'সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে...বিচার দেবে" আদালতকে ধন্যবাদ নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

Calcutta High Court on RG Kar case: আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের! আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, হাই কোর্টের নজরদারিতে হবে সিবিআই তদন্ত।

আরজি কর মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসন কখনওই নিহত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষে ছিল না। সেই সঙ্গে আদালত আরও বলে, এই ঘটনা ব্যতিক্রমী।  এই মামলায় মৃতের পরিবারের মামলাকে মূল মামলা ধরে এগোনো হবে বলে মঙ্গলবার শুনানিতে জানায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে তিন সপ্তাহ পরে, সেই সঙ্গে আদালতের নজদারিতেই হবে শুনানি।

আরও পড়ুন: আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের বৈঠক শেষ, কী বললেন সিপি?

এদিন হাই কোর্ট আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও প্রশ্ন তোলে। সন্দীপ ঘোষ পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেওয়ার পরেও কেন স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হল না সেই নিয়েই প্রশ্ন তোলে আদালত। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের নির্দেশ, হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া অধ্যক্ষ পদে ফেরানো যাবে না সন্দীপ ঘোষকে, ছুটির আবেদনও মঞ্জুর করতে হবে সন্দীপ ঘোষের। অর্থাৎ এখনই ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে ফেরা হচ্ছে না সন্দীপ ঘোষের।

আরও পড়ুন: ছুটির আবেদন না করলেই অপসারণ! হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ শুনেই বড় পদক্ষেপ সন্দীপ ঘোষের

আদালতের মধ্যেই আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় কেস ডায়েরি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। তদন্ত সংক্রান্ত অন্যান্য নথি বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সিবিআইকে দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। সেই সঙ্গে আরও জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত নথি সিবিআই চাইলে দিতে হবে।

রাজ্য প্রধান বিচারপতির শুনানিতে জানায়, সমাজমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, সরকার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। মূল আভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। জনস্বার্থ মামলার আইনজীবী ফিরোজ ইদুলজী হাই কোর্টে কামদুনি প্রসঙ্গ টেনে বিনীত গোয়েলকে সারানোর দাবি করেন। তিনি বলেন, “কামদুনি মামলা যেভাবে সাজানো হয়েছিল। একই কায়দায় এই কেস সাজানোর চেষ্টা চলছে। বিনীত গোয়েল কামদুনির সময় ছিলেন আইজি সিআইডি। কামদুনির সময় নির্যাতিতার স্ট্রেচ মার্ক যেভাবে দেখানো হয়, একই কায়দায় আর জি কর কেস সাজাচ্ছে বিনীত গোয়েল।”