Tag Archives: Dengue

Delhi Dengue News: বৃষ্টি থামতেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, এক সপ্তাহেই রোগের শিকার তিনশো!

দিল্লি : বৃষ্টি থামতেই ডেঙ্গুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহে দিল্লিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে 300-এরও বেশি মানুষ৷ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের এই পরিসংখ্যানগুলিও ভয়ের কারণ, এত কম সময় এত বেশি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা গতবারও হয়নি৷ শুধু ডেঙ্গু নয়, মশার কামড়ে সৃষ্ট ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার ঘটনাও গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি।

আরও পড়ুন : স্কুলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক, ১৭ জন পড়ুয়াকে টিসি! জানতেই পারল না প্রিন্সিপাল

দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের রিপোর্টে নিশ্চিত করেছে যে এক সপ্তাহের মধ্যে ৩০০ টিরও বেশি ডেঙ্গু রোগীর রিপোর্ট করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দিল্লিতে ডেঙ্গু রোগীর মোট সংখ্যা ১২২৯।  এই মাস অবধি, দিল্লিতে ম্যালেরিয়ার ৩৬৩টি মামলাও রিপোর্ট করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালে একই সময়ে রিপোর্ট করা (২৯৪টি) মামলার চেয়ে অনেকটাই বেশি।

আরও পড়ুন : দুর্গাবতী নদীতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ৩৭ শিশুসহ জলে ডুবে মৃত্যু ৪৩, নিখোঁজ বহু

এখনও পর্যন্ত, ডেঙ্গুর কারণে দিল্লিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন রোগী দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালে এবং অন্যজন সফদরজং হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। এই দুটি হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল দ্বারা দিল্লির ৩৫টি হাসপাতালের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া রোগীদেরই চিকিৎসা করবে না, তারা রোগ এবং এর প্রবণতা সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করবে। দিল্লির এই হাসপাতালের মধ্যে রয়েছে সফদরজং হাসপাতাল, রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, এলএনজেপি, জিটিবি, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, মহর্ষি বাল্মীকি, দীনদয়াল উপাধ্যায়, সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজ, আর্মি হাসপাতাল, বাবু জগজীবন রাম মেমোরিয়াল, কস্তুরবা হাসপাতাল, দীপচাঁদ। বন্ধু, কালাবতী সরণ, জিবি পান্ত, জগ প্রবেশ চন্দ ইত্যাদি হাসপাতালগুলি অন্তর্ভুক্ত। রোগীরা এসব হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন।

West Medinipur News: ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত! কী উদ্যোগ নিলেন পিংলার পট শিল্পীরা? জানলে অবাক হবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: জেলায় জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

বিভিন্ন জায়গায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের পাশাপাশি এবার ডেঙ্গু সচেতনতায় পটে ছবি এঁকে, গান বাঁধলেন পিংলার পটশিল্পীরা।

আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুনের হুমকি! বেঙ্গালুরুতে রাস্তার উপরেই মহিলার উপরে চড়াও অটোযাত্রী

ডেঙ্গু বিষয় সম্পর্কে গান গেয়ে পটে ছবির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন শিল্পীরা। অন্যান্য পটের পাশাপাশি সচেতনতামূলক এই ডেঙ্গু পটের প্রশংসা করেছেন সকলে।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধস, মৃত ২ জন মহিলা, আহত শিশু-সহ আরও তিনজন

বর্ষাকাল এলেই দিকে দিকে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ডেঙ্গু। অন্যান্য বছরের মত এ বছরও ডেঙ্গুর গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। চলতি মরশুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনের আধিকারিকদের। বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতার একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। কোথাও দেওয়া হচ্ছে মশা বিনাশের স্প্রে, কোথাও আবার জমা জলে গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে।

তবে এবার অন্যান্য ছবির পাশাপাশি ডেঙ্গু সচেতনতায় পটে ছবি আঁকলেন পটশিল্পীরা। শুধু ছবি আঁকা নয় ছবি আঁকার পাশাপাশি সচেতনতামূলক গানও লিখলেন তারা।

