চুই ঝাল গাছ

খাবারে ব্যবহার করুন ‘এই’ গাছ দূরে থাকবে গ্যাস্ট্রিক, এ্যাজমা ও হাঁপানী-সহ অসংখ্য রোগ

উত্তর ২৪ পরগণা: বাড়ি, রেঁস্তোরাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাছ মাংস রান্নায় স্বাদ বাড়াতে যেটি অন্যতম মশলা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে তা জল এই চুই ঝাল। শুধু তাই নয়, খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যান্সার, হৃদরোগ, ক্ষুধামন্দা, গ্যাস্ট্রিক, এ্যাজমা ও হাঁপানীসহ অসংখ্য রোগের প্রতিশেধক হিসেবেও ব্যবহার করা হয় চুই ঝাল।

দেখতে অনেকটা আগাছা কিংবা পান পাতার মতো হলেও বিভিন্ন রোগের ওষুধিগুণ থাকায় অধিক ব্যবহৃত এই লতা জাতীয় মশলার চাষ বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবেও। বাড়ির আনাচে কানাচে, পরিত্যাক্ত জায়গা এবং বাগানসহ বিভিন্ন গাছে পরজিবী হিসেবে বেড়ে ওঠায় খরচের তুলনায় চুই চাষে অধিক লাভ। তাই ওষুধী গুণ সম্পন্ন ও মসলা জাতীয় চুইঝাল চাষে জোর দিচ্ছেন অনেকেই। আর এসব চুইঝাল বিক্রিতেও নেই ঝামেলা। অনেক ব্যবসায়ী এই চুই ঝাল বাড়িতে গিয়েই সংগ্রহ করেন।

আরও পড়ুন: বাড়ির মধ্যে উঁচু জমি থাকলে শুরু করুন এই কাজ, লাভ হবে প্রচুর

চুই গাছের আকার-আকৃতি ও পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিটি চুইঝালের গাছের দাম পাওয়াযেতে পারে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। চুই গাছ হুবহু পান গাছের মতো হওয়ায় এটি গাছের গোড়ায় রোপন করতে হয়। তখন চুইগাছ পরজীবির মতো করে অন্য গাছে আকড়ে ধরে থাকে। সে গাছ বড় ও মোটা হলেই খাবার ও বিক্রি উপযোগী হয়।

আরও পড়ুন: SBI-এর এই সিদ্ধান্তে হোম লোনের EMI বাড়ল, জানুন ৩০,০০০ টাকার পরিবর্তে এখন কত টাকা দিতে হবে?

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাটের কল বাড়ি এলাকায় এক সময়ের বায়ো সায়েন্সের ছাত্র অরবিন্দ মন্ডল বাড়িতেই এই চুই ঝাল গাছের চাষ করেছেন। সাধারণ মানের এক কেজি চুইয়ের দাম দুশো থেকে তিনশো টাকা। আর পুরনো মোটা বয়েসী পাকা চুই হলে তো কথাই নেই, আটশো টাকা কেজিও বিক্রি হয়। বাড়িতে বা পতিত জায়গায় এই গাছ চাষ করে স্বনির্ভর হতে পারবেন বেকার যুবকরা।

Julfikar Molla