বেলমুলা ইকো পার্ক

Weekend Tourism: সুবর্ণরেখার পাশে প্রকৃতির কোলে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটুক নিভৃত সময়, রইল ঠিকানা

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: শান্তস্বরে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী। নদীর পাড় বরাবর সবুজের ক্ষেত্র। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে যাঁরা বিকেলবেলা একটু ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন, তাঁরা ঘুরে দেখতে পারেন একদম নদীর কিনারে অবস্থিত ছোট্ট বায়োডাইভার্সিটি পার্ক। বাচ্চাদের খেলার জায়গার পাশাপাশি পিকনিক শেড এবং সবুজের ক্ষেত্রে এলে আপনার মন জুড়োবে। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমেষে দূর হবে এখানে এলে। স্বাভাবিকভাবে যারা কাছে পিঠে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন সুবর্ণরেখা নদীর তীরে অবস্থিত এই ইকোপার্ক। কিছুটা সময় কাটালে নিজেকে একটু ফ্রেশ লাগবে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে, বেলমুলা ইকোপার্ক। সম্প্রতি গ্রামীণ এলাকায় পর্যটনের নতুন দিশা দেখাতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্কটি। শুধু তাই নয় সুন্দর সাজানো গোছানো এই পার্ক বাচ্চাদের খেলার জায়গা এমনকি পিকনিক করার জন্য দারুণ আয়োজন রয়েছে এখানে। সব থেকে বেশি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সুবর্ণরেখা নদী। শান্তস্বরে প্রবহমান এই নদীর সূর্যাস্ত আপনার মন ভাল করে দেবে।

কলকাতা থেকে খুব কাছেই এই সুন্দর পার্ক। কলকাতা থেকে মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ে অবস্থিত এই বায়ো ডাইভারসিটি ইকোপার্ক। চারিদিকে সবুজ গাছে ঘেরা। পাশেই প্রবহমান নদীর যেন এক মনোহর রূপ। এই পার্কে ঘোরার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন ইতিহাসক্ষেত্র ঘুরে দেখতে পারেন আপনি। কলকাতা থেকে পার্সোনাল গাড়িতে কিংবা বাস বা ট্রেন মাধ্যমে পৌঁছানো যাবে এই জায়গায়। কলকাতা থেকে ওড়িশা অভিমুখে এলে দাঁতনের ৬০ নং জাতীয় সড়ক থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ে অবস্থিত বেলমুলা। কিংবা ট্রেনে এলে দাঁতন স্টেশনে নেমে ছোট গাড়ি বা টোটো করে যাওয়া যাবে এই জায়গায়।

আরও পড়ুন : বেনজির! ৩ বছর প্রেমের পর স্বামীসংসার ফেলে ভাগ্নিকে বিয়ে মামির! তাজ্জব সোশ্যাল মিডিয়া

বাসে এলেও একই ভাবে সরাইবাজার বাসস্ট্যান্ডে নেমে টোটো বা অটোতেই আসা যাবে এখানে। থাকার জন্য দাঁতন বাজারে রয়েছে বেসরকারি লজও। তাই যারা কাছে পিঠে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন কিংবা সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বিকেলে ঘুরে দেখতে চাইছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন বেলমুলা ইকো পার্ক।