এডিস মশা এবং সিট্রোনেলা

Dengue: কেমিক্যাল স্প্রে-ধূপ নয়, বাড়িতে এই গাছ রাখলেই ধারেকাছে ঘেঁষবে বা ডেঙ্গির মশা

বাঁকুড়া: বর্ষায় চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গি। বাড়িতে মশার উপদ্রব বেড়েছে? মশার ধূপ, ওষুধ, কয়েল, স্প্রে…নানা উপায় চেষ্টা করেই কাজ হয়নি? চিন্তা করবেন না! ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপায়ে। মাথায় রাখবেন, বাজারচলতি এই সব দ্রব্যে বিষাক্ত কীটনাশক থাকে। পাশাপাশি, বন্ধ ঘরে মশার ধূপ বা লিক্যুইড ওষুধ দীর্ঘক্ষণ জ্বালানো ঠিক নয়, বিশেষ করে যদি ঘরে কোনও বাচ্চা থাকে। কাজেই ঘরোয়া প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মশা তাড়ান–

বাড়িতে যদি সহজলভ্য চারটি- পাঁচটি ভেষজ গাছ রাখেন তাহলে অনায়েসেই দূর হবে মশা। পাশাপাশি, গাছের সুগন্ধে ম ম করবে গোটা বাড়ি। ভাবছেন কোথায় পাবেন এই গাছ গুলি? আর কতই বা দাম? চিন্তার কিছু নেই, একদম বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন এই মশা তাড়ানোর ভেষজ গাছ।

ডেঙ্গু রোধ করতে বাঁকুড়া জেলা আয়ুষ শাখার উদ্যোগে একটি ভেষজ গাছের ছাদ বাগান রয়েছে যার নাম আয়ুষ ভেষজ উদ্যান। সেখানে প্রায় ৭০ টিরও বেশি ভেষজ উদ্ভিদ টবে বসানো আছে। প্রত্যেকটি গাছই আমাদের চারপাশে সহজলভ্য। এই গাছগুলির মধ্যে লেমন গ্রাস, সিট্রেনেলা, মিন্ট, জোয়ান এবং নিশিন্ধা রয়েছে। এই ভেষজ উদ্ভিদগুলি বাড়িতে রাখলেই পালিয়ে যাবে মশা। ডেঙ্গি থাকবে দূরে। বাঁকুড়ার গৃহস্থরা যাতে খুব সহজে এই গাছগুলি চিনতে পারেন এবং উদ্ভিদগুলির ভেষজ গুণ বুঝে যথার্থ ব্যবহার করতে পারেন সেই কারণেই আয়ুষ শাখার এই উদ্যোগ।

কেমিক্যাল ঘটিত মশা তাড়ানোর ধূপ কিংবা তরল ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কাজেই বাড়িতে রাখুন লেমন গ্রাস, সিট্রোনেলা,মিন্ট,জোয়ান এবং নিশিন্দা গাছ, এই গাছগুলি স্রেফ ঘরে রেখে দিলেই দূর হবে মশা। বাঁকুড়া জেলার ডিস্ট্রিক্ট মেডিক্যাল অফিসার (আয়ুষ), ডক্টর পার্থসারথি রায় জানান , ” এই গাছগুলি ব্যবহার করে পরবর্তীকালে মশা মারার ধূপ বানানো যেতে পারে। জৈব ধূপ ব্যবহার করলে শরীরের ক্ষতি হবে না।”ভেষজ উদ্ভিদ বন্টন কর্মসূচির মাধ্যমে বিনামূল্যে মিলবে ভেষজ গাছ। আয়ুষ শাখাতে এসে আবেদন করলেই, আপনার প্রয়োজনের ভেষজ গাছ পেতে খুব একটা অসুবিধা হবে না, এমনটাই জানান ডঃ পার্থসারথি রায়।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়