হেলমেট পড়ে বসে রয়েছেন বাসের চালক

Coochbehar News: হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন চালকেরা… কোচবিহারে এক অবাক করা ছবি, কিন্তু কেন?

কোচবিহার: কোচবিহারে বনধের মিশ্র প্রভাব। সকাল থেকেই দফায় দফায় বনধ সমর্থকদের আটক করে জেলা পুলিশ। তবে জেলায় যানবাহন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক। অন্য দিনের মতোই সরকারি ও বেসরকারি বাস চলাচল করতে দেখা যায় বিভিন্ন রাস্তায়। বাসের যাত্রীদের সংখ্যাও ছিল স্বাভাবিক। তবে সরকারি বাসের চালকেরা কিন্তু চালকের আসনে বসেছিলেন হেলমেট পরা অবস্থায়। বিশেষত দূরপাল্লার বাসগুলিতে এই চিত্র চোখে পড়ে।

এনবিএসটিসির বাসের চালক জয়ন্ত সরকার জানান, বেশিরভাগ বনধের সময় অসুবিধায় পড়তে হয় সরকারি বাসের চালকদের।  নিশানা করে পাথর ছোড়া হয়ে থাকে বাসের দিকে। ফলে বিপদ নিয়েই চলাচল করতে হয়। তাই এদিন নিজেদের সুরক্ষিত করতেই হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন তাঁরা। তবে রাস্তায় পুলিশ পাহারা রয়েছে অনেকটাই। তাই কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে চলাচল করতে পারছেন। বাসে যাত্রীদের সংখ্যাও ছিল অন্য দিনের মতোই একেবারেই স্বাভাবিক। মূলত দূরপল্লার বাসগুলিতে যাত্রী সংখ্যার কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।

আমজাদ আলি বলেন, “বনধ মানেই বাস চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা। গাড়ির একেবারে সামনে থাকায় কোনও পাথরের ঢিল এসে পড়লে বিপদের সম্ভবনা থাকে অনেকটাই। তাই হেলমেট পরেই বাসের চালকেরা বেশিরভাগ দূরপাল্লার বাসগুলি চালাচ্ছেন।”  উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, বনধের দিন সকাল থেকেই নির্দিষ্ট পথে এনবিএসটিসির বাস চলাচল করছে। ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টরেরা সকাল থেকেই পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। তবে কিছু মানুষ অতর্কিতে পাথর ছুড়ে থাকেন বাসের দিকে। সেই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কিছু চালক হেলমেট ব্যবহার করছেন।”

জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বনধ সমর্থনকারীদের আটক করার ঘটনা জানতে পারা যাচ্ছে। এছাড়া জেলা জুড়ে বনধের খুব একটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। রাস্তায় মানুষ জনের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বনধের পরিস্থিতি বেশ অনেকটাই সাধারণ পরিস্থিতি দেখতে পারা যাচ্ছে। তবে ১২ ঘণ্টা বনধের কারণে জেলার বেশ কিছু দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গিয়েছে কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে এলাকায়।