প্রসঙ্গত, পিংলার ‘নয়া গ্রাম’ বিখ্যাত পট শিল্পের জন্য। এখানে অধিকাংশ পরিবার পট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এলাকার পটশিল্পী বাহাদুর চিত্রকর এবং অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে এই বিশেষ সচেতনতামূলক পট তৈরি করেছেন।

গ্রামে-গ্রামে গিয়ে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেবেন তাঁরা। বেশ কয়েক দিনের চেষ্টায় ফুটিয়ে তুলেছেন এই সচেতনতামূলক পট। পটশিল্পীদের এই অভিনব ভাবনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

পটে আঁকা ছবি এবং গানের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা। কোথাও জল জমতে না দেওয়া, কোথাও আবার মশারির মধ্যে ঘুমোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গানের মধ্য দিয়ে। স্বাভাবিকভাবে শিল্পীদের এই অভিনব চিন্তাভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Dengue Death: ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হল না!’ এবার ডেঙ্গিতে মৃত কিশোরের মৃত্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের

কলকাতা: দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর দাস ভিলা এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর এগারোর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সৃজন সাহার। পরিবারের দাবি, ছেলের জ্বর হয় বেশ কিছুদিন ধরে৷ বৃহস্পতিবার রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপরেই শুক্রবার সকালেই দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রকে।

পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে কোনওরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি। উল্টে তারা পরিষেবা দিতে পারবেন না বলে অন্যত্র ছাত্রকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপরেই ওইদিন মৃত্যু ছাত্রের পরিবার তাদের সন্তানকে নিয়ে বেলঘাটা আই ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-      বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

তাদের আরও অভিযোগ, আইডি-তে সামান্য স্যালাইন টুকু দেওয়া হয়নি। আই ডি-তে থাকাকালীন প্লেটলেট দেড় লক্ষ থেকে ৪০ হাজার নেমে যায়। ওইদিন ভোর রাতে সন্তানের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। এরপরে শনিবার সকালে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সৃজনকে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যু হয়৷ সৃজনের মাসির অভিযোগ, অন্দোলনের জেড়ে পরিষেবা তারা পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকে তারাও সমর্থন করেন। কিন্তু তাদের মত অসহায় মানুষদের দিকে তাকানো উচিৎ। এই অন্দোলনের জেড়ে পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু হয় তাদের সন্তানের। তার দাবি, মুমূর্ষু রোগীদের পরিষেবা দেওয়া উচিৎ। সৃজনের মায়ের দাবি, দক্ষিণ দমদম পুরসভার পৌর হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা মেলেনি। তার সাথে আই ডি-তে পরিষেবা না মেলায় তিনি সন্তান হারা হলেন।

আরও পড়ুন-       বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে কোনও রোগীর সঠিক পরিষেবা পাওয়া যায় না। তাদের পরিষেবা নিয়ে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতাল। জুন মাসেও হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালেও কোনওরকম পরিষেবা দেওয়া হয়নি। দু’বার করে তারা পৌর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের জানায় তারা পরিষেবা দিতে পারবে না। তাদের পরিকাঠামো নেই।

Alipurduar News: হু হু করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ‍্যা বাড়ছে এই জেলায়! আক্রান্ত প্রায় ৩০০…

আলিপুরদুয়ার: জেলায় নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি।সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩৯ জন। ডেঙ্গির আক্রমণ লাফিয়ে বেড়ে চলায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

আলিপুরদুয়ার জেলায় বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৬১। এই সংখ্যা ৩০০-র ঘরে যেতে বেশি সময় লাগবে না বলে আশঙ্কা। সবথেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে কালচিনি ব্লকে বর্তমানে কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪ জন। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৫০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে গতবছরের তুলনায় এবছরের ছবিটা ভয়াবহ। এবছর বর্ষা আসার পূর্বেই ডেঙ্গি ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছিল আলিপুরদুয়ার জেলায়। বিশেষ করে জেলার মধ্যে কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

