Tag Archives: subarnarekha river

Jhargram News: বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে চরম পরিণতি ১২ বছরের কিশোরের

ঝাড়গ্রাম: সুবর্ণরেখা নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হল এক শিশুর। মৃতের নাম কার্তিক কাঁড়, বয়স ১২। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১নং ব্লকের ভাতহাণ্ডিয়া গ্রামে। গত দশ বছর ধরে তাঁর পরিবার গোপীবল্লভপুর বাজার এলাকার লালবাজারে ভাড়া ঘরে থাকত। মৃত্যু

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কার্তিক মায়ের সঙ্গে ছাগল চরানোর জন্য সুবর্ণরেখা নদীর পাড় এলাকায় গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর কার্তিকের মা কবিতা ছেলেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কার্তিক বাড়ি ফিরে এসে কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে ফের সুবর্ণরেখা নদীতে যায়।

গালুডি জলাধার থেকে জল ছাড়ায় এমনিতেই সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন কার্তিক ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে নদীতে স্নান করতে নামে। জলের স্রোতে সে ডুবে যায়। বাকি দুই বন্ধু জলের মধ্যে কোনও মতে রক্ষা পায়। ওই দু’জন বন্ধু জল থেকে উঠে পাশের মানুষজনকে ডেকে নিয়ে আসে। তারা এসে কার্তিককে নদীর ঝোপের মধ্য থেকে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুনঃ India vs Bangladesh: টেস্টে ফের শূন্য! লজ্জার নজির গড়লেন শুভমান গিল

তারপর গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। কার্তিকের বাবা আনন্দ কাঁড় পেশায় টেম্পো চালক। ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা শুনে তাঁর পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরের পর ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বুদ্ধদেব বেরা

History & Heritage: রাজবাড়ি, নাট্যশালা, মন্দির…সুবর্ণরেখার দু’পাশে ইতিহাসের খনি বাঁচিয়ে রাখার জন্য পদক্ষেপ

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রাচীন জনপদ দাঁতনকে ঘিরে রয়েছে অগাধ কিংবদন্তি। দাঁতনের অলিতে গলিতে রয়েছে নানা ইতিহাস। যা প্রাচীনত্বের ধারাকে বহমান রেখেছে। তবে কালের নিয়মে সেই জৌলুস হারাচ্ছে এই ইতিহাসক্ষেত্র গুলো। ইতিমধ্যেই সেই ইতিহাস বাঁচানোর জন্য তদ্বির শুরু হয়েছে। নবান্নে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের চিঠি পাঠিয়েছেন এলাকার বিধায়ক। দাঁতনের একটি রাজবাড়ি এবং একটি প্রাচীন মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণা করে তার সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নতুন গন্তব্য এবং প্রাচীন এই ক্ষেত্র সংরক্ষণের উদ্যোগে আশার আলো দেখছে দাঁতনের মানুষ।

গত ২১ অগাস্ট মনোহরপুর রাজবাড়ি ও কাকরাজিৎ মন্দিরকে হেরিটেজের আওতাভুক্ত করার জন্য জেলাশাসককে চিঠি পাঠান বিধায়ক। বিধায়কের এই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে পাঠিয়েছেন জেলাশাসক । এর পরেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন বিধায়ক-সহ দাঁতনবাসী। প্রসঙ্গত, দাঁতনের মনোহরপুর রাজবাড়ি বেশ পুরনো। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রাচীন নানা ইতিহাস। ইতিহাসবিদদের মতে, দাঁতনের উত্তর রায়বাড়ে ষোড়শ শতাব্দীতে গড়ে উঠেছিল মনোহরপুর রাজাদের আধিপত্য। যার পুরোধা ছিলেন আকবরের অন্যতম সেনানী মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডের অধিবাসী লক্ষ্মীকান্ত উত্তর রাও তথা লক্ষ্মীকান্ত উত্তর রাও। তিনি ১৫৭৫ সালে মোগল-পাঠান যুদ্ধে মোগল শাসক আকবরের সেনাদলে অংশ নিয়ে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন। তাই তাকে ‘বীরবর’ উপাধি দিয়েছিলেন আকবর।

তবে দাঁতনের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকায় যুদ্ধ শেষে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে মুগ্ধ হয়ে লক্ষ্মীকান্ত আর দেশে ফিরে যাননি। এখানেই বসতি গড়ে তোলেন। গড়ে ওঠে রাজবংশ। পরে মনোহরপুরে উঠে আসেন তাঁরা। এখানেই গড়ে ওঠে রাজাদের অট্টালিকা। সেই বাড়িতে এখনও অবস্থান করেন উত্তরসূরিরা। বাড়ির কিছু কিছু অংশ ভগ্নপ্রায়। এখানে ছিল তিনতল বিশিষ্ট নাট্যশালাও। যার দুটি স্তম্ভ এখনও অক্ষত। আগেই রক্ষার জন্য সচেষ্ট হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। অপরদিকে কাকরাজিতেও আছে প্রাচীন মন্দির। গড়হরিপুর এলাকার জমিদারদের সময়ে গড়ে উঠেছিল মন্দির। এখন অবশ্য নতুন করে বিশাল মন্দির গড়ে উঠেছে। তবে অনেকেই মনে করেন কাকরাজিত হয়ে চৈতন্যদেব পুরী গিয়েছিলেন। ফলে জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে চৈতন্যদেবের বিগ্রহ আছে। ইতিহাস, প্রাচীনত্ব ও কিংবদন্তি মিলিয়ে ঐতিহ্য আছেই। সেই ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দিতেই বিধায়কের প্রচেষ্টা।

