বর্ষাকাল আসায় মশার উপদ্রবও বেড়েছে। সন্ধ্যার পর মশা বেরিয়ে আসে এবং কামড়াতে শুরু করে। মশা তাড়ানোর জন্য বাজারে অনেক কিছু পাওয়া গেলেও সবগুলোই কার্যকর নয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি কিছু গাছ লাগাতে পারেন, যা বাড়ি থেকে মশা তাড়ায়।ঔষধি গুণসম্পন্ন তুলসী গাছের গন্ধ মশারা পছন্দ করে না। এছাড়াও তুলসীর গন্ধ অন্যান্য ছোট উড়ন্ত পোকামাকড়কে তাড়িয়ে দেয়। তাই বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানো খুবই উপকারী।পুদিনার ঘ্রাণে রয়েছে মশা তাড়ানোর ক্ষমতা। এর পাতা থেকে নির্গত তীব্র গন্ধ অন্যান্য ধরণের পোকামাকড়কেও তাড়িয়ে দেয়। হাঁড়িতে পুদিনা চাষ করা যায়। আর্দ্র মাটি এবং ভাল নিকাশী প্রয়োজন।গাঁদা গাছটি কেবল শোভাই বাড়াই। এটি একটি প্রাকৃতিক মশা নিরোধকও। এই গাছের ফুল এবং পাতা একটি নির্দিষ্ট সুগন্ধ নির্গত করে, যা মশার জন্য খুবই ক্ষতিকর। সেই কারণে মশা আসতে পারে না।ল্যাভেন্ডার তেল মশা তাড়াতে বাজারজাত মশা তাড়ানোর জন্যও ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে ঘরে ল্যাভেন্ডার লাগালে এর সুগন্ধে মশা পালিয়ে যাবে। ল্যাভেন্ডার মশাকে বাড়ি থেকে দূরে রাখতে খুবই সহায়ক। মশারা এই গাছের গন্ধ পছন্দ করে না, তাই এই গাছগুলো যেখানে আছে সেখানে মশা যায় না।লেমন গ্রাস এমন একটি উদ্ভিদ যার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়। আপনি যদি বাড়ি থেকে মশা তাড়াতে চান তবে আপনি সেগুলি আপনার বাড়িতে লাগাতে পারেন। লেমন গ্রাস মশা তাড়ায়। এই ঘাস মশা নিরোধক হিসেবেও কাজ করে। এই বর্ষাকালে আপনি আপনার বাড়িতে এই গাছ লাগাতে পারেন।
আলিপুরদুয়ার:ডেঙ্গি রুখতে সবার আগে প্রয়োজন পরিষ্কার থাকার। প্রতিবেশীদের সচেতন করতে হবে পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়। কালচিনি ব্লকের ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে এসে এ কথাই জানালেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিদর্শক কাজল কৃষ্ণ বণিক।
আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়ে অনবরত বৃষ্টি চলছে। এর মধ্যেই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০১ জন। যার মধ্যে কালচিনি ব্লক এই রয়েছে ৯০ জন। বিশেষ করে কালচিনি ব্লকের কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত।
তবে শুধু সচেতন করলে হবে না, নিজেদের পরিষ্কার থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিমের চিকিৎসকরা।জমা জলে ডেঙ্গি মশার জন্ম হয়। তাই জল জমতে দেওয়া চলবে না। বাড়ির নালা নিজেদের পরিষ্কার করতে হবে। নিম তেল, নিম পাতার ধুপ ব্যবহার করতে হবে।বিকেল গড়াতে দরজা,জানালা বন্ধ করতে হবে।
চাকরির পরীক্ষা থেকে জীবনের নানা ওঠাপড়ায় অনেক সময় ট্রাম কার্ডের মতো কাজ করে কিছু কিছু সময়োপযোগী সাধারণ জ্ঞান। যেখানে সাধারণ কিছু উত্তর আমাদের উৎরে দেয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ঠিক তেমনই জীবন জলের মতো সহজ করে দেয় কিছু জীবনধারণামূলক সাধারণ জ্ঞান।গরমকালে আমাদের জীবনে অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে যায় মশার উপদ্রব। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা সেই মশা নিয়েই এমনই কিছু প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করছি যা একদিকে যেমন মজাদার তেমনই এই সাধারণ জ্ঞানগুলি কিন্তু জীবনে বেশ কার্যকরী। আপনিও এই প্রশ্নগুলো দেখে নিতে পারেন এক ঝলক। কাজে লাগবে, নিশ্চিত।এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত নীচের প্রশ্ন-উত্তরগুলি এমন নয় যে আপনি জানেন না, তবে হ্যাঁ, চট করে সেগুলির উত্তরগুলি অনুমান করতে হয়ত পারবেন না অনেকেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী এমন প্রশ্ন আর সেগুলির উত্তরই বা কী!প্রশ্ন ১ – কী ভাবে বুঝবেন আপনার বাড়িতে কোথায় মশা বাসা বাঁধছে? উত্তর ১ – মশারা সাধারণত অন্ধকার, আর্দ্র জায়গায় যেমন সিঙ্কের নীচে, বাথরুমের শাওয়ারে, টয়লেটে, আসবাবের নীচে বা লন্ড্রি ঘরে বাসা করে থাকে। তাই মশা তাড়াতে হলে এই স্থানগুলিতে নজর রাখা জরুরি।প্রশ্ন ২ – কী ভাবে নিম পাতা দিয়ে মশা তাড়াবেন? উত্তর ২ – এক মুঠো শুকনো নিম পাতা নিন, ২ থেকে ৩ টি তেজপাতা যোগ করুন, কিছু কর্পূরের বীজ যোগ করুন, লবঙ্গ যোগ করুন এবং প্রায় ২ চামচ সর্ষের তেল যোগ করুন এবং আগুনে জ্বাল দিন। এই আগুন জ্বললে তার ধোঁয়া ঘরের সব মশা তাড়িয়ে দেবে।প্রশ্ন ৩ – কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মশা বেশি কামড়ায়? উত্তর ৩ – সাধারণত বলা হয় যে O ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিদের প্রতি মশারা বেশি আকৃষ্ট হয়। বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের উপর মশার নজর থাকে। আর সেটি হল ‘ও’ গ্রুপের রক্ত। মশারা অন্যান্য রক্তের গ্রুপের তুলনায় এই গ্ৰুপের রক্তের ব্যক্তিকে বেশি পছন্দ করে।প্রশ্ন ৪ – বাড়িতে কোন গাছ লাগালে মশা পালিয়ে যায়? উত্তর ৪ – তুলসী গাছের সুগন্ধি গন্ধ এমনিতে ভাল লাগে। অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে এই পাতায়। কিন্তু এই গন্ধই আবার মশাদের মোটেও পছন্দ নয়। এই পাতার গন্ধ মশাদের বাড়ি থেকে দূরে রাখে।প্রশ্ন ৫ – লেবু এবং লবঙ্গ কি মশা দূরে রাখে? উত্তর ৫ – লবঙ্গ তেল এবং লেবুর রসের মিশ্রণ একটি প্রাকৃতিক মশা তাড়ানোর টোটকা। এই উপায়ে সহজেই কিন্তু বাড়ি থেকে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার আসল কারণকে বাই বাই বলা যায় একটু চেষ্টা করলেই।প্রশ্ন ৬ – কোন জিনিস প্রয়োগ করলে মশা কামড়ায় না? উত্তর ৬ – নারকেল তেল লাগালে ত্বক চর্বিযুক্ত হয়, এর কারণে মশারা ত্বকে বসতে বা কামড়াতে পারে না। তাই গরমকালে বাইরে বা জল জায়গায় গেলে মশা যাতে না কামড়ায় তাই নিজেকে বাঁচাতে এই ভাবে তেল লাগানো অনেক ক্ষেত্রেই ।
আমাদের রক্ত খায়৷ কানের কাছে ভনভন করে বিরক্ত করে দেয়৷ এমনকি, সারা বিশ্বে শুধুমাত্র এই মশার কামড়েই মৃত্যু হয় ১০ লক্ষ মানুষের৷ কিন্তু, পৃথিবীতে একটা দেশ রয়েছে যেখানে আতস কাচ দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না একটাও মশা৷পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই কম বেশি মশা রয়েছে৷ হ্যাঁ, কিছু কিছু মরসুমে মশার বাড়বাড়ন্ত একটি বেশিই হয়ে যায়৷ কিন্তু, আবার আবহাওয়া বদলালে ফের শুরু হয়ে যায় মশার দৌরাত্ম্য৷ এর মধ্যে শুধুমাত্র একটা দেশই রয়েছে যেখানে মশাদের দেখতে পাওয়া যায় না৷ আন্দাজ করতে পারেন কী হতে পারে সেই দেশের নাম?