Tag Archives: Netaji Subhas Chandra Bose

Lok Sabha Election 2024: নেতাজিকে প্রণাম করে সুভাষগ্রামে প্রচারে সৃজন

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: সুভাষগ্রামের নাম উঠলেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা মনে পড়ে যায়। এটি হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ভিটে। সুভাষগ্রামের কোদালিয়াতে তাঁর পৈতৃক ভিটে। আর সেই থেকে এলাকার নাম সুভাষগ্রাম হয়ে ওঠে। সেখানেই এবার ভোট প্রচারে গেলেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

সুভাষগ্রামের কোদালিয়ায় নেতাজীর পৈত্রিক ভিটেতে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করে আশেপাশের এলাকায় প্রচার করেন যাদবপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি এদিন সুভাষগ্রাম এলাকার প্রতিটা মানুষের সঙ্গে দেখা করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানায় এবং এদিন তিনি প্রচারের ফাঁকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধানের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: গাছের ডালে বাঁধা হাঁড়িতে রাখা জল মেটাচ্ছে পাখিদের তৃষ্ণা

পরে সৃজন বলেন, প্রচারের পথে তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের বাড়ি পড়লে সেখানে গিয়েও ভোট চাইবেন। তিনি জানান, যাদবপুরের সব ভোটারের কাছে যাচ্ছেন। তাই কে তৃণমূল, কে বিজেপি দেখছেন না। নেতাজীর মুর্তিতে মাল্যদান করে তিনি বলেন, বাংলার এইসব আইকনরা আর‌এস‌এস-এর হাতে পড়ে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি বাংলার এই ঐতিহ্য বজায় রাখার লড়াই’ও লড়ছেন।

সুমন সাহা

পাতা কেটে ম্যাপ থেকে নেতাজি! দশম শ্রেণীর ছাত্রের গুণ মুগ্ধ করবে

পাতা কেটে বানিয়ে ফেলতে পারে একাধিক মনীষী, কিংবা বিভিন্ন ম্যাপের ছবি। দশম শ্রেণীর ছাত্রীর কৃতিত্ব জানলে চমকে যাবেন। এই ছাত্রের প্রতিভা অবাক করেছে স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে তার স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকদের। এই ছাত্রের সূক্ষ কাজ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তবে এই ছাত্র একের পর এক ভাল কাজ করে চলেছেন।

Jalpaiguri Special Day: জলপাইগুড়িবাসীর কাছে আজ এক বিশেষ দিন! কেন জানেন?

জলপাইগুড়ি: আজ ৪ ফেব্রুয়ারি। ১৯৩৯ সালের এই দিনেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস পরাধীন ভারতের রাষ্ট্রপতি রূপে জলপাইগুড়ির মাটিতে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস মহা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন।

সেই বছর এই দিন সকাল ৯: ৪৫ মিনিটে জলপাইগুড়ির মাটিতে অবতরণ করেছিলেন নেতাজি। জলপাইগুড়িবাসী মহাসমারোহে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন তাঁকে। সেই সব মিলনের ঐতিহাসিক ভাষণ থেকেই গৃহীত হয় ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব।

আরও পড়ুন: কখনও শানু-কখনও উদিত! অলকা ৩৫ বছর স্বামীর থেকে আলাদা! গায়িকার প্রেমজীবন চরম গোপনে রাখা

আজ সেই দিনটিকে মাথায় রেখে জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হল। এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ জলপাইগুড়ি স্টেশনে রাখা নেতাজির ফটো গ্যালারিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: বিয়ে করেই চার সন্তানের মা হন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, জীবন আমূল বদলে যায়! গায়িকার জীবনের এই ঘটনা জানলে চমকে যাবেন

এবং তাঁর সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের সদস্য গোবিন্দ রায়। তিনি বলেন যে, জলপাইগুড়ির টাউন স্টেশনকে উন্নতমানের রেজিস্ট্রেশন তৈরি করা হবে। তার সঙ্গে যদি নেতাজির একটু সংরক্ষণশালা তৈরি করা হয় তাহলে আরেকটু ভাল হয়।

সুরজিৎ দে

Subhas Chandra Bose’s Resignation Letter: কেমন ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর হাতের লেখা? নথির প্রতিলিপি প্রকাশ IFS অফিসারের..মুহূর্তে ভাইরাল পোস্ট

