Tag Archives: Jalpaiguri

সব পড়ুন জলপাইগুড়ির খবর (Jalpaiguri News) এখানে

Jalpaiguri Barnish Mini Tornado: ঝড়বৃষ্টিতে সামান্য গাছের পাতা নড়লেই ভয়ে বুক কাঁপে এই গ্রামের মানুষদের! কেন জানেন?

জলপাইগুড়ি: প্রবাদ আছে,  “ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়”! এই গ্রামের বাসিন্দাদের অবস্থা যেন খানিক সেইরকমই হয়েছে। ভাবছেন কেন? জলপাইগুড়ির বার্নিশ গ্রাম! গত মার্চ মাসে এই গ্রাম এক্কেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছিল মাত্র ২ মিনিটের মিনি টর্নেডো ঝড়ে।

ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছিল শত শত মানুষের মাথার উপরের ছাদ। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে কেটেছে দিনের পর দিন। গ্রাম জুড়ে তখন শুধুই ছিল হাহাকার, দুর্দশা, দুর্দিন, অসহায়তা। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সামলে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে জলপাইগুড়ির বার্নিশ গ্রাম। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় ধীরে ধীরে গ্রামে তৈরি হচ্ছে ছাদ হারাদের মাথা গোঁজার আস্তানা।

আরও পড়ুন: চোখের পাশে বলিরেখা, ত্বকে বয়সের ছাপ? এই এক টোটকায় ৫০ লাগবে ২৫-এর মতো! জানুন

তাই এখন কালবৈশাখীর সামান্য ঝোড়ো হাওয়াতেই ভয় গ্রাস করছে গ্রামবাসীদের। দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তা ভেবেই ভয়ে ত্রস্ত হয়ে রয়েছে গোটা বার্নিশবাসী। মাস দেড়েক আগেও খবরের শিরোনামে ছিল এই গ্রাম। বর্তমানে গোটা গ্রাম আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরলেও তাঁদের অভাব অভিযোগ এখনও যায়নি। সেই অভাব অভিযোগের ফাঁকেই আরও এক গভীর ভাবনার চিত্র ধরা পড়ে গ্রামের মানুষ গুলোর চোখে মুখে।

আরও পড়ুন: নায়কের গভীর প্রেমে পাগল ছিলেন করিশমা, বিয়েও ঠিক! একজনের জন্য আজও সংসার করা হল না অক্ষয়ের

এই বুঝি এল সেই রাক্ষুসে ঝোড়ো হাওয়া! হয়তো ফের উড়িয়ে নিয়ে যাবে মাথার ছাদ, এই বুঝি ফের তছনছ হয়ে যাবে গোটা গ্রাম। এই ভাবনাই বারংবার মাথায় ঘুরছে গ্রামের প্রতিটি মানুষের মনে। তাই কালবৈশাখীর সামান্য ঝোড়ো হাওয়াতে গাছের পাতা নড়লেই ভয়ে শিটিয়ে দিন কাটান বাসিন্দারা।

সুরজিৎ দে

Kedarnath Visit by Skatings: স্কেটিং করে কেদারনাথ! তিন বাঙালির অবাক করা সাফল্যের কাহিনী

জলপাইগুড়ি: কথায় আছে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে! তবে এদের পায়ের তলায় রয়েছে জুতো, আর তার নীচে চাকা। সেই চাকার উপর ভর করেই সূদুর কেদারনাথ দর্শনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল তিন যুবক। সম্প্রতি সেই লক্ষ্য পূরণ করে নিজের শহরে ফিরেও এসেছেন তাঁরা। হেঁটে কিংবা সাইকেলে নয়, স্কেটিংয়ের মাধ্যমে তাঁরা কেদারনাথ জয় করে এলেন।

তিন যুবকের এই অদম্য সাহসিকতাকে প্রশংসা জানাতে সংবর্ধনা দেয় জলপাইগুড়ির ৭৩ মোড় এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় ১২০০ কিলোমিটার এভাবেই স্কেটিং করে যাত্রা করায় তিন যুবকের প্রশংসা করেছেন সকলে। জলপাইগুড়ির দুই যুবক এবং শিলিগুড়ির এক যুবক মিলে গত ২৫ এপ্রিল স্কেটিং করে কেদারনাথের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে আবার পদ্ম ফুটবে? মোদিতেই ভরসা খুঁজছে বিজেপি

জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির দুই যুবক একে অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু। একজন চাউলহাটির বাসিন্দা আশিস সমাদ্দার। অন্য জন ৭৩ মোড়ের পূর্ব কুমার পাড়ার বাসিন্দা জগন্নাথ রায়। আর শিলিগুড়ির বাসিন্দা কৃষ্ণ রায়ও ছিলেন তাঁদের সঙ্গী৷ স্কেটিং শেখার পর থেকেই তাঁদের মনের সুপ্ত ইচ্ছে ছিল স্কেটিং করে কেদারনাথ দর্শনের। তা সফলভাবে সম্পূর্ণ হওয়ায় খুশি তিন যুবক সহ পরিবার এবং এলাকার সকলে। ২৩ দিনের মাথায় সুস্থ শরীরে ইচ্ছে পূরণ করে জলপাইগুড়িতে আবার ফিরে আসেন তাঁরা।

সুরজিৎ দে

Jalpaiguri News: মাত্র ৩০০ টাকার জন্য চুরমার স্বপ্ন! স্কুলে ভর্তিই হতে পারল না নবম শ্রেণির পড়ুয়া

জলপাইগুড়ি: জীবন গড়ার লক্ষ্যের মাঝে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাভাব। টাকার অভাবে স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না মেধাবী মেয়েটি। নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসারে স্বপ্নের নাগাল পেতে প্রয়োজন টাকার। তা ফের প্রমাণ হল তথাকথিত প্রগতিশীল এই সমাজে। মাত্র ৩০০ টাকার জন্য আটকে গেল ডুয়ার্সের বন বস্তিবাসী এক পড়ুয়ার স্কুলে ভর্তি। ভেঙে চুরমার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন।

জলপাইগুড়ি সংলগ্ন আদিবাসী অধ্যুষিত বন বস্তির নবম শ্রেনীর ছাত্রী স্বপ্না ওঁরাওয়ের রোজকার জীবন কাটে কঠিন লড়াই করে। নেই বাবা-মা কেউ। দাদা-বোনের সংসারে দাদার অদম্য পরিশ্রমের জোরেই বড় হয়ে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখে স্বপ্না। দাদা চা বাগানের শ্রমিক। মজুরি হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই কোনও রকমে পেট চালিয়ে চলে বোনের পড়াশোনার খরচ।

আরও পড়ুন: ১৫ বছর বাদে ভোট দিলেন শতায়ু! বাড়িতে বসেই বাজিমাত করলেন বৃদ্ধা

আরও পড়ুন: জেলা জুড়ে কমছে কলেজে ভর্তির হার! ভিড় বাড়ছে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে

ছোট থেকেই স্বপ্নার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে দাদাও চেয়েছিলেন উচ্চশিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক বোনের জীবন। তাই কষ্ট হলেও চালিয়ে গিয়েছেন বোনের পড়াশোনার যাবতীয় খরচ। এভাবে স্থানীয় পানবাড়ীর একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণী অবধি পড়াশোনা করলেও এবারে মাত্র ৩০০ টাকার কমতি হওয়ায় নবম শ্রেণীতে ভর্তিই হতে পারল না স্বপ্না। এবারে যেন লড়াই থেকে পিছু হটতে হবে স্বপ্নাকে। স্বভাবতই দিশেহারা দাদা- বোন।

সুরজিৎ দে

Jalpaiguri News: গরু চড়াতে গিয়েছিলেন…বাড়ি ফেরা হল না যুবতীর! জঙ্গলের ভিতরে চরম সর্বনাশ

জলপাইগুড়ি: গরু চড়াতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না এক যুবতীর! হাতির আক্রমণে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সি এক যুবতী। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকা জুড়ে। ঠিক কী হয়েছিল?

