Ashoknagar family mysterious death: বেজে চলেছে মোবাইলের অ্যালার্ম, দরজা ভাঙতেই শিউরে উঠলেন প্রতিবেশীরা! অশোকনগরে মর্মান্তিক কাণ্ড

অশোকনগর: উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে একই পরিবারের তিন জনের রহস্যমৃত্যু৷ বাবা, মায়ের সঙ্গে উদ্ধার হল ৮ বছরের শিশুকন্যার ঝুলন্ত দেহ৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে অশোকনগর থানার গুমা এলাকার নবপল্লিতে৷ সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে থাকতেন দীপক বাবু৷

জানা গিয়েছে, মৃত তিন জনের নাম দীপক রায় (৪৩), প্রিয়া রায় (৩৮) এবং তাঁদের ৮ বছরের শিশুকন্যা মিষ্টি৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, বিরা বালিশা এলাকার একটি ফ্লাই অ্যাশ কারখানায় কাজ করতেন দীপক রায়৷ গতকাল রাতেও এক প্রতিবেশীকে দীপক বাবুর স্ত্রী ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁদের ডেকে নিতে দিতে বলেছিলেন৷

এ দিন ভোরে ওই প্রতিবেশী বার বার ডাকা সত্ত্বেও দীপকবাবু অথবা তাঁর স্ত্রী সাড়া দেননি৷ প্রতিবেশীরা খেয়াল করেন, ঘরের মধ্যে টানা ফোনের অ্যালার্ম বাজতে থাকলেও ওই পরিবারের কারও কোনও সাড়াশব্দ নেই৷ শেষ পর্যন্ত বেলা বারোটা পর্যন্ত দীপক বাবু অথবা তাঁর স্ত্রী দরজা না খোলায় বাড়ির বাড়ির মালিককে খবর দেন প্রতিবেশীরা৷ এর পর বাড়ির মালিক এলে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, ঘরের ভিতরেই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন দীপক রায়, তাঁর স্ত্রী প্রিয়া এবং ৮ বছরের শিশুকন্যা৷

আরও পড়ুন: পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি দিল আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়, খুলবে রহস্যের জট?

শিউরে ওঠা এই দৃশ্য দেখেই পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা৷ অশোকনগর থানার পুলিশ এসে দেহগুলি নামিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শিশুকন্যাকে হত্যার পর আত্মঘাতী হয়েছেন দীপক বাবু এবং তাঁর স্ত্রী৷ কিন্তু কেন এই চরম পথ বেছে নিলেন ওই দম্পতি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ দীপকবাবুর কোনও বড় অঙ্কের দেনা ছিল কি না, তা খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ৷

তবে ওই পরিবারে সেরকম আর্থিক কোনও অনটন ছিল না বলেই দাবি করেছেন দীপকবাবুর প্রতিবেশীরা৷ দম্পতির মধ্যেও কোনওরকম মনমালিন্য অথবা বিবাদের আঁচ পাননি তাঁরা৷ তার পরেও কেন দীপক বাবু অথবা তাঁর স্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