ফ্রান্স, সুইৎজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড না আমেরিকা? কোন দেশে মশা নেই বলে মনে হয় আপনার? উত্তর, না এর মধ্যে কোনও দেশই নয়৷ এই সব দেশেই মশা জন্মানোর মতো অনুকূল আবহাওয়া রয়েছে৷দুনিয়ার যে একটিমাত্র দেশ যেখানে একটাও মশা নেই, সেই দেশের নাম হল আইসল্যান্ড৷ আইসল্যান্ডই পৃথিবীর একমাত্র ‘মশা মুক্ত’ দেশ৷ আর কেউই জানেনা এমনটা কেন হয়েছে৷ এটি আন্টার্কটিকার মতো ঠান্ডাও নয়, এখানে মশার প্রজননের জন্য সুবিধাজনক জলাশয়ও রয়েছে৷আইসল্যান্ডে মশা না থাকলেও এর প্রতিবেশী দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ড, এমনকি, গ্রিনল্যান্ডেও রয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ মশা৷ তাই আইসল্যান্ডে কেন মশা নেই তা বিজ্ঞানীদের কাছেও একটা জলজ্ব্যান্ত ধাঁধা৷পৃথিবীতে প্রায় ৩০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে মশারা রাজত্ব করছে৷ বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৫০০টিরও বেশি প্রজাতির মশা রয়েছে৷ এর মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ প্রজাতির স্ত্রী মশা মানুষকে কামড়ায়৷বিজ্ঞানীদের মতে, মশা ভেজা আর্দ্র পরিবেশে ভাল করে বাঁচতে পারে৷ তবে এরা ঠান্ডাতেও বেঁচে থাকে৷ জানা যায়, আইসল্যান্ডের জল ও মাটির রাসায়নিক গঠন মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত নয়৷
তারা আপনার রক্ত চুষে নেয়, কানের পাশে বিরক্তিকর আওয়াজ করে। তাদের কামড় আপনার বারবিকিউ পার্টিকে করে তুলতে পারে দুর্বিষহ কিংবা জঙ্গলে হাঁটাচলায় ঘটাতে পারে বিঘ্ন। সবচেয়ে বড় কথা তাদের কামড়ে নানা রোগ ছড়ায়, এগুলোর কিছু প্রাণঘাতীও।যাদের কথা বলা হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী এই পতঙ্গের নাম মশা। বিশ্বের সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়ায় এরা, কেবল একটি অঞ্চল ছাড়া। জানেন কি, কোন জায়গা বা দেশ সেটি?সেই জায়গাটি হল নর্ডিক অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ড। কিন্তু কেন এই অঞ্চলে মশার তাণ্ডব নেই। এর উত্তর, দেশটির আবহাওয়া। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া এত বেশি প্রতিকূল যে মশার টিকে থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই সেখানে।সাধারণত ডিম ফুটে একটি পূর্ণাঙ্গ মশা হতে সময় লাগে ৪০ দিন। কিছু মশা অবশ্য ব্যতিক্রম আছে। পাঁচ দিনেই পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিণত হয়। ব্যতিক্রম তো ব্যতিক্রমেই। ও কথা বলে লাভ নেই। যাহোক, মশার পূর্ণাঙ্গ হতে ৪০ দিন সময় লাগলেও আইসল্যান্ডের তাপমাত্রা পরিবর্তন হতে কিন্তু এত সময় লাগে না।মানে দেশটিতে একবার শীত শেষ হয়ে আবার শীত শুরু হয় ৪০ দিনের আগেই। ফলে কিছুটা বরফ গলে যা-ও একটু জলে পরিণত হয়, তা আবার বরফই হয়ে যায়। এতে মশা আর বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। তা ছাড়া তীব্র শীতে মশার বেঁচে থাকাও মুশকিল।আবার অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, আইসল্যান্ডের জলাশয়ে রাসায়নিক পদার্থের যে অনুপাত রয়েছে, তা মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে সব মিলিয়ে জলাশয়ের অভাব, তীব্র শীত ও স্রোতহীন নদীর অভাবে আইসল্যান্ডে মশা জন্মাতে পারে না।এ ছাড়া মশার বংশবিস্তারের জন্য প্রয়োজন জলাশয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আইসল্যান্ডের জলাশয়ে রাসায়নিকের যে অনুপাত আছে, তা মশার বংশবৃদ্ধিকে দারুণ চ্যালেঞ্জে ফেলে।শীতের তীব্রতায় আইসল্যান্ডে মশার বংশবৃদ্ধি করতে না পারলেও, ইউরোপের অনেক শীতপ্রধান দেশে মশারা সাবলীল। আইসল্যান্ডের পাশের দেশ গ্রিনল্যান্ডে যখন শীত শুরু হয়, তখন শীতনিদ্রায় থাকে মশারা। শীত শেষে বরফ গলা শুরু হলে, তারা ডিম পাড়তে শুরু করে। আইসল্যান্ডের মতো এখানে শীত শেষ হওয়ার পর আবার হঠাৎ করে শীত চলে আসে না। তাই গ্রিনল্যান্ডে বাচ্চা ফোটানোর চক্র পূর্ণ করতে পারে মশা।
একদিকে গরম, অন্যদিকে মশা। শহর কলকাতা হোক বা গ্রাম-গঞ্জ, সন্ধে হতে না হতে ছেঁকে ধরছে মশার পাল। দামি দামি ওষুধ বা স্প্রে দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেন উৎপাত।মুক্তির জন্য কী না করছেন তিতিবিরক্ত মানুষ। দেখতে ছোট্ট হলেও এই এক পতঙ্গের যন্ত্রণা সহ্য করা কঠিন।শুধু তাই নয়, মশার কামড়ে মারাত্মক সব রোগে আক্রান্ত হয় ছোট থেকে বড় যে কেউ। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়ার মতো মারাত্মক অসুখের বাহক এই মশা। যা প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে।মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘুমের সময় অনেকেই মশারি টাঙিয়ে ঘুমান। কিন্তু রাত ছাড়া দিনেও মশা কামড়াতে পারে। এজন্য বাড়ি থেকে মশা তাড়ানোর বিকল্প পথ খোঁজেন অনেকেই। আর কাঁড়িকাঁড়ি কিনে আনছেন নানা ধরণের ধূপ আর স্প্রে। যার সাইড এফেক্ট শরীরের জন্য মোটেও তেমন সুবিধার নয়।মশা তাড়ানোর জন্য যেসব কয়েল বা স্প্রে কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো কেমিক্যালযুক্ত হওয়ার কারণে শরীরের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে কিছু প্রাকৃতিক গন্ধ আপনাকে সাহায্য করতে পারে- ম্যাজিকের মতো।আসলে কিছু গন্ধ রয়েছে যেগুলি মশারা পছন্দ করে না বা সহ্য করতে পারে না। সেসব গন্ধ থাকলে মশা আর ধারেকাছে ঘেঁষে না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোন কোন গন্ধের সাহায্যে সহজেই মশা তাড়ানো সম্ভব।নিমপাতার গন্ধ নিমপাতার আছে অসংখ্য গুণ। এটি নানা ধরনের জীবাণু থেকে আপনাকে বাঁচতে সাহায্য করবে। আবার ধরুন মশার হাত থেকেও রক্ষা করবে এই পাতা। নিমের তেল গায়ে মেখে নিলে আর মশা ধারে-কাছে ঘেঁষবে না।লেমনগ্রাসের গন্ধ সুগন্ধী এই পাতা রান্নার স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের পদ রান্নায় ব্যবহার করা হয় লেমনগ্রাস। এই পাতার গাছ লাগিয়ে রাখুন বাড়িতে। এতে মশা দূরে থাকবে। কারণ মশা লেমনগ্রাসের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না।তুলসি পাতার গন্ধ প্রায় সকলেই জানেন তুলসি পাতা সর্দি-কাশি দূর করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যের জন্য এর আছে আরও অনেক উপকারিতা। কিন্তু জানেন কি এই পাতা আপনাকে মশার হাত থেকে বাঁচাতেও সাহায্য করে?তুলসি পাতার গন্ধ মশা একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই বাড়িতে তুলসি গাছ রাখুন। সেইসঙ্গে এই গাছের পাতার নির্যাস থেকে তৈরি তেল মশা দূর করতে খুবই কার্যকরী।পুদিনা পাতার গন্ধ খাবারে স্বাদ আনতে বা বিভিন্ন ধরনের পানীয় তৈরিতে ব্যবহার করা হয় পুদিনা পাতা। এটি হজমের ক্ষেত্রেও বেশ সহায়ক। জিরাজল, আইসড টি, মোহিতো ইত্যাদি পানীয় সুস্বাদু করতে এই পাতা ব্যবহার করতে হয়।কিন্তু উপকারী এই পাতার গন্ধই একেবারে সহ্য করতে পারে না মশা। পুদিনা পাতার নির্যাস দিয়ে তৈরি তেলও ব্যবহার করতে পারেন মশা থেকে বাঁচতে।রসুনের গন্ধ রসুনের আছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। এটি আপনার রান্নায় যতই স্বাদ আর গন্ধ বাড়াক না কেন, এর গন্ধ একদমই না পসন্দ মশাদের। কোথাও রসুন রেখে দিলে তার আশেপাশে মশা থাকে না।আবার ধরুন যারা বেশি রসুন খায়, তাদের রক্ত খাওয়া থেকেও বিরত থাকে মশা। তাই মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে গরমে রসুন খাওয়ার মাত্রা একটু বাড়িয়ে দিতে পারেন চাইলে।
গরম পড়তেই মশার উপদ্রব বাড়ছে৷ নামী দামি সংস্থার মশা মারার ধূপ, তেল ব্যবহার করেও কাজের কাজ হচ্ছে না৷ কিন্তু প্রাকৃতিক কয়েকটি জিনিসের ব্যবহারেই মশার উপদ্রব অনেকটাই কমতে পারে৷কর্পূরের গন্ধ মশা একেবারেই সহ্য করতে পারে না৷ সন্ধেবেলা ঘরে কর্পূর জ্বালিয়ে রাখলে মশার উপদ্রব কমবে৷এছাড়াও ল্যাভেন্ডার ফুলের তেল মশা তাড়াতে খুবই কার্যকরী৷ ল্যাভেন্ডার ফুলের তেল মশা মারার তেলের পাত্রে ভরে ডিফিউজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন৷ অথবা ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে গায়ে মাখলেও মশা কামড়াবে না৷
সন্ধের পর নিম পাতা পুড়িয়ে ঘরে ধোঁয়া দিলেও মশা আসে না৷ এর পাশাপাশি নিমের তেলও মশা তাড়াতে কার্যকরী৷
একটি পাত্রে নারকেল তেলের সঙ্গে লেমনগ্রাস এবং লবঙ্গ মিশিয়ে তেল তৈরি করুন৷ এর পর সেটি একটি বোতলে ঢেলে রাখুন৷ প্রয়োজন মতো এই তেল গায়ে মেখে নিলে মশা কামড়াবে না৷সন্ধের পর নিম পাতা পুড়িয়ে ঘরে ধোঁয়া দিলেও মশা আসে না৷ এর পাশাপাশি নিমের তেলও মশা তাড়াতে কার্যকরী৷
মাঝেমাঝেই মনে হয় আপনাকে বোধ হয় মশা একটু বেশি কামড়াচ্ছে। গ্রীষ্মপ্রধান এই দেশে মশা থাকবে খুব স্বাভাবিক। কিন্তু কাদের মশা বেশি কামড়ায় আর কেনই বা কামড়ায়, সেটা জানাও দরকার।মশার বংশবিস্তারের জন্য প্রয়োজন জলাশয়। ফলে জলাভূমি সংলগ্ন ঝোপঝাড় এলাকায় মশা বেশি জন্মায়। মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে নানা সতর্কতা তো নেবেনই, তার সঙ্গে বাদ দিন এই রং।নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানাচ্ছেন, লাল, কমলা, কালো রঙের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। পাশাপাশি সবুজ, বেগুনি, নীল রং দেখলে দূরে পালায়।গবেষকেরা জানাচ্ছেন, লাল হল রঙের ছায়া যা মশারা আপনার ত্বকের দিকে তাকালে দেখতে পায়। যখন আলো মানুষের ত্বকের সংস্পর্শে আসে, ত্বকের রঙ্গক নির্বিশেষে, এটি একটি লাল রঙের প্রতিফলন করে।একটি গবেষণা দেখা গিয়েছে, যাঁদের বেশি ঘাম হয়, তাঁদেরই বেশি মশা কামড়ায়। ঘামের সঙ্গে নিঃসৃত ল্যাকটিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়ার গন্ধ মশাদের প্রিয়।‘ও পজিটিভ’ এবং ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তে বিশেষ ধরনের গন্ধ থাকে, যা মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে।মশা নেই এমন জায়গা বোধহয় দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর মশার কামড় খাননি এমন মানুষও তো নেই।