জানা গিয়েছে, এদিন গরু চড়াতে বাইরে যেতেই ঘটে বিপত্তি। ২৪ বছর বয়সি বিউটি রায় নামের ওই যুবতী গরু নিয়ে চড়াতে যাওয়ার সময় আচমকাই পেছনে দিক দিয়ে আঘাত হাতে পূর্ণবয়স্ক একটি জংলি হাতি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বিউটির। ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের অন্তর্গত নৌধাবাড়ি এলাকায়।

আরও পড়ুন: ছাতু দিয়েও করা যায় বাস্তু প্রতিকার! জানতেন? কাটে যাবতীয় গ্রহদোষ..আসে শান্তি, টাকা! বলছেন জ্যোতিষাচার্য

একেই বন্য প্রাণীদের অহরহ আক্রমণে আতঙ্কেই দিন কাটাতে হয় জঙ্গল লাগোয়া বাসিন্দাদের। যখন তখন লোকালয়ে চিতাবাঘ, হাতির মত বন্য প্রাণীর আনাগোনা লেগেই থাকে। বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতি থেকে শুরু করে ফসলের ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি, এমনকি মৃত্যু ভয় নিয়ে দিন কাটাতে হয় এলাকাবাসীদের।

বন দফতরের কাছে বারংবার আবেদন জানানোর পরেও এবং বনদফতরের নজরদারির পরেও বন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না এলাকার মানুষেরা। ক’দিন পরপরই বন্যপ্রাণীর হানায় প্রাণহানির খবর উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে।

আরও পড়ুন: কোনটা হিমসাগর, কোনটা ল্যাংড়া, কোনটাই বা ফজলি! আম দেখে কী ভাবে চিনবেন কোনটা কোন জাতের? ঠকবেন না, জেনে নিন সহজ টিপস

এদিনের হঠাৎ ঘটা এই অপ্রীতিকর ঘটনায় বনকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। খানিকক্ষণের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকা জুড়ে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ বনদফতরের কাছে বারংবার অভিযোগ জানানোর পরেও হাতির আক্রমণে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে এলাকায়।

সুরজিৎ দে

Bangla Video: শহরকে বাঁচাতে ডিজিটাল উদ্যোগ! এই বাংলায় যা হল…

জলপাইগুড়ি: উত্তরের শান্ত শহরে শান্তি বজায় রাখতে প্রযুক্তির দ্বারস্থ প্রশাসন। শহরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হল জলপাইগুড়ি শহর জুড়ে। এর ফলে শহরবাসী আগামী দিনে অনেকটাই নিরাপদ বোধ করবে বলে দাবি করা হয়েছে।

দিনে দুপুরে শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় একের পর এক চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় ত্রস্ত হয়েছিল শহরবাসী। কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ির কদমতলা এলাকায় ভরদুপুরে এক মহিলার গলার সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীর দল। শহরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত ও জোরদার করতে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং সদর ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা। নজরদারি রাখার জন্য একটি কন্ট্রোল রুমও করা হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকেই শহরের সমস্ত এলাকায় নজরদারি রাখা হবে।

আরও পড়ুন: ভোটে ফ্লেক্স-ব্যানারের প্রচার অনেক হল, এবার চোখ রাখুন এই মাধ্যমে

যানজট হোক কিংবা অসামাজিক কাজ ২৪ ঘণ্টা পুলিশের নজরদারিতে থাকবে শহর। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির এসপি উমেশ গণপত খন্ডবহালে জানান, শহরে দিনের পর দিন চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তাই শহরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং শহরকে দুষ্কৃতিমুক্ত করতে শহর জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে করে শহরে কড়া নজরদারি চালানো সম্ভব হবে এবং দুষ্কৃতীদের অসমাজিক কাজ রোখা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি আমজনতা।

সুরজিৎ দে

North Bengal Trip: গরমের ছুটিতে ১০০ টাকায় পাহাড়-জঙ্গল ভ্রমণ! কোথায় থাকবেন, কীভাবে ঘুরবেন? রইল বিস্তারিত

