মনিরাং শৃঙ্গ জয়

Jalpaiguri News: মনিরাং পর্বতশৃঙ্গ জয় জলপাইগুড়ির অভি‌যাত্রীদের! কেমন ছিল এই কঠিন পথ? শুনুন

জলপাইগুড়ি: ফের বিরাট জয় জলপাইগুড়ির পর্বতারোহীদের! খুশির আমেজ জেলা জুড়ে। ছোট শহর হলেও জলপাইগুড়িতে রয়েছে সংস্কৃতি থেকে শুরু করে ক্রীড়া কিংবা অভিনব পেশায় অগ্রগতির ছোঁয়া। এর আগেও বহু পর্বতারোহী দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ জয় করে এই জেলার নাম তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। ফের জলপাইগুড়ির পর্বতারোহীদের দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ জয়ে উচ্ছ্বসিত জলপাইগুড়িবাসী।

গত বুধবার ২১ অগাস্ট প্রায় ২১৬২৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুর্গম মনিরাং শৃঙ্গে শহরের অভিযাত্রীরা সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দেশের পতাকা এবং জলপাইগুড়ির পতাকা উড়িয়ে দেয়। অনেকের মনেই কৌতূহল জাগে, কীভাবে দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ পেরোনো যায়? অভিযাত্রীদের অভিজ্ঞতা অপূর্ব। তাঁরা জানান, যাত্রা শুরু করে বরফের দেওয়াল ভেঙে প্রায় মাইনাস ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তাঁরা জয় করেন এই শৃঙ্গ।

আরও পড়ুন: মৃতের শেষ ইচ্ছাপূরণে এক হয়ে গেল দুই দেশ, বিএসএফের তৎপরতায় ভাইয়ের শেষ দেখা পেলেন বোন

প্রায় ২০৪০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছনোর পর এক পর্বতারোহীর শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। সেই পরিস্থিতির সামাল দিয়ে বরফের দেওয়াল পেরোনোর পর শুরু হয় কঠিন পাথরের দেওয়াল ভেঙে উপরে ওঠা। প্রায় ১০০০ মিটার দড়ি ফিক্স করা হয় সেই দেওয়ালে। ঠান্ডা হাওয়া সেই সঙ্গে ছোট ছোট পাথর উপর থেকে পড়ায় অভিযাত্রীদের শৃঙ্গের দিকে পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, মনিরাং পর্বতশৃঙ্গের লক্ষ্যে নেচার অ্যান্ড ট্রেকার্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ি অভিযাত্রীরা গত ১২ অগাস্ট প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় মূল শিবির বা বেস ক্যাম্প স্থাপন করেন। দু’দিন লোড ফেরির পর স্বাধীনতার দিবসের দিন আরেকটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায়। এইভাবে পর্বতারোহনের সুবিধার জন্য প্রত্যেক উচ্চতায় ক্যাম্প গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে খারাপ আবহাওয়া সত্ত্বেও প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের খাঁজে খুবই এক ছোট জায়গায় কোনও রকমে একটি তাঁবু লাগানো হয়। বিকেল থেকে রাত প্রায় দু’টো পর্যন্ত সেই তাঁবুতে কোনও রকমে বসে কাটানো হয়। আর তারপরেই শুরু হয়ে যায় চূড়ান্ত মিশনের প্রস্তুতি। তার জন্য স্নো বুট, আইস এক্স, হার্নেস, জুমার, ফেদার জ্যাকেট পরে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। বহু কঠিন পরিশ্রমের পর অবশেষে আসে সেই কাঙ্খিত জয়।

সুরজিৎ দে