গান পরিবেশন বয়স্কদের

Bangla Video: গান গেয়ে, আবৃত্তি শুনিয়ে মাতিয়ে দিলেন বয়স্করা! কী ছিল জানেন?

পশ্চিম মেদিনীপুর: ওদের মধ্যে কারোর বয়স ৬০ বছর, কেউ ৬৫, কেউ আবার ৭০। কেউ কেউ আবার তার থেকেও বেশি বয়স্ক। বয়স বাড়ায় ওঁদের কর্মক্ষমতা কমেছে ঠিকই, কিন্তু মনের জোর অটুট আছে। অভিজ্ঞতায় বেড়েছে সৃজনশীল ভাবনা চিন্তা। শারীরিক কারণে কিছুটা থিতিয়ে পড়লেও মনে প্রাণে তরতাজা যুবক। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে যাতে নিজেরা কোনওভাবে মানসিক অবসাদে না ভোগেন এবং সারা বছর ধরে যাতে সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারেন তার জন্য বছরের নির্দিষ্ট দিন থাকে সিনিয়র সিটিজেনের জন্য।

আরও পড়ুনঃ রাতের রাস্তায় মেয়েদের সাহস জোগাবে পুলিশের শক্তি বাহিনী

তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক এক এলাকায় ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে যা আয়োজন হল তা দেখলে আপনিও ধন্য ধন্য করবেন।
মঞ্চে কেউ গাইছেন গান, কেউ শোনাচ্ছেন জীবনের অভিজ্ঞতার নানা কথা, কেউ আবার দিব্যি তবলা বাজিয়ে চলেছেন। গোটা একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন হল শুধুমাত্র বয়স্কদের নিয়ে।

নিজেদের পারদর্শিতা মত তাঁরা উপস্থাপন করলেন নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যা জেলার কাছে এক অনন্য নজির গড়র। প্রসঙ্গত, বয়সজনিত শারীরিক নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে সামাজিক নানা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক নানা বিষয় থেকে পিছিয়ে পড়েন বয়স্ক ব্যক্তিরা। জীবনের এক পর্যায়ে এসে তাঁরা যাতে কোনওভাবে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন তার জন্য এই আয়োজন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে রবীন্দ্রভবনে দাঁতন সিনিয়র সিটিজেন ক্লাব এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিভিন্ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, ষাটোর্ধ ব্যক্তিরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। কেউ গান গাইলেন, কেউ অন্যান্য অনুষ্ঠান। স্বাভাবিকভাবে এদিনের এই অনুষ্ঠান সমাজের কাছে এক দৃষ্টান্ত। বয়স বাড়লে তাঁরা যে সমাজের কাছে বোঝা নয় তাই যেন আরেকবার প্রমাণ করলেন বয়স্করা।

রঞ্জন চন্দ