চামুর্চি!

Jalpaiguri News: এখনও কোভিডের মাশুল গুনছে ভারত ভুটান সীমান্তের এই বাজার! মাছি তাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

জলপাইগুড়িঃ পুজোর মুখেও ফাঁকা চামুর্চি বাজার! হতাশ ব্যবসায়ীদের একাংশ। করোনার কোপ থেকে এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারত ভুটান সীমান্তবর্তী এই বাজার। করোনা কাল কেটেছে প্রায় ৪ বছর। কিন্তু এখনও তার আঘাত বইছে এই এলাকা। ভারত ভুটান সীমান্তে অবস্থিত জলপাইগুড়ি জেলার চামুর্চি চেকপোস্ট বাজারের ব্যবসায়ীরা সম্পূর্ণভাবে ভুটানের বাসিন্দাদের উপরই নির্ভরশীল।

মূলত, ভুটানের বাসিন্দারাই এই বাজারে শাক-সবজি থেকে শুরু করে পোশাক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে আসে। একসময় এই বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ভিড় জমাত ভুটানের থেকে আসা বহু মানুষ। কিন্তু বর্তমানে আগের মতো জমজমাট নেই বাজার। করোনা কালে প্রায় ৩০ মাস বন্ধ ছিল ভুটান গেট। ভুটান থেকে কেউ দীর্ঘদিন বাজার করতে চামুর্চি চেকপোস্ট বাজারে আসেনি। এই বাজারে বন্ধ ছিল দোকানপাট এই এলাকা ছিল শুনশান। তাই একপ্রকার না খেতে পাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল এখানকার ব্যবসায়ীদের। অনেকেই তাই অন্যত্র চলে গিয়েছে।

তবে করোনা কাটলেও এখনও তেমনভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি এই বাজার। ভুটান গেট খুলে দেওয়া হয়েছে আজ থেকে প্রায় দু বছর আগে। তারপর সীমান্তবর্তী এই চামুর্চি চেকপোস্ট বাজারে আসতে শুরু করেন ভুটানের বাসিন্দারা। ধীরে ধীরে দোকানপাট খুলতে শুরু করে। তবে করোনার আগে যেভাবে ভুটানের বাসিন্দারা দলে দলে চামুর্চি চেকপোস্ট বাজারে আসতেন এখন আর সেরকম হয় না। তাই আগের মত কেনাবেচাও নেই বলে আক্ষেপ চামুর্চি চেকপোস্ট বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশের।

চামুর্চি চেক পোস্ট বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান,আমাদের এখানকার ব্যবসা সিংহভাগ ভুটানের বাসিন্দাদের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু করোনার সময় ভারত ভুটান সীমান্ত বন্ধ থাকায় ভুটানের বাসিন্দারা এখানে আসতে পারেননি। এখন বাজারে আগের মতো ব্যবসা নেই। কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, আগে ভারত ভুটানে অবাধ যাতায়াত অনেকটাই শিথিল ছিল। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময় থেকে নিয়মের কিছুটা কড়াকড়ি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Durga Puja 2024: তাঁদের হাতেই তৈরি হবে দেবীর অলঙ্কার! শোলা গ্রামে এখন শুধুই ব্যস্ততা

এমনকি ভুটানের বাসিন্দারা আগের মত বেশি করে বাজার ওদেশে নিয়ে যেতে পারেন না । তাই করোনার আগের মতো বাজার আর হয় না এখানে। শুধুমাত্র রবিবার করেই ভুটানের বাসিন্দারা কিছুটা ভিড় জমান এই বাজারে। সামনে পুজো থাকলেও এখনও আনাগোনা নেই ক্রেতাদের। আবার কবে আগের মতো এই বাজার জমে উঠবে সেই আশাতেই দিন গুনছেন ব্যবসায়ীরা।