নয়াদিল্লি: চব্বিশ বছরের তরতাজা তরুণ৷ অসম্ভব মেধাবী৷ একবারের চেষ্টাতেই চতুর্থ হয়ে পাশ করে ফেলেছেন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস৷ সাবেক আইসিএস৷ কিন্তু, না৷ তিনি জানতেন, তাঁর দায়িত্ব এর চেয়ে অনেক বেশি৷ দেশমাতৃকার স্বাধীনতার লক্ষ্যে আরও বড় কাজ অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য৷ তাই সফল, নিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানি এড়িয়েই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে৷ নতুন পাওয়া চাকরিতে অবলীলায় দিয়েছিলেন ইস্তফা৷ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা এই ইতিহাস আমাদের সকলেরই জানা৷ সম্প্রতি, সামনে এসেছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নিজের হাতে লেখা সেই ইস্তফাপত্রের ছবি৷ ছবিটি শেয়ার করেছেন প্রবীণ কাসওয়ান নামের এক আইএফএস অফিসার৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রীতিমতো ভাইরাল সেই পোস্ট৷

প্রবীণ কাসওয়ানের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তৎকালীন সেক্রেটারি অফ স্টেট এডওইন মন্টেগুকে উদ্দেশ্য করে নিজের ইস্তফাপত্র লিখেছেন নেতাজি৷ তাতে লেখা, তিনি চান, ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের শিক্ষানবিশদের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হোক৷

আরও পড়ুন: দিল্লিতে বৃষ্টি?বিহারে শৈত্যপ্রবাহ! কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত, কী হবে পশ্চিমবঙ্গে? এল পূর্বাভাস

১৯২১ সালের ২২ এপ্রিল লেখা সেই চিঠিতে নেতাজি জানাচ্ছেন, শিক্ষানবিশ হিসাবে তিনি ১০০ পাউন্ড পেয়েছিলেন ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে, যা তিনি ইস্তফাপত্র গ্রহণ হওয়ার সাথে সাথে সরকারকে ফেরত দিতে চান৷


মাত্র ২৪ বছর বয়সি কোনও তরুণের এমন ঋজু মনোভাব আরও একবার স্তম্ভিত করেছে নেটিজেনদের৷ ওই আইএঅফএস অফিসার তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘১৯২১ সালের ২২ এপ্রিল, সুভাষচন্দ্র বসু স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান সিভিস সার্ভিসের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷ আরও বড় দায়িত্বপালনের জন্য৷’

আরও পড়ুন: হেলমেট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস?২৫ গাড়িতে ১২৫ জন CRPF! এবার সব প্রস্তুতি নিয়েই শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

যদিও প্রবীণ কাসওয়ানের পোস্ট করা এই চিঠি বা নথিটির সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা৷ তবে, নথিটি ন্যাশনাল আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়ায় রাখা একটি নথির প্রতিলিপি বলে এর ঐতিহাসিক তাৎপর্যের সত্যতা সম্পর্কে বহুল প্রচার করা হয়েছে৷

তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর নেতাজির হাতে লেখা একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন৷ সেই পোস্টটিও দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে৷ 

Netaji Subhas Chandra Bose loved eating Chop from this shop: এই দোকানেই চপ খেতেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। ১৯৪২ সাল থেকে এই দোকানে নেতাজির জন্মদিনে ফ্রি-তে চপ খাওয়ানো হয়। নেতাজি নিজে এই দোকানে কোন চপ খেতেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

এই দোকানেই চপ খেতেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। ১৯৪২ সাল থেকে এই দোকানে নেতাজির জন্মদিনে ফ্রি-তে চপ খাওয়ানো হয়। নেতাজি নিজে এই দোকানে কোন চপ খেতেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Netaji Birth Anniversary: নেতাজী এসে বসেছিলেন এই চেয়ারে, আজও সযত্নে সেই স্মৃতি লালন করছেন, রইল ফটো

