সাপ নাকি সাপের মাংস খায়! হ্যাঁ সত্যি এই কথা৷ বেশ কিছু সাপের প্রজাতি অন্য আর এক এক সাপকেই মেরে যায়৷ এই ধরনের প্রকৃতির প্রধান কারণ কী? সেই খাদ্যশৃঙ্খল৷
তবে সাপেরা যে অন্য প্রজাতির সাপকে নিজের উদরতুষ্টির জন্য মারে, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়৷ তাহলে? কারণ প্রতিযোগীতা কমানো৷
মূলত খাদ্যের যোগান বৃদ্ধি করতে, শিকার যেন অন্য কোনও সাপ নিয়ে যেতে না পারে, তার জন্যই মূলত চলে সাপের জগতে এই খুন-খারাপি৷ এও তো এক খাদ্যশৃঙ্খলেরই উদাহরণ৷
যদিও সমস্ত প্রজাতির সাপ যে অন্য সাপেকে মেরে ফেলে বা মারতে পারে এমনটা নয়৷ তবে এই জাতীয় সাপের প্রজাতিদের মধ্যে অন্যতম কিং কোবরা কিন্তু অন্যতম৷
এই প্রজাতির যে দুই সাপকে সাধারণত মারতে পছন্দ করে তাদের মধ্যে ক্রেট বা কোবরার মতো বিষধর প্রজাতির সাপেরাও রয়েছে৷ এই ধরনের সাপ ভারতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ এছাড়া চিনের দক্ষিপ্রান্ত, দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে এই কিং কোবরার দেখা মেলে৷
এই সাপের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ ফুট পর্যন্ত হতে পারে৷ মারাত্মক বিষের জন্য ও বিশালাকারের জন্য সাপ মহলে তার বেশ ভালই সুখ্যাতি রয়েছে৷
তবে কেবল কিংকোবরা নয়৷ আরও এক সাপ কিন্তু এই প্রজাতির মধ্যে পড়ে৷ তার নাম ইস্টার্ন কিংস স্নেক৷ এই প্রজাতিটি এতটাই বিপদ্দজন যে র্যাটেল স্নেকের বিষেও এর কিছু হয় না৷ এর শিকারের পদ্ধতিটি ঠিক কী? এ নিজের শিকারকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে৷ শিকার ধীরে ধীরে দমবন্ধ হয়ে মারা যায়৷
এই দলে আরও একজন রয়েছে, নাম রক পাইথন৷ দৈর্ঘ্যে এই সাপ প্রায় ২০ ফুটেরও বেশি৷ কখনও শিকার করতে না পারলে, ক্ষুধার তাড়নায়, এই সাপ তার দৈর্ঘ্যের তুলনায় কম আকারের সাপকে খেয়ে ফেলে৷ মূলত বিশালাকার আয়তনের কারণেই এই সাপ বাকি সবাইকে পরাজিত করতে পারে৷
তাহলে ভেবে দেখুন শুধু আমাদের মধ্যে নাকি সাপেদের রাজ্যেও কী সাংঘাতিক প্রতিযোগীতা! একটু এদিক ওদিক ওলেই বিষধরদেরও পার পাবার জো নেই৷