গন্ডার

Jaldapara Rhino Death: ফিতাকৃমি? নাকি বিষাক্ত পোকার সংক্রমণ? জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে পর পর গন্ডারের রহস্যমৃত্যু

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ঘনিয়েছে দুশ্চিন্তার মেঘ। এই নিয়ে ৫ টি গন্ডারের শাবকের মৃত্যু হয়েছে জাতীয় উদ্যানে। কী কারণে মৃত্যু হচ্ছে গন্ডারগুলির? বনকর্তা জে ভি ভাস্কর জানালেন চঞ্চল্যকর তথ্য।২০২৪ সালের অগাস্ট মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২০-এর ফেব্রুয়ারির কথা। বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ নেমে আসার ঠিক আগে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ৬টি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছিল পরপর।

তবে সেই ২০২০ সালের মতো এ বারের কারণ অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ নয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত বনকর্তারা। কারণ জানতে মৃত গন্ডারগুলির দেহাংশ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য কলকাতার ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার রিপোর্টে অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে ফিতাকৃমির আক্রমণ, বা অন্য কোনও বিষাক্ত পোকার প্রকোপে এই মৃত্যু ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বনকর্তার মতে ফিতা কৃমি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বন্যপ্রাণীদের পক্ষে। এই রোগে মৃত্যু নিশ্চিত বন্যপ্রাণীদের।

আরও পড়ুন : সাজে পাখি, কাজে মানুষ! কে ছিলেন রূপচাঁদ পক্ষী? জানতে হলে যেতে হবে এই ঝুলনযাত্রায়

উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ শাখার বনপাল জে ভি ভাস্কর জানান, “বন্যপ্রাণীর শাবকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফিতাকৃমির মতো রোগ প্রাণীদের শরীরে জাঁকিয়ে বসে, সম্ভবত ঘাস খেয়ে এই রোগ ছড়াচ্ছে। ঘাসের নমুনা আমরা নিয়েছি। গন্ডারের মলের নমুনা নিয়েছি। সবটা নিয়ে তদন্ত চলছে।”

একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য বিখ্যাত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। কিন্তু ফিতাকৃমির এই দাপট বেড়ে চললে গন্ডার আর থাকবেই না এই উদ্যানে। বন দফতরের তরফে বাকি গন্ডারগুলির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষ মেডিক্যাল টিম বসতে চলেছে। ফিতাকৃমির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বাইসন,হাতিদের মধ‍্যে।কাজেই সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।