ব্যবসা-বাণিজ্য How To Become Crorepati: মাসে মাসে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ১০ কোটি টাকা রিটার্ন পেতে পারেন, দেখে নিন সম্পূর্ণ হিসেব Gallery August 23, 2024 Bangla Digital Desk অবসর নেওয়ার সময় হাতে যেন মোটা অঙ্কের টাকা থাকে। এমনটাই বলেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। সেই জন্য চাকরি জীবনের শুরু থেকে অবসরকালীন ফান্ড তৈরি করতে হয়। এতে সময় বেশি পাওয়া যায়। পাশপাশি কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধাও মেলে। অবসরকালীন ফান্ডের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বাজার সংযুক্ত হওয়ায় এতে ঝুঁকি রয়েছে বটে তবে দীর্ঘমেয়াদে মোটা টাকা রিটার্নও পাওয়া যায়। সঙ্গে ঝুঁকিও কমে যায় অনেকটা। মোটামুটি গড়ে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন মেলে এসআইপিতে। এখন যদি কেউ ৬০ বছর বয়সের মধ্যে ১০ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি করতে চান, তাহলে প্রতি মাসে এসআইপিতে তাঁকে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে? এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন ধরলে ১৫ হাজার টাকার এসআইপিতে ৩৫ বছর মেয়াদে ১০ কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ২৫ বছর বয়সে এসআইপি শুরু করতে হবে। অল্প বয়সে সবার পক্ষে বিনিয়োগ শুরু করা সম্ভব হয় না। তাই যদি কেউ ৩০ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন কিন্তু ৬০ বছর বয়সের মধ্যেই ১০ কোটি টাকা চান, তাহলে তাঁকে প্রতি মাসে ২৮ হাজার টাকার এসআইপি করতে হবে। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ। এর কারণ হল মেয়াদ। মেয়াদ কমলে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে। একইভাবে যদি কেউ ৪০ বছর বয়সে এসআইপি শুরু করে ১০ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি করতে চান তাহলে তাঁকে প্রতি মাসে ৬ গুণ বেশি অর্থাৎ ১ লাখ টাকার এসআইপি করতে হবে। দেরিতে বিনিয়োগ শুরু করার এটাই অসুবিধা। সময় অনেক কম পাওয়া যায়। ২০ বছরের মধ্যে কমপাউন্ডিংকে কাজে লাগাতে চাইলে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। তবে রিটার্নের হার বাড়লে কম সময়ে একই বিনিয়োগ থেকে সম পরিমাণ কর্পাস তৈরি করা যায়। যেমন ১৫ হাজার টাকার এসআইপিতে যদি ১৫ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যায় তাহলে ৩০ বছরের মধ্যেই ১০ কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। আর যদি রিটার্নের হার ১৮ শতাংশ হয় তাহলে ১০.৪৬ কোটি টাকা পেতে সময় লাগবে ২৬ বছর।