দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দৈনন্দিন জীবনে ঝোড়া ও চুপড়ির ব্যবহার একেবারে করেন নি এমন মানুষ খুব কম রয়েছেন গ্রামাঞ্চলে। মাটি বওয়া থেকে শুরু করে মাছ তোলা বা ফেলার জন্য চাকন কিংবা গৃহস্থালীর কাজের জন্য চুপড়ির ব্যবহার করা হয় প্রায়শই। কিন্তু এবার সেই ঝোড়া ও চুপড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।ঝোড়া ও চুপড়ি তৈরির জন্য প্রধান উপকরণ বাঁশ। সেই বাঁশ পাচ্ছেন না কারিগররা। দূর দূরান্ত থেকে গিয়ে বাঁশ কিনে আনতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে বিস্তর। এক একটি বাঁশ প্রায় ১৫০ টাকা দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে কারিগরদের।
আরও পড়ুন: তাঁদের হাতেই তৈরি হবে দেবীর অলঙ্কার! শোলা গ্রামে এখন শুধুই ব্যস্ততা
কিন্তু হঠাৎ কেন এই সমস্যা দেখা দিল এ নিয়ে বলতে গিয়ে দিলীপ হালদার নামের প্রবীণ এক কারিগর জানিয়েছেন, আগে এলাকায় প্রচুর বাঁশ গাছ ছিল। কিন্তু নতুন করে বাঁশগাছ আর বসাচ্ছে না কেউ। যেখানে রয়েছে তারাও অনেকসময় বিক্রি করতে চাইছে না। কিন্তু ঝোড়া ও চুপড়ি তৈরিতে বাঁশ লাগে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। এ নিয়ে রাজকুমার হালদার নামের এক কারিগর জানিয়েছেন, একটি বাঁশ থেকে প্রায় চারটি চুপড়ি অথবা ঝোড়া করা যায়। কিন্তু বাঁশ না মেলায় সেই পরিমানে তৈরিও করা যাচ্ছে না। বাজারে চাহিদা রয়েছে, কিন্তু উৎপাদনের সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা কোটাল আর নিম্নচাপের জোড়া ফলায় ঘুম উড়েছে কুলতলী গোসাবার নদী পাড়ে
এর অন্য কারণ হিসাবে উঠে এসেছে পুজোর সময় মন্ডপে বিপুল পরিমাণে বাঁশ যোগান লাগে। প্যান্ডেল তৈরির জন্য বাইরে বাঁশ পাঠিয়ে অনেক লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে যেটুকু বাঁশ মিলছিল সেগুলিও পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। তবে পুজো মিটলে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী তারা। বাঁশ গাছ নতুন করে না লাগালে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে এই শিল্প।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
নবাব মল্লিক