উত্তর ২৪ পরগণা: ডেঙ্গি থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসকের সতর্কতা মেনে চলুন। ডেঙ্গি রোগটি ভাইরাসজনিত। সাধারণত, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ থাকে। এডিস নামক মশার কামড়ে ডেঙ্গি জ্বর হয়। ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনও ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ে।
মূলত জুন থেকে সেপ্টেম্বর, বর্ষার সময়টাতেই ডেঙ্গি জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। ডেঙ্গি এড়াতে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে, জানালেন বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ অনুপম ভট্টাচার্য।
সাধারণত শহর অঞ্চলে অভিজাত এলাকায়, বড় বড় দালান কোঠায় এই মশার প্রাদুর্ভাব বেশি, তাই ডেঙ্গি জ্বরও এই এলাকার বাসিন্দাদের বেশি হয়। গ্রামে বসবাসরত লোকজনের ডেঙ্গি তুলনামূলক কম হয়। বাড়ির আশপাশ থেকে শুরু করে পলিথিন, প্লাস্টিক, ডাবের খোলা, ফাঁকা টবে যেন জল জমে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার আবশ্যক। ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে বাড়ি না হাসপাতালে থাকবেন—নির্ভর করে উপসর্গের ধরনের উপর।
যদি শুধু জ্বর হয়, তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তেমন প্রয়োজন হয় না। বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়াই যথেষ্ট। কিছু লক্ষণ, যেমন পেটে ব্যথা, বমি হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ভাল। পাশাপাশি যদি ডায়াবেটিক, অন্তঃসত্ত্বা, কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। ডেঙ্গি পরবর্তী সময়ে রোগীর ভিটামিন, প্রোবায়োটিক, শাক-সবজি, ফল, মাছ ও সহজপাচ্য যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
জুলফিকার মোল্যা