আরও পড়ুন : কলের জল নাকি RO Water? ঠান্ডা না গরম? এই খোসা ভেজানো জলেই আপনার যে কোনও গাছ ঢাকবে ফলে ফুলে পাতায়

প্রসঙ্গত এর আগে বিভিন্ন ইতিহাস ক্ষেত্র সংরক্ষণের দাবি উঠেছে বহুবার।দাঁতনের দন্ডভুক্তি একাডেমি এলাকার প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ জায়গা ও স্থাপত্যগুলির সংরক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে সংযুক্ত করে মনোহরপুর রাজবাড়ির ভগ্ন নাট্যশালা সংস্কারের উদ্যোগও করা হয়েছে। বিধায়কের এই প্রচেষ্টায় খুশি তাঁরা। তবে রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে নতুন গন্তব্য এবং বিধায়কের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। দুটি ইতিহাস ক্ষেত্রকে ঘিরে আশার আলো দেখছেন দাঁতনবাসী।

Weekend Tourism: সুবর্ণরেখার পাশে প্রকৃতির কোলে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটুক নিভৃত সময়, রইল ঠিকানা

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: শান্তস্বরে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী। নদীর পাড় বরাবর সবুজের ক্ষেত্র। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে যাঁরা বিকেলবেলা একটু ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন, তাঁরা ঘুরে দেখতে পারেন একদম নদীর কিনারে অবস্থিত ছোট্ট বায়োডাইভার্সিটি পার্ক। বাচ্চাদের খেলার জায়গার পাশাপাশি পিকনিক শেড এবং সবুজের ক্ষেত্রে এলে আপনার মন জুড়োবে। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমেষে দূর হবে এখানে এলে। স্বাভাবিকভাবে যারা কাছে পিঠে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন সুবর্ণরেখা নদীর তীরে অবস্থিত এই ইকোপার্ক। কিছুটা সময় কাটালে নিজেকে একটু ফ্রেশ লাগবে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে, বেলমুলা ইকোপার্ক। সম্প্রতি গ্রামীণ এলাকায় পর্যটনের নতুন দিশা দেখাতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্কটি। শুধু তাই নয় সুন্দর সাজানো গোছানো এই পার্ক বাচ্চাদের খেলার জায়গা এমনকি পিকনিক করার জন্য দারুণ আয়োজন রয়েছে এখানে। সব থেকে বেশি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সুবর্ণরেখা নদী। শান্তস্বরে প্রবহমান এই নদীর সূর্যাস্ত আপনার মন ভাল করে দেবে।

কলকাতা থেকে খুব কাছেই এই সুন্দর পার্ক। কলকাতা থেকে মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ে অবস্থিত এই বায়ো ডাইভারসিটি ইকোপার্ক। চারিদিকে সবুজ গাছে ঘেরা। পাশেই প্রবহমান নদীর যেন এক মনোহর রূপ। এই পার্কে ঘোরার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন ইতিহাসক্ষেত্র ঘুরে দেখতে পারেন আপনি। কলকাতা থেকে পার্সোনাল গাড়িতে কিংবা বাস বা ট্রেন মাধ্যমে পৌঁছানো যাবে এই জায়গায়। কলকাতা থেকে ওড়িশা অভিমুখে এলে দাঁতনের ৬০ নং জাতীয় সড়ক থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ে অবস্থিত বেলমুলা। কিংবা ট্রেনে এলে দাঁতন স্টেশনে নেমে ছোট গাড়ি বা টোটো করে যাওয়া যাবে এই জায়গায়।

আরও পড়ুন : বেনজির! ৩ বছর প্রেমের পর স্বামীসংসার ফেলে ভাগ্নিকে বিয়ে মামির! তাজ্জব সোশ্যাল মিডিয়া

বাসে এলেও একই ভাবে সরাইবাজার বাসস্ট্যান্ডে নেমে টোটো বা অটোতেই আসা যাবে এখানে। থাকার জন্য দাঁতন বাজারে রয়েছে বেসরকারি লজও। তাই যারা কাছে পিঠে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন কিংবা সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বিকেলে ঘুরে দেখতে চাইছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন বেলমুলা ইকো পার্ক।