সুন্দরবনের মহিলাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে মাছের খাবার 

South 24 Parganas News: সুন্দরবনের মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ! মৎস্য চাষে উৎসাহ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মৎস্য চাষে উৎসাহ দিতে এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় অন্তস্থলীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থা।সারা দেশে উল্লেখযোগ্য কৃষি প্রধান এলাকাগুলির মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। এখানে বছরে একবার মাত্র ধান চাষ হয়। দ্বি ফসলি চাষের কোনও সুযোগ নেই। নোনা জল আর মিঠে মাটি এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়, প্রতি বছর বন্যা আর অতি বৃষ্টি ঘূর্ণিঝড়ে ফসলের ক্ষতি হয়। ফলে দিন দিন সুন্দরবনের বাসিন্দাদের জীবন জীবিকা অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে। পরিবারের পুরুষ, ছেলেরা রুটিরুজির সন্ধানে ভিনরাজ্য ভিন দেশে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যাচ্ছে। আর মায়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে মীন বাগদা এবং কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করছে।

এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সুন্দরবনের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ও কেন্দ্রীয় অন্তস্থলীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থার সহায়তায় সুন্দরবনের মায়েদের কিভাবে মাছ চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর করা যায় তাঁর উদ্যোগ নেয়।বিগত তিন বছর ধরে কেন্দ্রীয় অন্তস্থলে মৎস্য গবেষণা ও কুলতলি মিলন তীর্থ সোসাইটি যৌথ উদ্যোগে কমবেশি তিন হাজার পরিবারের হাতে মাছের চারা পোনা ,ফিশ ফিড ,কখনো কখনো চুন দিয়ে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তফশিল জাতি উপজাতি মহিলাদের স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেয়।

বাসন্তীর কুলতলিতে মিলন তীর্থ সোসাইটি ব্যবস্থাপনায় সিফ্রি-র সহযোগিতায় সুন্দরবনের মহিলাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য চাষের উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয় বর্ষের মহিলা মৎস্যজীবী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ৫০০ বেনিফিসারিকে ছ’কেজি মাছ, ১০০ কেজি মাছের খাদ্য তুলে দেওয়া হয়। মহিলা মৎস্যজীবীরা মাছের চারা পোনা ও ফিড ফিশ পেয়ে খুশি।

সুমন সাহা