Travel Tips: শহর থেকে দূরে একটু জিরিয়ে নিতে চান? কম সময়ে ঘুরে আসুন এখানে, শান্তি পাবে মন

পশ্চিম মেদিনীপুর: সারা দিনের ক্লান্তি শেষে প্রত্যেকেই নিজেকে একটু রেহাই দিতে কাছে পিঠে কোথাও থেকে ঘুরে আসার প্ল্যান করেন। কিংবা কেউ সপ্তাহ শেষে লং ড্রাইভেও যেতে পছন্দ করেন। পড়ুয়া হোক কিংবা চাকুরিজীবী, সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে এখানে এলে আপনার মন ভাল হবে। নদীর পাশে শান্ত-শীতল পরিবেশ। সেলফি জোন এবং চারিদিকে গাছে ভরা এই জায়গা আউটিংয়ের জন্য সুন্দর। মেদিনীপুর শহরেই রয়েছে এমন সুন্দর একটি জায়গা যা হয়তো আগে দেখেননি। বন্ধুদের নিয়ে কিংবা একান্তেই সময় কাটান এখানে। শান্তভাবে নদীর প্রবাহ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ মন সতেজ করে তুলবে।

মেদিনীপুর শহরের অনতিদূরে কলকাতা থেকে খুব কাছেই এই সুন্দর জায়গা। সৌন্দর্যায়ন করেছে মেদিনীপুর পৌরসভা। প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে পার্ক এবং বাঁধানো হয়েছে নদীর ঘাট। সপ্তাহে দু’দিন থাকে লাইট এবং সাউন্ডের ব্যবস্থা। তাই বিকেলের ছুটিতে পরিবারের সকলকে নিয়ে এখানে এলে মন ভাল হয়ে যাবে। এমন সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে কয়েকটা ঘণ্টা কাটালে পরের দিনের কাজের নতুন করে উদ্যম ফিরে পাবেন।

মেদিনীপুর শহরের কাছেই রয়েছে গান্ধীঘাট। এখানেই রয়েছে I LOVE MEDINIPUR লেখা সেলফি জোন। রয়েছে নদীর পাড়ে বসা এবং ফটো তোলার দুর্দান্ত জায়গা। মেদিনীপুর শহরের এক প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কংসাবতী নদী। বর্ষার এই সময় টইটুম্বুর নদী। বিকেলের সূর্যাস্ত কিংবা নদীর শান্ত বাতাস আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর করবে। শুধু তাই নয় বৃহস্পতিবার এবং রবিবার নদী বক্ষে ফোয়ারার মধ্য দিয়ে লাইট এবং সাউন্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনে তরফে।

 কলকাতা থেকে আসতে চাইলে খুব কাছেই এই জায়গা। কলকাতা থেকে প্রাইভেট গাড়ি, ট্রেন কিংবা বাসে করে আসা যাবে এখানে। প্রাইভেট গাড়ি করে এলে মেদিনীপুর ঢোকার মুখে মোহনপুর ব্রিজের খুব কাছেই গান্ধীঘাট। বাসে এলে মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে অটো ধরে আসা যাবে গান্ধীঘাটে। অন্য দিকে, ট্রেনের মাধ্যমে খড়গপুরে নেমে বাস কিংবার অটো ধরে পৌঁছনো যাবে কিংবা মেদিনীপুর স্টেশনে নামলে সেখান থেকে টোটো বা অটো ধরে আসা যাবে গান্ধীঘাটে।

রঞ্জন চন্দ