*গরমে নাকাল অবস্থা? উত্তরের ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রকৃতির স্পর্শ টানছে, এ দিকে আবার পকেটেও টান টান? তা হলে রইল সুখবর। মাত্র ১০০ টাকা থাকলেই হবে উত্তরের তীর্থ ভ্রমণ থেকে জঙ্গল ভ্রমণ। সংগৃহীত ছবি। 
*গরমে নাকাল অবস্থা? উত্তরের ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রকৃতির স্পর্শ টানছে, এ দিকে আবার পকেটেও টান টান? তা হলে রইল সুখবর। মাত্র ১০০ টাকা থাকলেই হবে উত্তরের তীর্থ ভ্রমণ থেকে জঙ্গল ভ্রমণ। সংগৃহীত ছবি। 
*গরমের হাত থেকে বাঁচতে উত্তরের ঠান্ডা আবহাওয়ায় ছুটে আসছেন অনেকেই। তার ওপর অনেকেই এখনও কাটাচ্ছেন গরমে ছুটি। এই ছুটিতে পকেটের সাধ্য মাথায় রেখে এক্কেবারে স্বল্পখরচের মধ্যে ঘুরতে যেতে কার না ইচ্ছে করে! সংগৃহীত ছবি। 
*গরমের হাত থেকে বাঁচতে উত্তরের ঠান্ডা আবহাওয়ায় ছুটে আসছেন অনেকেই। তার ওপর অনেকেই এখনও কাটাচ্ছেন গরমে ছুটি। এই ছুটিতে পকেটের সাধ্য মাথায় রেখে এক্কেবারে স্বল্পখরচের মধ্যে ঘুরতে যেতে কার না ইচ্ছে করে! সংগৃহীত ছবি। 
*জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নেমে যে কোনও টোটো বা গাড়ি ধরে সোজা চলে যেতে হবে বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল। সেখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস বিজড়িত ভ্রামরী দেবী মন্দির। জানেন কি, এই মন্দির কিন্ত ৫১ সতী পীঠের অন্যতম একটি পীঠস্থান। মা'য়ের বাম পা পড়েছে এখানে। সংগৃহীত ছবি। 
*জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নেমে যে কোনও টোটো বা গাড়ি ধরে সোজা চলে যেতে হবে বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল। সেখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস বিজড়িত ভ্রামরী দেবী মন্দির। জানেন কি, এই মন্দির কিন্ত ৫১ সতী পীঠের অন্যতম একটি পীঠস্থান। মা’য়ের বাম পা পড়েছে এখানে। সংগৃহীত ছবি। 
*বর্তমানে আরও সুসজ্জিত করা হয়েছে মন্দিরটি। পাশেই রয়েছে সবুজ গাছগাছালিতে ভরা জঙ্গল। কখনও কখনও গজরাজের দেখাও মেলে এখানে। এই এলাকাতেই রয়েছে বিশাল মা অন্নপূর্ণা দেবী মন্দির। মূলত, পর্যটকদের আকর্ষিত করতেই সেখানে তৈরি হয়েছে বিশাল বড় সুসজ্জিত মা অন্নপূর্ণার মন্দির। সেখানে রোজ নিয়ম করে পুজোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে, রয়েছে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা। সংগৃহীত ছবি। 
*বর্তমানে আরও সুসজ্জিত করা হয়েছে মন্দিরটি। পাশেই রয়েছে সবুজ গাছগাছালিতে ভরা জঙ্গল। কখনও কখনও গজরাজের দেখাও মেলে এখানে। এই এলাকাতেই রয়েছে বিশাল মা অন্নপূর্ণা দেবী মন্দির। মূলত, পর্যটকদের আকর্ষিত করতেই সেখানে তৈরি হয়েছে বিশাল বড় সুসজ্জিত মা অন্নপূর্ণার মন্দির। সেখানে রোজ নিয়ম করে পুজোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে, রয়েছে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা। সংগৃহীত ছবি। 
*নাম না জানা পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনাও চোখে পড়ে এখানে। একদিকে ঘন জঙ্গল, একদিকে তীর্থ স্থান, পরিযায়ী পাখির আনাগোনা... সব মিলে সুন্দর শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ পর্যটকদের মন জয় করবেই। মন্দিরের পাশেই পর্যটকদের রাত্রিবাস করার জন্য রয়েছে আনন্দ মঠ। সবরকমের সুবন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে। সংগৃহীত ছবি। 
*নাম না জানা পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনাও চোখে পড়ে এখানে। একদিকে ঘন জঙ্গল, একদিকে তীর্থ স্থান, পরিযায়ী পাখির আনাগোনা… সব মিলে সুন্দর শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ পর্যটকদের মন জয় করবেই। মন্দিরের পাশেই পর্যটকদের রাত্রিবাস করার জন্য রয়েছে আনন্দ মঠ। সবরকমের সুবন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে। সংগৃহীত ছবি। 
*জলপাইগুড়ির এই জায়গাটির নাম বোদাগঞ্জ। এই স্থান দর্শন করে আপনি আরও কিছু দূর গেলেই যাবেন শিকারপুরের দেবী চৌধুরানী মন্দিরে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে থাকা এই মন্দিরেও জুড়ে রয়েছে নানা অজানা ইতিহাস। আর এই সবকিছুর অনুভূতি নেওয়া সম্ভব মাত্র ১০০ টাকায়৷ সংগৃহীত ছবি।
*জলপাইগুড়ির এই জায়গাটির নাম বোদাগঞ্জ। এই স্থান দর্শন করে আপনি আরও কিছু দূর গেলেই যাবেন শিকারপুরের দেবী চৌধুরানী মন্দিরে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে থাকা এই মন্দিরেও জুড়ে রয়েছে নানা অজানা ইতিহাস। আর এই সবকিছুর অনুভূতি নেওয়া সম্ভব মাত্র ১০০ টাকায়৷ সংগৃহীত ছবি।

