বর্ধমান: প্রেমে ফাটল। তাই প্রেমিকাকে খুন। বর্ধমানের আদিবাসী তরুণীকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের ১০ দিনের মাথায় গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রেমিক। ধৃতকে আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। আদালতে তাকে দশদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে পুলিশ। ধৃতের পোশাক ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
১৪ অগাস্ট পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে খুন হয় আদিবাসী তরুণী।২৩ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুরে গ্রেফতার হল প্রেমিক। বর্ধমানে আদিবাসী তরুণীর গলা কেটে খুন। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। শুক্রবার সন্ধেয় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার তরুণীর প্রেমিক। পুলিশের দাবি, সম্পর্কে ফাটল ধরতেই প্রেমিকাকে খুন করে সে।
আদিবাসী তরুণী খুনে ধৃতের নাম অজয় টুডু। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা। নিহতের নাম- প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা। বছর পঁচিশের তরুণী বেঙ্গালুরুর একটি শপিং মলে কাজ করতেন। সম্প্রতি বাড়িতে ফেরেন। তার কয়েকদিনের মধ্যেই খুন। গলা কাটা দেহ দেখে শিউরে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুর। বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে আদিবাসী তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার।
মৃত্যুর পর থেকেই অভিযুক্তকে ধরার জন্য চাপ বাড়ছিল। জোরদার আন্দোলন শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। মৃত তরুণীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানায় বাম ডান তৃণমূল সব পক্ষ।তরুণী খুনের তদন্তে সিট গঠন করে জেলা পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় তল্লাশি বেঙ্গালুরুতেও যায় তদন্তকারীদের একটি দল। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের পুলিশ অনেক সাহায্য করেছে। ৬ বছরের পেশাদারি জীবনে এমন দেখিনি। বেঙ্গালুরুতেও একটা টিম গিয়েছিল। তরুণী খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। কখনও থানা ঘেরাও। কখনও জাতীয় সড়ক অবরোধ। সিবিআই তদন্তের দাবিও করেন নিহতের পরিবার। শেষমেশ পুলিশের জালে অভিযুক্ত প্রেমিক।