নবদ্বীপ রাধারমন সেবাশ্রমে নেতাজীর অবয়ব

Independence Day 2024: পড়েছিল নেতাজির পদধূলি, সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি অনুরণিত নবদ্বীপের রাধারমণ আশ্রমে

মৈনাক দেবনাথ, নবদ্বীপ: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি আজও তরতাজা নবদ্বীপের রাধারমণ সেবাশ্রম আশ্রমে। আমাদের দেশের স্বাধীনতা জন্য সংগ্রাম করা ভারতবর্ষের মহান বিপ্লবীদের কথা বা কাহিনি ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে যাঁর নাম সকলের প্রথমেই আসে ও যিনি সমগ্র দেশবাসীর হ্রদয়ে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে বিরাজ করেন, তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর স্মৃতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। তেমনই তাঁর স্মৃতি ছড়িয়ে আছে নদিয়ার নবদ্বীপ শহরেও।

নবদ্বীপ শহরের একাধিক জায়গায় রয়েছে তাঁর বহু স্মৃতি। তেমনই একটি মন্দির নবদ্বীপ শহরের বড়ালঘাট এলাকার রাধারমণ সেবাশ্রম। জানা যায়, শুরু থেকেই নবদ্বীপ শহরের এই আশ্রমটি মানবসেবায় ব্রতী ছিল৷ তৎকালীন সময়ে একটি হাসপাতালও তৈরি করিয়েছিলেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ৷ কথিত, সেই সময়ের এটি একমাত্র হাসপাতাল ছিল নবদ্বীপ শহরে। ঈশ্বরের আরাধনার পাশাপাশি জীবন্ত মানুষের তথা জনসেবাই ছিল এই আশ্রমের প্রধান ব্রত।

আরও পড়ুন : এই বাড়িতেই কাটত সুভাষচন্দ্র বসুর শারদো‍ৎসব, ইতিহাসের আকর নেতাজির পৈতৃক বাড়ি

আর এই আশ্রমের সেবামূলক কাজের কথা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কানে যায় এবং তিনি নবদ্বীপ শহরে যখন আসেন, বড়ালঘাট রাধারমণ সেবাশ্রম আশ্রমের তৎকালীন কার্যকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং তাঁদের এই সেবামূলক কাজের প্রশংসাও করেন ও নিজ হাতে সেবামূলক কাজ-সহ নবদ্বীপ সম্পর্কেও লিখে যান।

বর্তমানে এই আশ্রমে প্রবেশ করলেই দেখা যায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্তি, সঙ্গে তাঁর নিজের হাতে আশ্রমের সেবামূলক কাজের প্রশংসা লেখা চিঠি, যেখানে উল্লেখ করা আছে, “নবদ্বীপের রাধারমণ সেবাশ্রম পরিদর্শন করিয়া বিশেষ আনন্দ হইলাম, বহু লোক মুখে এই প্রতিষ্ঠানের সুখ্যাতি শুনিয়া আসিতেছি, আজ স্ব-চক্ষে দেখিয়া তৃপ্তি লাভ করিলাম, যাহারা এই প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক তাহারা ধন্য, ভগবানের নিকট এই পুণ্য প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি।

নবদ্বীপ, ১৩-৬-২৮”

এই লেখার নীচে তাঁর সাক্ষরও রয়েছে৷

আশ্রমের তরফে জানা যায়, ২৩ জানুয়ারি দিনটি সন্মানের সঙ্গে আজও পালিত হয় এই মন্দিরে, পালিত হয় দেশের স্বাধীনতা দিবসও। স্বাধীনতা দিবসের দিন এখানে বসে ফ্রি মেডিক্য়াল ক্যাম্প। আজও এই ঐতিহাসিক আশ্রমে পা রাখলে রোমা়ঞ্চিত শরীর। যেন অনুভূত হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অস্তিত্ব।