Mother’s Day: মেয়েকে মানুষ করতে মায়ের অদম্য লড়াই! মাতৃদিবসে একরাশ শুভেচ্ছা মন্দিরা দেবীকে! এই মায়ের গল্প সম্ভ্রম বাড়ায়

জলপাইগুড়ি: মা’ পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক। মায়ের উপস্থিতি একটি পরিবারকে সম্পূর্ণ করে। মাতৃ দিবস উপলক্ষে সকল মায়েদের কুর্নিশ যাঁদের অসম লড়াই পথ দেখায় আরও অনেককে। ঠিক সেরকমই এক হৃদয়স্পর্শী চিত্র উঠে এসেছে শহর জলপাইগুড়িতে। স্বামী মারা যাওয়ার পর অপটু হাতে সংসারের হাল ধরেছিলেন মন্দিরা দাস। ধীরে ধীরে তিনিই এখন পরিবারের শক্ত শেকড় যুক্ত বট গাছ।

বিগত কয়েক বছর ধরে সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাইকেলে চেপে শহরের বহু বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ ফেরি করে বেড়ান মন্দিরা দেবী। দু’চাকার সাইকেলে ভর দিয়েই চলে সংসার আর মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার লড়াই। মা-বেটিতে কোনওরকমে চলে যায় সংসার কিন্তু মেয়েকে নিয়ে দু’চোখে স্বপ্ন অনেক। সেই স্বপ্নকে সফল করতে এই লড়াই লড়ছে এই ‘মা’।

জলপাইগুড়ি বেগুন্টারি এলাকার বাসিন্দা মন্দিরা দেবী। নারীরাও যে যেকোনও সমস্যা একা হাতে সামলে লড়ে যেতে পারে তারই জ্বলন্ত উদাহরণ এই মন্দিরা দেবী। জানা গিয়েছে, মন্দিরা দেবীর স্বামী বাড়ি বাড়ি পেপার ফেরি করতেন। হঠাৎ স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে সংসারের হাল ধরেছেন মন্দিরা দেবী। সাইকেলকে ভরসা করে তিনি খবরে কাগজ বিক্রি করছেন। পাশাপাশি দুপুরে একটি ব্যাঙ্কের ছোট ক্যান্টিনও চালান তিনি। এভাবে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সততার নজির গড়েছেন তিনি। মন্দিরা দেবীর মতো যে নারীরা মা- এর ভূমিকা পালন করে সততার সঙ্গে রাত দিন এক করে স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে ব্রতী হয়েছেন তাদের মাতৃদিবসের দিন কুর্নিশ।