আরও পড়ুন: চুরি যাচ্ছিল একের পর এক মোটরবাইক, পুলিশি অভিযানে বড় চক্রের হদিস

বর্তমানে জেলাজুড়ে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে আর তীব্র গরম রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান,  এই পরিবেশ ডেঙ্গি বিস্তারের পক্ষে অনুকূল।ডেঙ্গি যাতে বিস্তার লাভ করতে না পারে তার জন্য ইতিমধ্যে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের থেকে রক্তের নমুনা সংগ্ৰহ করা হচ্ছে, এছাড়া সচেতনতা চালানো হচ্ছে।

Dengue Symptoms: ডেঙ্গিতে ৫ দিনেও জ্বর না কমলে মৃত্যু পর্যন্ত সম্ভব! কীভাবে বাঁচবেন-কী করবেন? রইল ডাক্তারের পরামর্শ

এডিস মশা থেকে ছড়ায় মারণরোগ ডেঙ্গি, এটা প্রায় সকলেরই জানা। চিকিৎসকদের মতে ডেঙ্গির ৭০ শতাংশ সংক্রমণ ধরাই যায় না। বাকি ৩০ শতাংশ রোগীর জ্বর হয় এবং ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে যেতে পারে।
এডিস মশা থেকে ছড়ায় মারণরোগ ডেঙ্গি, এটা প্রায় সকলেরই জানা। চিকিৎসকদের মতে ডেঙ্গির ৭০ শতাংশ সংক্রমণ ধরাই যায় না। বাকি ৩০ শতাংশ রোগীর জ্বর হয় এবং ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে যেতে পারে।
ডেঙ্গির উপসর্গ নাও লক্ষণীয় হতে পারে। যাদের উপসর্গ দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির দু'টি পর্যায় লক্ষ্য করা যায়। একটি হল জ্বরের পর্যায় এবং অপরটি হল গুরুতর পর্যায়।
ডেঙ্গির উপসর্গ নাও লক্ষণীয় হতে পারে। যাদের উপসর্গ দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির দু’টি পর্যায় লক্ষ্য করা যায়। একটি হল জ্বরের পর্যায় এবং অপরটি হল গুরুতর পর্যায়।
এসব ক্ষেত্রে জ্বরের পাঁচদিন এর মধ্যে এন এস ওয়ান "এন্টিবডি ডিটেক্ট" করা হয়। আবার পাঁচদিন পরে হলে আই জি এম "এন্টিবডি ডিটেক্ট" করা হয়। ডেঙ্গি হওয়ার পর পাঁচদিন পর জ্বর কমে গেলেও আশঙ্কা থেকে যায়।
এসব ক্ষেত্রে জ্বরের পাঁচদিন এর মধ্যে এন এস ওয়ান “এন্টিবডি ডিটেক্ট” করা হয়। আবার পাঁচদিন পরে হলে আই জি এম “এন্টিবডি ডিটেক্ট” করা হয়। ডেঙ্গি হওয়ার পর পাঁচদিন পর জ্বর কমে গেলেও আশঙ্কা থেকে যায়।
যদি রোগ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেলে যে সমস্যাগুলি হবে, সেগুলি হল রক্তচাপ কমে যাওয়া, প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং রক্তক্ষরণ। গুরুতর পর্যায়ে মৃত্যুর আশঙ্কা সব থেকে বেশি।
যদি রোগ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেলে যে সমস্যাগুলি হবে, সেগুলি হল রক্তচাপ কমে যাওয়া, প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং রক্তক্ষরণ। গুরুতর পর্যায়ে মৃত্যুর আশঙ্কা সব থেকে বেশি।
তাহলে কী করে বুঝবেন যে আপনার দেহে মারণ ডেঙ্গি বাসা বেঁধেছে। কী করতে হবে?
তাহলে কী করে বুঝবেন যে আপনার দেহে মারণ ডেঙ্গি বাসা বেঁধেছে। কী করতে হবে?
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডঃ শ্যামল কুণ্ডু একদম সহজ করে বলে দিলেন মোক্ষম উপসর্গগুলি।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডঃ শ্যামল কুণ্ডু একদম সহজ করে বলে দিলেন মোক্ষম উপসর্গগুলি।
উপসর্গগুলি হল ভীষণ জ্বর, জ্বর না থাকলেও মাথা যন্ত্রণা, বমি হওয়া, পেটে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তচাপ কমে যাওয়া। এই উপসর্গগুলি দেখলেই ভরতি হতে হবে হাসপাতালে।
উপসর্গগুলি হল ভীষণ জ্বর, জ্বর না থাকলেও মাথা যন্ত্রণা, বমি হওয়া, পেটে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তচাপ কমে যাওয়া। এই উপসর্গগুলি দেখলেই ভরতি হতে হবে হাসপাতালে।
এবার তাহলে ভাবছেন যে ডেঙ্গির জ্বর হলে কী করবেন তাই তো? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানালেন, ডেঙ্গির জ্বরের একমাত্র ওষুধ হল প্যারাসিটামল এবং রোগীকে দিনে তিন থেকে চার লিটার জল পান করতে হবে।
এবার তাহলে ভাবছেন যে ডেঙ্গির জ্বর হলে কী করবেন তাই তো? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানালেন, ডেঙ্গির জ্বরের একমাত্র ওষুধ হল প্যারাসিটামল এবং রোগীকে দিনে তিন থেকে চার লিটার জল পান করতে হবে।
ডেঙ্গির জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনও প্রয়োজন নেই। যদি ডেঙ্গির জ্বর ক্রিটিকাল পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখনই ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া যেতে পারে। তার আগে প্রাথমিক ভাবে প্যারাসিটামল এবং পানীয় জল ছাড়া আর কোনও ওষুধ নেই।
ডেঙ্গির জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনও প্রয়োজন নেই। যদি ডেঙ্গির জ্বর ক্রিটিকাল পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখনই ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া যেতে পারে। তার আগে প্রাথমিক ভাবে প্যারাসিটামল এবং পানীয় জল ছাড়া আর কোনও ওষুধ নেই।
ডেঙ্গির রোগী যদি খেতে পারেন তাহলে ঘরের যে কোনও খাবার খাওয়া যাবে। এরকম অবস্থায় শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হয় তাই তরল খাবার হলে রোগীর খেতে সুবিধা হবে। (নীলাঞ্জন ব্যানার্জী)
ডেঙ্গির রোগী যদি খেতে পারেন তাহলে ঘরের যে কোনও খাবার খাওয়া যাবে। এরকম অবস্থায় শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হয় তাই তরল খাবার হলে রোগীর খেতে সুবিধা হবে। (নীলাঞ্জন ব্যানার্জী)