বাঁকুড়ায় রয়েছে একটি কাঠের চেয়ার। এই চেয়ারে বসেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
বাঁকুড়ায় রয়েছে একটি কাঠের চেয়ার। এই চেয়ারে বসেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।
১৯৪০ সাল থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ নিরঞ্জন কর্মকার মহাশয় বুকে করে আগলে রেখেছেন একটি কাঠের চেয়ার।
১৯৪০ সাল থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ নিরঞ্জন কর্মকার মহাশয় বুকে করে আগলে রেখেছেন একটি কাঠের চেয়ার।
প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পুজো করা হয় এই চেয়ারকে। ক্ষনিকের জন্য বসেছিলেন নেতাজি।
প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পুজো করা হয় এই চেয়ারকে। ক্ষনিকের জন্য বসেছিলেন নেতাজি
বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটির দেশুরিয়ায় নিরঞ্জন কর্মকারের বাড়িতে পাওয়া যাবে এই ঐতিহাসিক চেয়ার।
বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটির দেশুরিয়ায় নিরঞ্জন কর্মকারের বাড়িতে পাওয়া যাবে এই ঐতিহাসিক চেয়ার।
নিরঞ্জন কর্মকার জানান
নিরঞ্জন কর্মকার জানান “নেতাজিকে নরম সোফায় বসতে দেয়া হয়েছিল কিন্তু সেই আরামের সোফা তিনি ত্যাগ করে কাঠের চেয়ারটি বেছে নেন, সেই তখন থেকেই এই চেয়ার আগলে রেখেছি।”
নিজের চোখেই প্রত্যক্ষ করুন বাঁকুড়ার এই ঐতিহাসিক চেয়ার।
নিজের চোখেই প্রত্যক্ষ করুন বাঁকুড়ার এই ঐতিহাসিক চেয়ার

ভারতের একমাত্র নেতাজি মন্দির, সেখানে সুভাষচন্দ্রের পুজো হয় দেবতা হিসেবে

কলকাতা: মন্দিরের নগর। সেখানেই আছে ভারতের মহান বীর সুভাষ চন্দ্র বোসের  মন্দির। নেতাজিকে সেখানে জাতীয় দেবতা হিসাবে পুজো করা হয়। বারাণসীর লামহি এলাকার ইন্দ্রেশ নগরে অবস্থিত সুভাষ মন্দিরের সিঁড়ি লাল রঙের, যা বিপ্লবের প্রতীক, মঞ্চটি সাদা রঙের, যা শান্তির প্রতীক।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ছয় ফুট মূর্তিটি কালো রঙের, যা শক্তির প্রতীক। উপরে একটি সোনালি রঙের ছাতা রয়েছে, যা সমৃদ্ধির প্রতীক। এই মন্দিরের বার্তা হল “বিপ্লবের পথ অনুসরণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। শান্তির ভিত্তিতে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়, যা সমৃদ্ধি আনে।”

এই মন্দিরটি ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২৩শে জানুয়ারী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটিকে বীর দিবস হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- কোন ভাষা উল্টো লিখলেও দেখাবে সোজা? উত্তর দিতে পারলে আপনি জিনিয়াস

২০ জানুয়ারি থেকে পাঁচ দিনব্যাপী সুভাষ মহোৎসব শুরু হয়েছে।  দেশ-বিদেশের সুভাষভক্তরা এই মন্দিরে আসেন দর্শন ও শুভেচ্ছা জানাতে। কাশীতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে মহান বীর এবং দেবতার মর্যাদা দেওয়া হয়।

সকাল সাতটায় ভারত মাতার প্রার্থনা ও আরতির মাধ্যমে খোলা হয় মন্দির। আজাদ হিন্দ সরকারের জাতীয় সংগীত হয় সন্ধ্যায়। সুখ ও শান্তির আশীর্বাদ বর্ষিত হোক… গান গেয়ে স্যালুট দেওয়া হয়, তারপর মহা আরতি করা হয়। শেষ সালাম দেওয়ার পর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- বলুন তো কোন ‘দেশে’ সবচেয়ে বেশি নিরামিষভোজী মানুষ বাস করেন?

সুভাষ মন্দিরের পুরোহিত নিযুক্ত হয়েছেন এক মেয়ে। এই মন্দির কোনো ধরনের বৈষম্যকে স্বীকৃতি দেয় না। যে কোনো ধর্ম বা বর্ণের মানুষ এখানে এসে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন।