়ঙ্কর বজ্রপাত, ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার তাণ্ডব, হলুদ সতর্কতা জারি আলিপুরের

জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে টাকা জমা দিতে এলে কখনও সার্ভার ডাউন বা কখনও ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না বলে দফায় দফায় গ্রাহকদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নেওয়া হত। পরে দেখা যায় বহু গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় দফায় টাকা তোলা হয়েছে। আবার কোনও কোনও গ্রাহক ওই সিএসপি সেন্টারে অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা জমা করলেও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত না সেইসব টাকা। গ্রাহকেরা সিএসপি অপারেটরকে জালিয়াতির কথা জিজ্ঞেস করলে তা অস্বীকার করে। এরপরই পুলিশে দ্বারস্থ হলে উপযুক্তকে আটক করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রায় শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট জালিয়াতি করে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে।

কারও ৪৫ হাজার, কারও ৫০ হাজার কারও আবার ১০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার জালিয়াতির ঘটনা সামনে এল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাঙ্কের হেঁড়িয়া শাখার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে। জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতেই অভিযুক্তকে ঘিরে ধরে গ্রাহকেরা। অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ নামে ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের অপারেটরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

সৈকত শী

East Medinipur News: নন্দীগ্রামে রেল যোগাযোগ! দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে চলবে ট্রেন 

নন্দীগ্রাম : দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম রেল লাইনের কাজ দ্রুতই শুরু হচ্ছে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকেই নন্দীগ্রামের রেললাইন আবারও চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।নন্দীগ্রামের রেল লাইন দ্রুত চালু করার জন্য পরিদর্শনে আসেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল শাখার জেনারেল ম্যানেজার। তখন থেকেই লাইন নির্মাণের কাজের জন্য ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও রেললাইন পাতার কাজ থমকে থাকে। রেললাইন পাতার কাজের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মাটি। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ মাটি না পাওয়ায় কাজ থমকে দাঁড়ায়। চলতি সপ্তাহে আবারও দক্ষিণ পূর্ব রেল শাখারজেনারেল ম্যানেজার দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম রেল লাইনের কাজ তদারকিতে আসেন। জানান রেল লাইন নির্মাণ এর প্রাথমিক কাজ দ্রুতই শুরু হবে।

২০০৯ সাল থেকে আটকে থাকা স্বপ্নকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন রেল আধিকারিকেরা। দক্ষিণ পূর্ব রেল শাখার তমলুক-দিঘা লাইনের দেশপ্রাণ স্টেশন থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ১৮.৫ কিলোমিটার নতুন লাইন পাতার প্রাথমিক ধাপ লাইনে মাটি ফেলার কাজ দ্রুতই শুরু হবে। সম্প্রতি দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম রেল লাইন নির্মাণ কাজ তদারকিতে আসেন দক্ষিণ পূর্ব রেল শাখার জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্রা। তিনি দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ঘুরে দেখেন এবং লাইন পাতার কাজে বাধা দূর করতে স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন।

আরও পড়ুন : দিঘাকে আকর্ষণীয় করতে চমকের পর চমক! একবার জানলে দিঘা যাওয়ার জন্য মুখিয়ে উঠবেন

মূলত মাটির সমস্যার কারণে রেললাইন পাতার প্রাথমিক কাজ আটকে রয়েছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেল শাখার জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্রা জানান, ‘ দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ১৮.৫ কিলোমিটার রেললাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদারী সংস্থা কাজ করছে। কাজ করতে গিয়ে মাটির সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে মাটির সমস্যা ১০-১৫ দিনের মধ্যে মিটে যাবে। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে নন্দীগ্রামের মধ্যে।’

রেল লাইন নিয়ে নন্দীগ্রামের মানুষ স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল ২০০৯ সালে। তৎকালীন ভারতীয় রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত নতুন রেললাইন প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতই সেই সময় জমি অধিগ্রহণ এর পাশাপাশি গড়ে ওঠে নন্দীগ্রাম রেল স্টেশন। কিন্তু তারপর হঠাৎই এই প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। নন্দীগ্রামবাসীর স্বপ্ন অধরা থেকে যায়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আবারও প্রায় দেড় দশক পর নন্দীগ্রামবাসীর রেললাইন নিয়ে সেই অধরা স্বপ্ন নতুন করে দেখতে শুরু করেছে।

সৈকত শী