শীত বিদায় নিতে না নিতেই মশার উপদ্রব বাড়তে শুরু করেছে। বর্ষায় অবশ্য মশার উৎপাত তুঙ্গে চলে যায়। তবে গরমের মরশুমেও চলতে থাকে ক্ষুদ্র এই প্রাণীর উপদ্রব। এমনকী এই উৎপাতের কারণে রাতের ঘুম পর্যন্ত উড়ে যায়। Representative Imageআর মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেলেই মনে ম্যালেরিয়া কিংবা ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের আশঙ্কাও উঁকি দিতে থাকে। সেই সমস্যা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য আমরা বাজারচলতি রিপেল্যান্ট ব্যবহার করি। তবে তা প্রত্যাশিত ফল দেয় না। আর সব থেকে বড় কথা হল, ওইসব ব্যবহার করাও নিরাপদ নয়। তাহলে উপায়? আসলে সেই উপায় লুকিয়ে রয়েছে আমাদের ঘরেই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ওই সামগ্রী মশা তো তাড়াবেই, আর তা সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ। এর জন্য বাজারে গিয়ে কিছু পাকা পাতিলেবু কিনে আনতে হবে। তারপর নিতে হবে কিছু লবঙ্গ, সর্ষের তেল, তুলো অথবা সলতে এবং কর্পূর।বাজার থেকে কিনে আনা পাতিলেবু ভাল করে ধুয়ে নিয়ে একটি ধারালো ছুরির সাহায্যে লেবুর মাথার দিকের কিছুটা অংশ কেটে নিতে হবে।এরপর একটি চামচ ব্যবহার করে লেবুর খোলা অংশ থেকে লেবুর রস বার করে নিতে হবে। তবে এটা সাবধানে করতে হবে। কারণ এই কাজ করতে গিয়ে লেবুটি নষ্ট হতে পারে। এবার লেবুর খোলা অংশ দিয়ে ভিতরে সর্ষের তেল, লবঙ্গ এবং কর্পূর ভরে নিতে হবে। এরপর ওই লেবুর উপরে একটি প্রদীপ রেখে তা জ্বালিয়ে দিতে হবে। এই কৌশল অবলম্বন করার সময় দরজা-জানলা বন্ধ রাখা আবশ্যক। আর এটা করলে দেখা যাবে যে, ঘরে উল্লেখযোগ্য ভাবে মশার উৎপাত কমেছে। ঘরে যদি রাতের বেলায় প্রচুর মশা ঢুকে যায়, তাহলে একাধিক উপায় অবলম্বন করেও যদি লাভ না হয়, সেক্ষেত্রে উপরোক্ত এই কৌশল অবলম্বন করতে হবে।এছাড়া লেবু অর্ধেক করে কেটে তার মধ্যে কিছু লবঙ্গ দিয়ে ঘরের যে কোনও স্থানে রাখা যেতে পারে। এটাও মশার উপদ্রব কমাতে কার্যকরী। এমনকী, গায়ে লবঙ্গ তেল লাগিয়ে নিলেও মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)
রাতে ঘুমালেই কানের কাছে শিষ… উফফ মশাদের দৌরাত্মে জীবন কার না অতিষ্ঠ? হাজার-হাজার স্প্রে কয়েল-ধূপ জ্বালিয়েও মশাদের সায়েস্তা করা যায় না! কোথাও একটু বেশি, কোথাও কম… কিন্তু মশা নেই, এমন অঞ্চল খুঁজে পাওয়া কঠিন। গোটা বিশ্বে প্রায় ২৫০০ প্রজাতির মশা আছে। তবে আছে, এমন দেশ-ও আছে যেখানে একটাও মশা নেই। নেই ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার ভয়। বলুন তো দেশটির নাম কি?আইসল্যান্ড হল এমন একটি দেশ, যেখানে একটিও মশা নেই। উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ। সেখানে প্রায় ১,৩০০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, অথচ একটিও মশাও নেই। আইসল্যান্ডের প্রতিবেশী রাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ডেনমার্কে প্রচুর মশা দেখা গেলেও আইসল্যান্ডে নেই মশা। কেন বলুন তো?বহু গবেষণার পর মিলল উত্তর। একদল বিজ্ঞানীদের মতে, আইসল্যান্ড বছরে ৩ বার জমে যায়, বছরে একবার সেই বরফ গলে। এই কারণেই মশারা সেখানে বংশবিস্তার করতে পারে না।আর একদল বিজ্ঞানীদের মতে,আইসল্যান্ডের জল- মাটির কেমিক্যাল কম্পোজিশন মশারা সহ্য করতে পারে না। পাশাপাশি, বিশ্বউষ্ণায়নের কারণে আইসল্যান্ডে হীমবাহ গলে যাচ্ছে। এই কারণেও সে-দেশে মশারা থাকতে পারে না