সুরজিৎ দে

 Jalpaiguri News: সরকারি খাতায় তিনি ‘মৃত’! বহু চেষ্টায় আজও ‘জীবিত’ হতে ব্যর্থ ডুয়ার্সের মঙ্গলি ওঁরাও

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: উত্তরের পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আদিবাসী সম্প্রদায়ের বনবস্তিগুলো। ডুয়ার্সের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পর্যটকদের নিয়ে বিশেষ গাড়িতে করানো হয় জঙ্গল সাফারি। আর এই জঙ্গল সাফারির সুবাদেই আপনি পৌঁছে যাবেন রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন গরুমারা জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত বুধুরাম বনবস্তিতে । আর এই  বনবস্তিতেই রয়েছেন এমন মানুষ যিনি কিনা সরকারি খাতাকলমে মৃত।

সালটা ছিল ২০২২-এর এপ্রিল মাস। তখন একদিকে করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ জুড়ে, তারই মধ্যে বৈশাখের এক বিকেলে জঙ্গলের ওপর দিয়ে ধেয়ে আসা কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে নিমেষেই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল এই বনবস্তির স্বাভাবিক জনজীবন। প্রবল গতিতে ছুটে আসা ঝড়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই মানুষের দুর্বল আস্তানা। ভাতের ডেকচি থেকে ভোটার কার্ড-নিমেষেই হারিয়ে গিয়েছিল ঝড়ের দাপটে।

আরও পড়ুন : ম্যাজিক! এক গ্লাস জলে ১ চামচ এই দানা! ঝড়ের বেগে কমবে ওজন! রোগা হওয়ার পর চিনতে পারবেন না নিজেকেই

সেই থেকেই সরকারি খাতাকলমে ‘মৃত’ মঙ্গলি ওঁরাও। যদিও আজও বন বস্তির পথ দিয়ে ধীর গতিতে ছুটে চলা জিপসি গাড়িতে বসা সমাজের উচ্চ আসনে অবস্থানরত বহু পর্যটককেই হাত নেড়ে স্বাগত জানান সব রকমের সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মঙ্গলি।

তবে যে শুধু তিনি একাই বঞ্চিত-এমনটা নয়। বনবস্তির প্রবীণ সদস্য বাবু রাম ওঁরাও, নিজের যন্ত্রণাকে লুকিয়ে গাড়িতে বসে থাকা পর্যটকদের দিকে তাকিয়ে বলে যান, ‘‘ভাল থাকবেন আবার আসবেন’’। প্রধান বিশ্বজিৎ ওরাঁও বলেন যে তাঁরা কোনওদিন তাঁর কাছে আসেনি এবং পুরো বিষয় তিনি খোঁজ নিচ্ছেন। তাঁদের রাজ্য সরকারের যে প্রকল্প রয়েছে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবে, খোঁজ নেওয়ার পরে।

Viral News: বাড়ির পিছনে ওই মিশমিশে কালো লিকলিকে ওটা কী, আতঙ্কিত বাসিন্দারা যা দেখলেন

