মাজদিয়া বাজার সমিতির ব্রহ্মা পুজো

Bramha Puja: আগুন থেকে বাঁচতে পুজো শুরু, মাজদিয়ায় ১০০ বছর ধরে চলছে ব্রহ্মা পুজো

নদিয়া: মাজদিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হল ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের পুজো। প্রায় ১০০ বছরেরও বেশিপুরনো এই পুজোর রয়েছে এক ইতিহাস। পুজোর পুরোহিত তথা বাজার সমিতির সদস্য শম্ভুনাথ মৌলিকের থেকে জানা যায়, অতীতে সীমান্তবর্তী এলাকা মাজদিয়াতে বসত হাট। সেই সময় ভারত এবং বর্তমান বাংলাদেশের বহু মানুষ নদীপথে যাতায়াতের মাধ্যমে এই হাট থেকে কেনা-বেচা করতেন। জানা যায় হঠাৎই এই হাটে একদিন আগুন লেগে যায়, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।

তৎকালীন পণ্ডিত সমাজ বিধান দেন, মাজদিয়ার বাজারকে রক্ষা করতে ব্রহ্মার পুজো করতে হবে।  সেই থেকেই শুরু হয় ব্রহ্মার পুজো। সাধারণত ব্রহ্মা পুজো হয় তিন দিন ধরে। কিন্তু ব্রহ্মা পুজোর দ্বিতীয় দিনে দুই পাড়ার মধ্যে লেগে যায় প্রচণ্ড ঝগড়া ও মারামারি। জখম হয় একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। তৎকালীন সমাজের বিচার ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকতেন মোড়লরা। মোড়লরা সিদ্ধান্ত নেন,  এর থেকে রেহাই পেতে কালীপুজোর ব্যবস্থা করতে হবে। সেই থেকে ব্রহ্মা পূজার পাশাপাশি রাত্রিবেলা করা হয় রক্ষা কালীপুজো।

এই ব্রহ্মা পুজোর একটি বৈশিষ্ট্য হল, ব্রহ্মা পুজোর পাশাপাশি মহেশ্বর এবং বিষ্ণুর পুজো হয়, হয়  সাবিত্রী ও সরস্বতীর পুজো-ও। তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজ বিধান দিয়েছিলেন যে ব্রহ্মার যে মূর্তি হবে তার সঙ্গে থাকবে বিষ্ণু ও মহেশ্বর।সাবিত্রী এবং সরস্বতী উহ্য থাকবে। সেই থেকেই হয়ে আসছে মাজদিয়া বাজার সমিতি এলাকায় এই পুজো। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছর ও নিয়ম মেনে করা হলপুজো এবং খুশি মাজদিয়ার সকল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা।

Mainak Debnath