Viral Fever: চারিদিকে ভাইরাল জ্বরের প্রাদুর্ভাব, কীভাবে সুস্থ থাকবেন? জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

কলকাতা: ম্যালেরিয়া এবং ভাইরাল জ্বরের প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অংশে। বর্ষার আগমনে এই জলবাহিত রোগগুলি ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালের শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ। বরেলি জেলায় গত ১৫ দিনে ৫ হাজারের বেশি রোগী জ্বরে ভুগছেন। যার কারণে হার্ট ওয়ার্ডে ১০টি বেডের একটি ফিভার ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া জেলা হাসপাতালে ফিভার হেল্পিং ডেস্কও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালেরিয়ার মতো ভয়ঙ্কর রোগ। অনেক মানুষই এর শিকার হচ্ছেন। ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত মানুষ ক্রমাগত হাসপাতালে পৌঁছাচ্ছেন। গত ১৫ দিনে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে জায়গা নেই। এই সমস্যা মোকাবেলায় হার্ট ওয়ার্ডে ১০ শয্যার একটি ফিভার ওয়ার্ড করা হয়েছে। যেখানে আগত রোগীদের পরীক্ষা করা হবে। জ্বর ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তদের রিপোর্ট প্রকাশ করতে গিয়ে জেলা হাসপাতাল জানিয়েছে, গত ১৫ দিনে ৫ হাজারের বেশি রোগী জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়ার সঙ্গে যা করত দুই তরুণ! ফাঁস হল অপকর্ম! দু’জনকে খুঁজছে পুলিশ

জ্বর, বমি বা জয়েন্টে ব্যথা নেই তো?