জলপাইগুড়ি: কেন একের পর এক কিং কোবরা উদ্ধার হয়েই চলেছে মেটেলি ব্লকে। আর এতেই চিন্তিত সাধারণমানুষ। ফের মেটেলি ব্লক থেকে উদ্ধার হল এক বিশালাকার কিং কোবরা।
জলপাইগুড়ি: কেন একের পর এক কিং কোবরা উদ্ধার হয়েই চলেছে মেটেলি ব্লকে। আর এতেই চিন্তিত সাধারণমানুষ। ফের মেটেলি ব্লক থেকে উদ্ধার হল এক বিশালাকার কিং কোবরা।
মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধুপঝোরা একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সাপটি। সাপটি লম্বায় কমপক্ষে ১৩ ফুট।
মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধুপঝোরা একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সাপটি। সাপটি লম্বায় কমপক্ষে ১৩ ফুট।
জানা গিয়েছে, এদিন দক্ষিণ ধুপঝোরা ভগীরথ পাড়ার বাসিন্দা পরিমল রায়ের বাড়িতে সাপটিকে দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। খবর দেওয়া হয় বনদফতররের খুনিয়া স্কোয়াডে।
জানা গিয়েছে, এদিন দক্ষিণ ধুপঝোরা ভগীরথ পাড়ার বাসিন্দা পরিমল রায়ের বাড়িতে সাপটিকে দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। খবর দেওয়া হয় বনদফতররের খুনিয়া স্কোয়াডে।
সেখান থেকে বনকর্মীরাই সাপটিকে উদ্ধারের জন্য ডেকে পাঠান চালসার সর্পপ্রেমী যুবক দিবস রাইকে। দিবস ঘটনাস্থলে এসে বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্ঠায় কিং কোবরা সাপটিকে ধরে ফেলেন।
সেখান থেকে বনকর্মীরাই সাপটিকে উদ্ধারের জন্য ডেকে পাঠান চালসার সর্পপ্রেমী যুবক দিবস রাইকে। দিবস ঘটনাস্থলে এসে বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্ঠায় কিং কোবরা সাপটিকে ধরে ফেলেন।
সেখান থেকে সাপটিকে উদ্ধারের পর বাক্সবন্দি করে নিয়ে যান খুনিয়া রেঞ্জের বনদফতররের কর্মীরা। সাপটি সুস্থ থাকায় এদিনই সেটিকে জঙ্গলের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। Input- Surajit Dey
সেখান থেকে সাপটিকে উদ্ধারের পর বাক্সবন্দি করে নিয়ে যান খুনিয়া রেঞ্জের বনদফতররের কর্মীরা। সাপটি সুস্থ থাকায় এদিনই সেটিকে জঙ্গলের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। Input- Surajit Dey

HS Result 2024: উচ্চ মাধ্যমিকে নজর কাড়া সাফল্যের পরও বিরাট বাধা! আদৌ কি স্বপ্নপূরণ হবে চা শ্রমিকের মেয়ের?

জলপাইগুড়ি: তিন কুড়ি সবুজ পাতার ফাঁক দিয়েই উঁকি মানব সেবার স্বপ্ন! শত অনটনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে নজর কাড়া সাফল্য চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের মেয়ের। এখন সে নার্স হতে চায়। মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে সংসারের হাল ধরাই লক্ষ্য। গতকালই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল।

মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও হতাশাজনক ফল হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার। মেধাতালিকার কোনও স্থানেই নেই এই জেলার পড়ুয়ারা। এরই মধ্যে জলপাইগুড়ি কুমুদিনী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া শম্পা রায় এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০০ -এ ৪৬০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

শম্পার বাড়ি জলপাইগুড়ির দেবনগর এলাকায়। বাবা একটি অস্থায়ী বিদ্যালয় দিনমজুরের কাজ করেন, মা চা বাগানের শ্রমিক। সংসারের টানাটানির মধ্যেও তিন মেয়ের পরিবার । অতি কষ্টের মধ্যে তার মা সংসার চালিয়ে শম্পাকে পড়াশোনা করতে সাহায্য করেছেন। পরিবার বরাবরই পড়াশোনার বিষয়ে যত্নশীল বলেই জানান শম্পা।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

গতকাল উচ্চমাধ্যমিকে রেজাল্টে জলপাইগুড়িবাসী হতাশ হলেও জলপাইগুড়ির দিনমজুরের মেয়ের দারুণ সাফল্যে বেজায় খুশি সকলেই। বাবা, মা’য়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের মান রেখেছে শম্পা । শম্পার এই সাফল্যে এখন উৎসবের আমেজ পরিবার সহ গোটা এলাকায়। এবার তার ইচ্ছে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করার বড় হয়ে নার্স হয়ে মানুষের সেবা করার। পাশাপাশি, চা বাগানের দরিদ্র মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়াতে চায় সে। তবে চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের এই মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে বাধা অর্থ।

সুরজিৎ দে