PM Modi on RG Kar Case: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও মোদির মুখে নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গ! লাল কেল্লা থেকে বার্তা রাজ্য সরকারদের

নয়াদিল্লি: আজ দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস৷ আর তার আগেই আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘিরে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ৷ গত বুধবার রাতে ‘মেয়ের রাস্তা দখল’ কর্মসূচির মাঝেই উত্তেজনা ছড়ায় আর জি কর হাসপাতাল চত্বরে৷ ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগ৷ আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা৷ ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও৷

স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রথা মেনে এদিন সকাল ৭টা বেজে ৩২ মিনিট নাগাদ লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নরেন্দ্র মোদির কথায় উঠে আসে নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গও৷

আরও পড়ুন: দল না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করার আর্জি! আর জি কর ভাঙচুরে সিপি-র সঙ্গে কথা অভিষেকের

স্বাধীনতা দিবসে নিজের ১১তম বক্তৃতা করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, ‘‘আজ লাল কেল্লা থেকে আমি আবার আমার যন্ত্রণা এক্ষণে ব্যক্ত করছি৷ সমাজের অংশ হিসাবে আমাদের অবশ্যই নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া হিংসা সম্পর্কে গুরুতরভাবে চিন্তা করতে হবে৷ দেশের মানুষের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘আমি সেই ক্ষোভটা আঁচ করতে পারছি৷ এই দেশ, এই সমাজ এবং রাজ্য সরকারগুলিকে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে হবে৷ নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনার দ্রুত তদন্ত করতে হবে৷ যারা এই পাশবিক কাজ করেছে, তাদের যত দ্রুত সম্ভব কড়া শাস্তি দিতে হবে৷ সমাজের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা খুব জরুরি৷’’

আরও পড়ুন: আর জি করে রক্তাক্ত পুলিশের উর্দি! ঘড়ির কাঁটা থমকে ১২টা ৩৫ মিনিটে, তছনছ জরুরি বিভাগ

ধর্ষকদের নজিরবিহীন শাস্তি দেওয়া প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘এখানে এটাও বলা দরকার যে, যখন ধর্ষণ বা নারীদের উপরে অত্যাচারের মতো ঘটনা ঘটে, তখন সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়৷ কিন্তু, যে অপরাধী এই পাশবিক কাজ করেছে, তার শাস্তির সময় সেটা খবরে থাকে না৷ সেই খবর কোণায় পড়ে থাকে৷ এই মুহূর্তে আমাদের এটাও আলোচনা করতে হবে যে, এই ধরনের অপরাধ যে কোনও মানুষকে ফাঁসির কাঠগড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে৷ এই ভয়টা তৈরি হওয়া খুব জরুরি বলে মনে করি আমি৷’’

গত শুক্রবার সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হ’ল থেকে রক্তাক্ত, অবিন্যস্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ তাঁর শরীরে কমপক্ষে ১০টি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে৷ ময়নাতদন্তে মিলেছে বেধড়ক মারধরের পরে ধর্ষণ করে খুনের প্রমাণ৷ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে চলে গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে৷