প্রবীণ চিকিৎসক ডা. বাগীশ লোকাল 18-কে জানিয়েছেন যে, টানা বৃষ্টি বা তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বা জলাবদ্ধতার কারণে ম্যালেরিয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাড়ির আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না, কারণ জল জমে থাকলে মশা বংশবিস্তার করবে। কোনও ব্যক্তির জ্বর, বমি ও জয়েন্টে ব্যথা হলে তাকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া রোগীদের স্বাভাবিক ম্যালেরিয়া থাকলে বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে পারেন বলে জানান তিনি। কিন্তু, পরিস্থিতি আরও গুরুতর হলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত।

আরও পড়ুন: পাঁচতারা হোটেলে গোপন বৈঠক, হাতে CCTV ফুটেজ! নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিল না পুলিশ

হাসপাতালে ফিভার হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে

জেলায় ম্যালেরিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোগীরা জেলা হাসপাতালের ওপিডিতে ও বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন পরীক্ষার জন্য। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ড ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যার কারণে হার্ট ওয়ার্ডে ১০টি বেডের ফিভার ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। জেলা হাসপাতালে এই পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি জ্বর ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে। এর জন্য হাসপাতালে একটি ফিভার হেল্প ডেস্কও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Dengue Prevention: এই জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোমর বেঁধে নামল প্রশাসন

মালদহ: বর্ষাকাল শুরু হতেই জেলায় তরতরিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মশা সহ অন্যান্য পতঙ্গবাহিত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিল প্রশাসন। মালদহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।

চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় ব্যাপক হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তিন শতাধিক ছাড়িয়েছে। আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। শুধুমাত্র শহরে নয়, এই বছর মালদহ জেলার গ্রামীণ এলাকাতেও ব্যাপক হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই শহরের পাশাপাশি এই বছর গ্রামীণ এলাকাতেও ডেঙ্গি সচেতনতায় একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে পতঙ্গ বাহিত রোগ সম্বন্ধে সচেতন করছেন।

আরও পড়ুন: রাতের রাস্তায় মেয়েদের সাহস জোগাবে পুলিশের শক্তি বাহিনী

প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে ভিসিটি কর্মী গীতা ঘোষ বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও যেন জল না জমে থাকে এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি কীটনাশক ছাড়ানো হচ্ছে। পতঙ্গ বাহিত রোগ নিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।

মালদহের গাজোল ব্লকেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে একাধিক কর্মসূচি চলছে। ভিসিটি কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ডেঙ্গি থেকে কীভাবে বাঁচা যায় সেই বিষয় নিয়ে সচেতন করছেন গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি যে সমস্ত জায়গায় জল জমে রয়েছে বা নোংরা আবর্জনা রয়েছে সেই জায়গাগুলিতে চলছে মশার লার্ভা নিধনকারী স্প্রে করার কাজ। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা রামপদ মহন্ত বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা আমাদের ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করে গিয়েছেন। কোথাও যেন জল না জমে থাকে, আবর্জনা যেন জমে না থাকে তা প‌ইপই করে বুঝিয়ে গিয়েছেন।

হরষিত সিংহ

Night Garbage Cleaning: ডেঙ্গি ঠেকাতে এবার রাতেও জঞ্জাল সাফাই

মুর্শিদাবাদ: বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আর তাতেই নড়ে চড়ে বসল প্রশাসন। ঠিক হয়েছে, এবার থেকে শুধু দিনেরবেলা নয়, নৈশকালীন সাফাই অভিযান হবে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দিতে।

কান্দি পুরসভার উদ্যোগে কান্দি বাসস্ট্যান্ডে এই নৈশ কালীন সাফাই অভিযানের শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার, পুরপ্রধান জয়দেব ঘটক ও কান্দি থানার আইসি মৃণাল সিনহা।

আর‌ও পড়ুন: শিশু ও মহিলাদের সচেতনতায় বিশেষ শিবির হাওড়ার স্কুলে স্কুলে

রাত হলেই কান্দি বাসট্যান্ড চত্বরে জঞ্জালে ঢাকছে শহর। চারিদিকে দুর্গন্ধ। এইদিন পুরসভার সাফাই অভিযানে শহর কিছুটা জঞ্জালমুক্ত হয়। ওই অভিযানে সরকারী কর্মীরা যোগদান করেন। কান্দি শহরের ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি জায়গাকে এই নৈশকালীন সাফাই অভিযানের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সমস্ত এলাকায় সাফাই অভিযান ও নোংরা আবর্জনা পরিস্কার করা হবে। ফলে ডেঙ্গি সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া-সহ পতঙ্গবাহিত অন্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বহু মানুষ। ফলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই নৈশ কালীন সাফাই অভিযান করা হবে। এতদিন সকালে মিলত এই পরিষেবা। তবে এবার রাতেও পরিষেবা চালু হাওয়া সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুরবাসীরা।

কৌশিক অধিকারী

Viral Fever: শরীর দুর্বল, কাঁপুনি, হাত-পায়ে ব্যথা, কী হয়েছে? সাধারণ জ্বর ভেবে ছাড় দেবেন না, পরিণতি ভয়াবহ

রাজ্য জুড়ে বর্ষার প্রকোপ | ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই রয়েছে | কিন্তু এর মধ্যে সাধারণ জ্বর, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি নির্বাচন করা মুশকিল হয়ে পড়ে | যার জেরে সঠিক সময় চিকিৎসা হয় না৷ (রাকেশ মাইতি)
রাজ্য জুড়ে বর্ষার প্রকোপ | ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই রয়েছে | কিন্তু এর মধ্যে সাধারণ জ্বর, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি নির্বাচন করা মুশকিল হয়ে পড়ে | যার জেরে সঠিক সময় চিকিৎসা হয় না৷ (রাকেশ মাইতি)
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জ্বরের আসল রূপ বোঝা | কারণ এইসময় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মত মশাবাহিত রোগগুলির প্রবণতাও বেশি থাকে | আবার জ্বরটি নেহাতই সাধারণ ভাইরাল জ্বরও হতে পারে | জেনে নিন চিকিৎসক বিপ্লব মণ্ডলের কাছ থেকে কীভাবে সাধারণ জ্বর এবং ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মধ্যে পার্থক্য বুঝবেন |
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জ্বরের আসল রূপ বোঝা | কারণ এইসময় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মত মশাবাহিত রোগগুলির প্রবণতাও বেশি থাকে | আবার জ্বরটি নেহাতই সাধারণ ভাইরাল জ্বরও হতে পারে | জেনে নিন চিকিৎসক বিপ্লব মণ্ডলের কাছ থেকে কীভাবে সাধারণ জ্বর এবং ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মধ্যে পার্থক্য বুঝবেন |
রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ| এর মধ্যে যদি ২ থেকে ৭ দিন টানা জ্বর গা, হাত, পা এবং মাথা ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে। এমনকি ডেঙ্গিতে ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যায়৷ ম্যালেরিয়ার জ্বরে তাপমাত্রা খুব বেড়ে যায় | সঙ্গে ঠাণ্ডা লাগা | ঘাম হওয়া এমনকি খুব কাঁপুনিও হয় | যে কাঁপুনি ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা স্থায়ী হয় | সঙ্গে দোসর মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেশিতে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব | এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ| এর মধ্যে যদি ২ থেকে ৭ দিন টানা জ্বর গা, হাত, পা এবং মাথা ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে। এমনকি ডেঙ্গিতে ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যায়৷ ম্যালেরিয়ার জ্বরে তাপমাত্রা খুব বেড়ে যায় | সঙ্গে ঠাণ্ডা লাগা | ঘাম হওয়া এমনকি খুব কাঁপুনিও হয় | যে কাঁপুনি ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা স্থায়ী হয় | সঙ্গে দোসর মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেশিতে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব | এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণ জ্বর বছরের যে কোনও সময় হতে পারে | তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই রোগ বেশি হতে দেখা যায় | এছাড়া বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে প্রায়শ জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকে |
সাধারণ জ্বর বছরের যে কোনও সময় হতে পারে | তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই রোগ বেশি হতে দেখা যায় | এছাড়া বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে প্রায়শ জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকে |
*সাধারণ জ্বরের লক্ষণগুলো হল:* সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে সর্দি, গলাব্যথা, শরীরে হালকা ব্যথা, দুর্বলতার মতো উপসর্গ থাকে| হঠাৎ জ্বর আসে এবং কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে | শরীর-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করে | জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশিও থাকে | মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে খিদে কমে যায় ও বমি বমি ভাব থাকে |
*সাধারণ জ্বরের লক্ষণগুলো হল:* সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে সর্দি, গলাব্যথা, শরীরে হালকা ব্যথা, দুর্বলতার মতো উপসর্গ থাকে| হঠাৎ জ্বর আসে এবং কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে | শরীর-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করে | জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশিও থাকে | মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে খিদে কমে যায় ও বমি বমি ভাব থাকে |

Dengue: ডেঙ্গিতে মৃত‍্যু জেলায়! লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ‍্যা, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুর:  ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ডেঙ্গি, মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। শুধু তাই নয়, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ পেরোতেই সেই গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। শুধু তাই নয় জেলায় এই প্রথম ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

ঘাটালের বাসিন্দার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার নির্দেশে বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কার গাফিলতি রয়েছে, খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শুধু তাই নয়, এলাকায় পাঠানো হয়েছে মেডিকেল টিম। সচেতন করা হয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের।

আরও পড়ুন: সন্দীপের কীর্তি ফাঁস! পড়ুয়াদের পাশ করানো থেকে হাসপাতালের জিনিসপত্র কেনা, লক্ষ লক্ষ টাকার কমিশন নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ

গত প্রায় দু সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়েবাড়ছে। গত জুলাই মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১% ছিল কিন্তু চলতি মাসের সেই গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয়ে ৭% ঠেকেছে। গত বছরের মত সমান হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে জেলায় ১২০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

রবিবার ঘাটালের সুলতানপুরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। প্রথমে ঘাটাল হাসপাতাল, পরে একাধিক হাসপাতাল এবং মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে তার মৃত্যু হয়। তড়িঘড়ি ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বারংবার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয় জেলা স্বাস্থ্য ভবনে বিভিন্ন ব্লকের অধিকর্তা, মেডিকেল অফিসারদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সৌম্য শংকর ষড়ঙ্গী।

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর, সিএমওএইচ এর নির্দেশে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির? কার গাফিলতিতেই বা মৃত্যু? তার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। এলাকার অন্যান্য ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসা বিষয়ে বিশেষ নজরদারি যারে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় রয়েছে মেডিকেল টিম।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়! তদন্তে ‘অনাস্থা’, বিস্ফোরক দাবি নিহত চিকিত্‍সকের বাবা-মা, আইনজীবীর

স্বাভাবিকভাবে বর্তমানে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। বেশকিছু জায়গায় মানুষের অসাবধানতার কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে ডেঙ্গি পরিস্থিতির উপর বাড়তি নজরদারি রেখেছে জেলা স্বাস্থ্য ভবন।

রঞ্জন চন্দ